শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


আমার জীবনে ৬টি স্বপ্ন ছিল আলহামদুলিল্লাহ ৬টিই পূর্ণ হয়েছে: ড. শামসুল হক সিদ্দিক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ড. মাওলানা শামসুল হক সিদ্দিক। লেখক, গবেষক, অনুবাদক, আরবি সাহিত্যিক ও বাংলা ভাষায় ভার্চুয়াল ইলমি জগতে তার বিচরণ সর্বজন বিদিত। বাংলাদেশে কাওমি মাদরাসায় লেখাপড়া করেন। তারপর উচ্চশিক্ষার জন্য লিবিয়ায় চলে যান। সেখান থেকে বাংলাদেশে আসেন একজন দা‘ঈ হিসেবে। ইসলাম হাউজ.কম এর বাংলা বিভাগের প্রথম দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে এশিয়ান ইউনিভার্সিটির প্রফেসর। ড. সিদ্দিক একজন উন্নত চরিত্র সম্পন্ন ব্যক্তি। বাংলাভাষায় বহু গ্রন্থের অনুবাদ করেছেন। তাঁর বিখ্যাত কর্মের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীনের ‘আল-কাওয়ায়িদুল মুসলা’ গ্রন্থটির বাংলা অনুবাদ। গুণী এই মানুষটির জীবনঘনিষ্ট সাক্ষাৎকারটি নিয়েছে আরেক লেখক, সম্পাদক ও গবেষক মাওলানা লাবীব আবদুল্লাহ

আপনার গ্রামের বাড়ি কোথায়?

ময়মনসিংহ সদর থানা পাঁচ নং সিরতা ইউনিয়ন।গ্রামের নাম চরখরিচা।

আপনি লেখা পড়া করেছেন কোথায়?

প্রাথমিক লেখা পড়া গ্রামেই।এরপর দেশে জামিয়া ইসালামিয়া মোমেনশাহী,  ঢাকা যাত্রাবাড়ী মাদরাসা ও চট্রগ্রাম পটিয়া মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেছি। এরপর দেশের বাইরে লিবিয়ায় কর্নেল মুহাম্মাদ গাদ্দাফি প্রতিষ্ঠিত জামইয়্যাতুদ দাওয়াহ আল আরাবিয়া আল ইসলামায়া সংস্থার এক ইউনিভার্সিটিতে ১২বছর লেখাপড়া করেছি।

আপনার কর্ম জীবন সম্পর্কে কিছু জানতে চাই।

জামইয়্যাতুদ দাওয়াহ আলইসলামিয়্যাহ যে সংস্থাটি প্রায় ৩৭টি দেশে তাঁদের শাখা ছিল। তো ১৯৯৮ সালে এ সংস্থার বাংলাদেশ শাখার দায়িত্বশীল হিসেবে বাংলাদেশে আসি। ২০১১ সাল পর্যন্ত এ শাখার দায়িত্তশীল হিসেবে কর্মরত থাকি। এর মাধ্যমেই কর্মজীবন শুরু। ২০১১ সালে যখন লিবিয়াতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয় তখন বাংলাদেশ শাখাটি বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর আরেক সংস্থাতে প্লানিং অ্যান্ড ডেবল্যাপমেন্ট রিচার্ড এর দায়িত্তশীল হিসেবে কাজ শুরু করি। সাপ্তাহে ৩দিন এখানে সময় দেই। এ সংস্থার কাজ ছিল চক্ষুরোগীদের ফ্রি সেবা দেওয়া। বাংলাদেশে তাদের চারটি হাসপাতাল আছে। এখান থেকে এ পর্যন্ত আলহামদুলিল্লাহ ১লক্ষ ৬০ হাজার রোগীকে ফ্রি চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি ওআইসি কর্তৃক বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত ইসলামি টেকনোলজি অফ ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস নিয়ে থাকি। এ সংস্থাটি মুসলিম বিশ্বকে ডেভেলপ করার জন্য বিভিন্ন মুসলিম দেশে ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করে থাকে। এখন এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতেও ইসলামি স্টাডিসের ওপর ক্লাস নেই।

