আওয়ার ইসলাম: জাকার্তার গভর্নর বাসুকি চাহাইয়া এহক পুরনামার ধর্মীয় অবমাননার বিরুদ্ধে শুক্রবার গণবিক্ষোভ সংগঠিত হয়। গত জুন মাসে বাসুকি বলেছিলেন, স্কুলের মেয়েদের হিজাব পরা বাদ দিতে হবে। কারণ ওরা ধর্মীয় বিধি মানার জন্য হিজাব পরে না। স্কুলের নিয়ম পালনে হিজাব পরে। হিজাবকে তিনি ন্যাপকিনের সাথেও তুলনা করেন। এ নিয়ে ইতোমধ্যে কয়েক দফা আন্দোলন হয়ে গেছে। এবার তার বিরুদ্ধে কুরআন অবমাননার অভিযোগ উঠেছে।
হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ মানুষ ইসতিকলাল মসজিদ থেকে প্রেসিডেন্ট ভবন ঘেরাও করতে যায়। এ সময় তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে প্রায় ত্রিশহাজার পুলিশ নামানো হয় রাস্তায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইন্দোনেশিয়ায় ধর্মীয় সংঘাত ছড়াতে পারে বলে আশংকা করছে জনগণ এবং সরকার।
আন্দোলনকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ইসলামিক ডিফেন্ডার গ্রুপ নামে একটি সংগঠন। এটি ১৯৯৯ সাল গঠিত হয়। বাসুকি যখন ২০১৪ সালে প্রথম গভর্নর হন তখন থেকেই এই গ্রুপটি তাঁকে অপসারণ করার জন্য প্রতিবাদ করছে। কারণ, বাসুকি একজন চিনা বংশোদ্ভূূত খ্রিস্টান। তারা বাসুকিকে সরিয়ে সেখানে একজন মুসলমানের নেতৃত্ব চায়। তাদের দাবি, বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলমান দেশের রাজধানীকে একজন অমুসলিম শাসন করতে পারে না। কুরআনের আয়াত দেখিয়ে তারা বলেন, মুসলমানরা কোন অমুসলিমের দ্বারা শাসিত হতে পারে না।
বাসুকি অবশ্য তার কথার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, তার কথাকে ইচ্ছে করেই ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। কিন্তু উক্ত গ্রুপটি তাকে ক্ষমা করতে রাজি নয়। ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে বড় মুসলিম রাজনৈতিক দল নাহদালাতুল উলামা, যাদের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৪০ মিলিয়ন, তারা উক্ত আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত নয়। ইপিআই গ্রুপটি অবশ্য একটু কট্টর মুসলিম রাজনৈতিক দল হিসেবেই পরিচিত। প্রেসিডেন্ট জোকো ইউডোডো সবাইকে শান্ত হতে বলেছেন।
সূত্র: বিবিসি