আওয়ার ইসলাম: সৌদি সরকার তার সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায় অধিকারের বিষয়টি আবারো পুনর্ব্যক্ত করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এতদাঞ্চলে ইরানের আগ্রাসী ভূমিকা ও আরব রাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধে তাদের নিজ নিজ ভূমিকা ও দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছে।ইয়েমেনের সর্বশেষ পরিস্থিতির বিষয়ে এবং সৌদি সীমান্তে ইরানের দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে মিলিশিয়াদের হামলার ব্যাপারে ইরানের যে বক্তব্য মিডিয়ায় ১৭-১১-১৪৩৭ হিজরি তারিখে প্রকাশিত হয়েছে তার প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাস। গতকাল তাদের এক প্রতিবাদে সৌদি দূতাবাস বলেছে, বার্তা সংস্থা ফারস নিউজ প্রচারিত বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক সনদ ও চুক্তিসমূহের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন ঘটেছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ইরানের আচরণে ইয়েমেনে সামরিক হস্তক্ষেপ খারাপ রূপ নিয়েছে। এটি ইয়েমেনের ভ্রাতৃপ্রতীম জনগণের জন্য দ্বিগুণ ট্র্যাজেডি। পাশাপাশি তা সৌদি আরবের নিরাপত্তার জন্যও হুমকি স্বরূপ। এমতাবস্থায় ইরানি অপপ্রচারের জবাবে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে সৌদি সরকার মিডিয়া ওয়ার্ক ও গণসংযোগ জোরদার করতে আগ্রহী।
সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য রাজনৈতিক ও মিডিয়া পর্যায়ে এবং আন্তর্জাকি চিন্তা ও গবেষণা কেন্দ্রসমূহ, নাগরিক সমাজ, বিভিন্ন সংগঠন ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা।
চুক্তি স্থাপনকারী কোম্পানিগুলো ও কিছু কিছু দূতাবাসের মাধ্যমে সঠিক বার্তা পৌঁছে দেয়া, সংবাদপত্রে নিবন্ধ প্রকাশ ও সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে সেগুলো প্রকাশ করা। সংবাদপত্রে বিনিয়োগ এবং সংস্কৃতি ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সে মোতাবেক বার্তা প্রেরণ করা।
বিবৃতিতে বলা হয় যে, সৌদি আরব মনে করে যে, ইরান এই অঞ্চলের প্রতি আগ্রাসী দৃষ্টিভঙ্গী অবলম্বন করছে এবং উত্তেজনা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য আরব দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ অব্যাহত রেখে চলেছে। ইয়েমেনের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নষ্ট ও জঘন্য ধরনের গোষ্ঠীগত সঙ্ঘাত জাগিয়ে তোলার লক্ষ্যে ইরান সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ চালিয়ে যাচ্ছে। ইরানের আরো উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশটিতে স্থিতিশীলতা আনয়নে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করা। দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে এই যে, ইরান দেশটিতে অস্ত্র, সামরিক বিশেষজ্ঞ ও ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়ে দু’ দু’টি কু-এ সমর্থন জুগিয়েছে। এর ফলে এতদাঞ্চলে অস্থিতিশীলতা ও উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে। ইয়েমেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ইরানের হস্তক্ষেপের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ইয়েমেনের ভ্রাতৃপ্রতীম জনগণ। অভ্যুত্থানের আগে সৌদি আরবের সীমান্তে হামলা ও তার নগরীগুলোর উপর রকেট নিক্ষেপ করা হয় ইয়েমেনে অভ্যুত্থানে সমর্থন ও উৎসাহ জোগানোর অংশ হিসেবে। এর ফলে আন্তর্জাতিক নৌপরিবহন বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সৌদি সরকার তার সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষার অধিকারের বিষয়টি আবারো পুনর্ব্যক্ত করছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানাচ্ছে যাতে তারা এতদাঞ্চলে ইরানের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা ও আরব দেশগুলোর ওপর হামলা ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধে তাদের নিজ নিজ ভূমিকা ও দায়িত্ব পালন করে।
এ বি আর