[caption id="attachment_16305" align="aligncenter" width="542"]dr-siddik4 প্রথম দিন খুব নার্ভাস ছিলাম। ক্লাশরুমের দেওয়ালে প্রজেক্টর স্কিনকে হুয়াইট বোর্ড ভেবে লেখা শুরু করে দিয়েছি।তখনই ছাত্ররা বলা শুরু করল স্যার এটা হুয়াইট বোর্ড না প্রজেক্ট স্ক্রিন। প্রথম কয়েকদিন এমন নার্ভাস ছিলাম। পরে সব ঠিক হয়ে গেছে।[/caption]

ইউনিভার্সিটিতে প্রথম ক্লাস নেওয়ার অনুভূতি কেমন ছিল।

প্রথম দিন খুব নার্ভাস ছিলাম। আতংকে ছিলাম। প্রথম ক্লাশে প্রবেশ করেইতো ভয়ে বের হয়ে গিয়েছিলাম। পরে আবার প্রবেশ করে ঘটিয়েছিলাম আরেক কাণ্ড। ক্লাশরুমের দেওয়ালে একপাশে ছিল প্রজেক্টর স্ক্রিন, আরেক পাশে ছিল হুয়াইট বোর্ড। আমি প্রজেক্টর স্কিনকে হুয়াইট বোর্ড ভেবে লেখা শুরু করে দিয়েছি। ইতোমধ্যে আলিফ লেখেও ফেলেছি। তখনই ছাত্ররা বলা শুরু করল স্যার এটা হুয়াইট বোর্ড না প্রজেক্ট স্ক্রিন। প্রথম কয়েকদিন এমন নার্ভাস ছিলাম। পরে সব ঠিক হয়ে গেছে।

আপনার লেখালেখির শুরু কীভাবে?

আমার লেখালেখি শুরু ছাত্রজীবনে ময়মনসিংহ থাকতে। তখন জামিয়া ইসলামিয়াতে পড়তাম। তখন দৈনিক জাহানে ধুমপান বিষয়ে আমার একটা প্রবন্ধ ছাপা হয়েছিল। এরপর নিয়মিত কবিতা লেখা শুরু করলাম। আমার কবিতাও দৈনিক জাহানে ছাপা হত। ওই সময়ে একবার ময়মনসিংহে কবি আসাদ চৌধুরী এসেছিলেন। ময়মনসিংহে যারা কবিতা লেখে তাদের অনেকেই তাঁকে কবিতা দেখালো । আমিও দেখালাম। তখন তিনি আমার কবিতার খুব প্রশংসা করেছিলেন। একবার রুহুল আমীন সিরাজী সাব আমার একটা লেখা দেখে  বললেন এটা আপনি লেখেছেন? আমি বললাম হ্যাঁ। তখন তিনি বললেন, দারুণ লিখেছেন। সেসময় থেকেই মূলত লেখালেখির শুরু।

স্বপ্ন কাকে বলে? আপনার জীবনের স্বপ্ন কী ছিল?

