যুবাইর ইসহাক; আওয়ার ইসলাম
আল্লাহ মানব জাতিকে অসংখ্য অগণিত নেয়ামত দান করেছেন। যার কোনো একটিরও তুলনা হয় না। একটি নেয়ামতেরও কৃতজ্ঞা আদায়ের যোগ্যতা কোনো আদম সন্তানের নেই।
মানুষ মাতৃগর্ভ থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত আল্লাহর অগণিত নেয়ামত ভোগ করে যায়। কিন্তু অনেকে এই নেয়ামত সমূহের মূল্যায়ন করে না। যেভাবে ইচ্ছা ব্যবহার করে। অথচ এটা যে তার জীবনের শ্রেষ্ঠ নেয়ামতের একটি এ সম্পর্কে সে একবারে অজ্ঞ।
হজরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সা. ইরশাদ করেছেন, দুটি নেয়ামত এমন যে গুলির বিষয়ে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় আছে। একটি স্বাস্থ্য, অপরটি অবসর। -সহিহ বুখারি
মানুৃষ সুস্থ অবস্থায় স্বাস্থ্যের মর্যাদা বুঝে না। যখন বিছানায় পড়ে অসুস্থ কাঁতরায়, তখন ঠিকই বুঝে আসে সুস্থতা কত নেয়ামত! একটু হালকা অসুস্থতায় আমরা উঠে পড়ে লাগি মুক্তির জন্য। যখন কোনো অঙ্গে ব্যথা করে, তখন আমরা কত পেরেশানি হই ব্যথা উপশমের পথ খুঁজে।
আর অবসর কী তা কেবল ব্যস্ততায় টের পাওয়া যায়। আমরা অনেক সময় অবসর পাই। কিন্তু সেই অবসর সময়ের কদর করি না। যেভাবে ইচ্ছা ব্যয় করি। অধিকাংশ অবসর কাটাই গল্পগুজুবে, আড্ডায়, ফেসবুকিং, অযথা মোবাইল ব্যবহার করে। কেউ কেউ ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার করছেন অনর্থক কথা বলে। কিন্তু অবসরের কতটুকু সময় নিজের জন্য, ভবিষতের জন্য, ইবাদতের জন্য, আগামির জন্য, পরিবারের জন্য, দেশের জন্য দিলেন তা একটু হিসাব করা প্রয়োজন।
আমার দেশ, আমার পরিবার আমাকে কত কিছু দিলো। আমি তাদের জন্য কী দিলাম? আমার ভবিষৎ আমার দিকে চেয়ে আছে। তা নির্ভর করবে আমর বর্তমান কর্মের ওপর। সময় ব্যবহারে ওপর। একথা অবশ্যই উল্লেখযোগ্য, আমরা মনে করি, শুধু পড়লে, প্রতিদিন আট ঘণ্টা কাজ করলে, ব্যবসা করলে বুঝি সময়ের মূল্যায়ণ হলো।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সময়ের মূল্যায়ণ হলো, মানবজাতিকে যার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে তার ফিকির করা। এই ক্ষণিকের জীবনে অনন্ত জীবনের জন্য কিছু করা। তবেই জীবন সার্থক। অাল্লাহ আমাদের উক্ত দুই নেয়ামতের মূল্যায়ন করার তাওফিক দিন।ি
আরআর
আরো পড়ুন: জাতীয় আয়কর মেলা ও ইসলামে আয়করের বিধান