স্বপ্ন হল জীবনের ভিশন-মিশন। স্বপ্ন ছাড়া জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব নয়। আমাদর জীবনে অনেক স্বপ্ন ছিল।আলহামদুলিল্লাহ। অনেক স্বপ্নই পূরণ হয়ে গেছ। যেমন আমার স্বপ্ন ছিল খাঁটি আরাবিদের মত ভালভাবে আরবি শিখব।আলহামদুলিল্লাহ। এটা পূরণ হয়েছে। আরেকটি স্বপ্ন ছিল লেখক হবো। কিতাব লেখব। এটাও পূরণ হয়েছে। বেশ কিছু কিতাব লেখেছি। আলহামদুলিল্লাহ আমার লিখিত কিতাব এখন দামেশ্কের ইউনিভার্সিটিতে পড়ানো হয়। আরো একটি স্বপ্ন ছিল দাঈ হব। আমি লিবিয়াতে জামইয়্যাতুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়াহ নামক যে সংস্থায় ছিলাম সে সংস্থার দাওয়া প্রধান আমাকে বাংলাদেশে আসার সময় বলেছিলেন, যাও! আমরা তোমাকে বাংলাদেশের দাঈদের লিডার বানিয়ে পাঠালাম। আলহামদুলিল্লাহ। এটাও পূর্ণ হয়েছে। আমার আরেকটা স্বপ্ন ছিল জামইয়্যাতুদ দাওয়াহ আলইসলামিয়ার সদস্য হবো। এটাও পূরণ হয়েছে। এখন শুধু সদস্যই নয়, মূল কমিটিতেও আমার নাম রয়েছে। আরেকটা স্বপ্ন ছিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক হবো।এটাও পূরণ হয়েছে। এখন কয়েকটি ভার্সিটিতে ক্লাস নেওয়া হয়। আরেকটি স্বপ্ন ছিল বিশ্বের উল্যেখযোগ্য জায়গাসমূহ ভ্রমণ করব। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৭টির মত দেশে সফর করেছি। কয়েকটি দেশে একাধিকবার৷

আরেকটি স্বপ্ন ছিল লেখক হবো। কিতাব লেখব। এটাও পূরণ হয়েছে। বেশ কিছু কিতাব লেখেছি। আলহামদুলিল্লাহ আমার লিখিত কিতাব এখন দামেশ্কের ইউনিভার্সিটিতে পড়ানো হয়।

কওমি  মাদরাসার সিলেবাস সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন?

কওমি যে মূল সিলেবাস ছিল দরসে নিজামি । তা অত্যন্ত সুন্দর ও মুবারাক সিলেবাস ছিল। বর্তমানে সে সিলেবাসটি তার মৌলিকতা হারিয়ে একবারেই সংক্ষিপ্ত হয়ে গেছে। এখন ০৯/১০ বছরের যে কোর্স, এর দ্বারা মোটামুটিভাবে প্রাথমিক ইলমটা অর্জিত হয়। আমার মনে হয় না শুধু এই ০৯/১০ বছর পড়েই কেও আলেম হয়ে যেতে পারবে? এই কোর্সটা সর্বোচ্চ মেট্রিক বা ইন্টার সমমনা। কোন যুক্তিতেই মাস্টার্স সমপর্যায়ের নয়। আলেম হওয়ার জন্য এই কোর্স সমাপ্তের পর আরো দীর্ঘ সময় কোন শায়েখের মাতাহাতে ইলমুদ্দীন চর্চা করতে হবে। এই কোর্সের পর সর্বনিম্ন চার বছর পড়লে সেটা মাস্টার সমপর্যায় হবে। ইলম চর্চার ক্ষেত্রে কোন শর্টকোর্স নেই।

ইলমুদ্দীনের জন্য আরবি ভাষার গুরুত্ব কতটুকু ও কেন?

ইলমুদ্দীনের চর্চা ও প্রচার প্রসারের জন্য আরবি ভাষার গুরুত্য অনেক। অপরিসীম। ইলমুদ্দীনের জন্য যারা আরাবি তাদেরই আরবি ভাষার ওপর সর্বনিম্ন ৩ বছর মেহনত করতে হয়। তাহলে আমরা যারা অনারবি আমাদের তো আরো বেশি সময় মেহনত করতে হবে। কমপক্ষে এতটুকু পরিমাণ মেহনত করতে হবে যেন কুরআন হাদিস তাফসির সুন্দরভাবে বুঝতে পারি। মুকাদ্দামাতে ইবনে খালদুন আলহিদায়া ফাতহুল বারির মত কিতাবসমূহ কোন শরাহ ছাড়াই বুঝতে পারি। প্রতিটা শব্দের মূলতত্ত উদঘাটন করতে পারি এবং উলুমে শারইয়্যাহ মোটামোটি বুঝতে পারি।

কওমি যে মূল সিলেবাস ছিল দরসে নিজামি । তা অত্যন্ত সুন্দর ও মুবারাক সিলেবাস ছিল। বর্তমানে সে সিলেবাসটি তার মৌলিকতা হারিয়ে একবারেই সংক্ষিপ্ত হয়ে গেছে। এখন ০৯/১০ বছরের যে কোর্স, এর দ্বারা মোটামুটিভাবে প্রাথমিক ইলমটা অর্জিত হয়। আমার মনে হয় না শুধু এই ০৯/১০ বছর পড়েই কেও আলেম হয়ে যেতে পারবে? এই কোর্সটা সর্বোচ্চ মেট্রিক বা ইন্টার সমমনা। কোন যুক্তিতেই মাস্টার্স সমপর্যায়ের নয়। আলেম হওয়ার জন্য এই কোর্স সমাপ্তের পর আরো দীর্ঘ সময় কোন শায়েখের মাতাহাতে ইলমুদ্দীন চর্চা করতে হবে।

ইংরেজি ভাষা শেখার প্রয়োজনীয়তা কতটুকু ও কেন?

ইংরেজি ভাষা শেখার প্রয়োজনীয়তাও অনেক। এর বিশেষ কয়েকটি কারণ হল- (১) আমরা বিশেষ করে আলেম ও মুফতিগণ যে যুগে বাস করছি এ যুগ ও যুগের অবস্থা সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই ধারণা রাখতে হবে। আর তা ইংরেজি ছাড়া অসম্ভব। কেননা মানবজাতিসহ সকল প্রকার মাখলুকাত সম্পর্কেও প্রয়োজনীয় বিষয় সম্পর্কে ই্ংরেজিতে যে পরিমাণ তথ্য উপাত্ত ও গবেষণামূলক গ্রন্থ রয়েছে তা অন্য ভাষায় নেই। সাধারণ পাখি। তাদের মাঝে রঙের ভিন্নতা কেন? কোন পাখির কি গতিবিধি কি আচরণ ও কেন এসব সাধারণ থেকে সাধারণ বিষয়েও ইংরেজিতে স্বতন্ত্র গবেষণামূলক গ্রন্থ রয়েছে। এগুলো যদি আমরা না পড়ি তাহলে যুগ ও যুগচাহিদা সম্পর্কে কীভাবে জানতে পারব? এ জন্য অবশ্যই ই্ংরেজি শিখতে হবে। (২) আমি যদি বিশ্বময় দ্বীন ইসলামের কাজ করতে চাই। যেমন আমার গবেষণাকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিবো যেন তা নির্দিষ্ট ভূখণ্ড সীমাবদ্ধ না থাকে।এক্ষেত্রেও কিন্তু ইংরেজির বিকল্প নেই। তারা আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতেছে এগুলো বুঝার জন্যও হতে পারে। তবে এটা ছোট একটা বিষয়। (৩) ইংরেজি হচ্ছে বিশ্বায়ণের ভাষা।যুগের ভাষা। বিজ্ঞানের ভাষা। কোটি কোটি মানুষ এ ভাষায় কথা বলে। এখন আমি যদি এ ভাষা না জানি তাহলে তাদের কাছে ইসলামের দাওয়াত সুন্দরভাবে পৌঁছাতে পারব না। (৪) নিজের কনফিডেন্সের জন্য। আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য। হিনমন্যতা দূর করার জন্য। যে ভাষায় কোটি কোটি মানুষ কথা বলে আমিও সে ভাষায় কথা বলতে পারি।

[caption id="attachment_16307" align="aligncenter" width="534"]dr-siddik এই যে আমরা কথাবার্তা বলছি এটা যদি ইউটিউবে আপলোড করে দেই তাহলে সারা দুনিয়ার মানুষ তা শুনতে পারবে। বিশ্বে কোটি কোটি মানুষের বসবাস। তাদের সবার কাছে গিয়ে দাওয়াত পৌঁছানো সম্ভব নয়। কিন্তু আমি ইচ্ছা করলেই এই মিডিয়ার যথার্থ ব্যবহার করে কোটি কোটি মানুষের কাছে ইসলামের সুমধুর বাণী পৌঁছে দিতে পারি।[/caption]

বর্তমানে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গুরুত্ত কতটুকু?

মিডিয়ার গুরুত্তও অপরিসীম। এটাকে অবহেলা করার কোন কারণ নেই। বর্তমানে মিডিয়া দ্বীনী কাজ করার অনেক সুযোগ করে দিয়েছে। মিডিয়া হল ওসিলা। আল্লাহর বিশাল এক নিয়ামত। রাসুলে আরাবি সা. বলেছেন, ‘বাল্লিগু আন্নীওয়ালাও আয়াহ’। আম্বিয়ায়ে কেরামও এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় দাওয়াত পৌঁছানোর জন্য কত মেহনত করতেন। এ দাওয়াত পৌঁছানোর কাজ আগের যুগে অনেক কঠিন ছিল বর্তমান যুগে তা অনেক সহজ হয়ে গেছে।এই যে আমরা কথাবার্তা বলছি এটা যদি ইউটিউবে আপলোড করে দেই তাহলে সারা দুনিয়ার মানুষ তা শুনতে পারবে। বিশ্বে কোটি কোটি মানুষের বসবাস। তাদের সবার কাছে গিয়ে দাওয়াত পৌঁছানো সম্ভব নয়। কিন্তু আমি ইচ্ছা করলেই এই মিডিয়ার যথার্থ ব্যবহার করে কোটি কোটি মানুষের কাছে ইসলামের সুমধুর বাণী পৌঁছে দিতে পারি। মিডিয়াকে দ্বীন প্রচারের সহায়ক বানাতে পারি ।

ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় আপনার পদচারণা সম্পর্কে জানতে চাই।

ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় আমি তেমন জনপ্রিয় ব্যক্তি নই। এক সময় ইসলামিক টিভিতে নিয়মিত আলোচনা করেছি। আরটিভিতে সরাসরি মাসআলা মাসাইল ও ফতোয়ার প্রোগ্রাম করেছি। বর্তমানে রমজানে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে কয়েকটি আলোচনা করেছি। এছাড়া আরো কয়েকটি চ্যানেলে বিভিন্ন সময়ে উপস্থিতি রয়েছে।

আমার আহলিয়া আমাকে সাংসারিক বানানোর জন্য অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। আমি নিজেও চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি।

আপনার ছাত্রজীবন ও বর্তমান মুতালাআ সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন।

আমি খুব মেধাবী নই। তবে ছাত্র জীবন থেকেই লেখা পড়ার পেছন খুব মেহনত করতাম। রাত জেগে পড়তাম। তখনই লেখা পড়াকে নেশা বানিয়ে ফেলেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ এখনও খুব পড়ি। আমার সময় কখনো তেমন নষ্ট হয় না। যখন গাড়িতে থাকি তখন বই নিয়ে বসে যাই। যখন ভার্সিটি বা অফিস থেকে বাসায় ফিরি চুপচাপ পড়ার রুমে বসে যাই। (হেসে হেসে) আমার আহলিয়া আমাকে সাংসারিক বানানোর জন্য অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। আমি নিজেও চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আপনাকেও ধন্যবাদ।

অনুলিখন: মুজীবুর রাহমান মুজীব। সম্পাদনা: রোকন রাইয়ান

desh_final


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