আওয়ার ইসলাম : শনিবার সকালে ঢাকার বনানী বিটিসিএল মসজিদে তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিত্বশীল আলেমদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। চেতনায় কওমী মাদরাসার এই সভায় মাওলানা মামুনুল হক সভাপতিত্ব করেন।
মাওলানা হাসান জামীলের পরিচালনায় আলোচনায় অংশ নেয় মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন,মুফতী এনায়েত উল্লাহ,মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মুফতী লাবীব আব্দুল্লাহ, মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান,মাওলানা গাজী সানাউল্লাহ, মুফতী হুমায়ূন আইয়ুব, মুফতী শামসুদ্দোহা আশরাফী, মুফতী এহতেশাম কাসেমী (সিলেট),মুফতী লুৎফুর রহমান ফরাজী,মাওলানা আলী হাসান তৈয়ব,মাওলানা সৈয়দ শামসুল হুদা, মুফতী মুহাম্মদ তাসনীম মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক খান, মুফতী সাঈদ কাদির প্রমুখ।
সভায় গুরুত্বপূর্ণভাবে আলোচনায় আসে আলেমদের নিয়ে ফেসবুকে অসৌজন্য উক্তির বিষয়ে। সবার সম্মতিত্তে বড়দের সম্মান হানি হয় এমন আচরণ না করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
এছাড়াও সভায় মৌলিক পাঁচটি সিদ্ধান গৃহিত হয়েছে। এক, চেতনায় কওমী মাদরাসা ফেইসবুক পেইজ থেকে একটি আহ্বানমূলক বক্তব্য প্রচার করা হবে যার মূল কথা হবে- " আমাদের মুরব্বী ওলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে বিষোদগার ও বেয়াদবীমূলক, অশোভন উক্তি ও মন্তব্য করা থেকে সকলকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো ৷ কওমী মাদরাসা শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি ইস্যুতে যেই মুরব্বীর অবস্থান যেদিকেই থাকুক না কেন, সকলের প্রতি আমরা সন্মানপ্রদর্শন করব ৷
দুই, উপস্থিত তরুণ ওলামায়ে কেরাম নিজেরাও বড়দের ব্যপারে কটু কথা না বলা এবং পরস্পরও ব্যক্তিআক্রমম না করার ব্যপারে অঙ্গীকারাবদ্ধ হন এবং নিজ ফেসবুক আই ডি থেকে ও অন্যান্য উপায়ে ব্যক্তিগতভাবে তরুণ প্রজন্মের প্রতি বিতর্ক ও পর্যালোচনার ক্ষেত্রে সৌজন্যতা ও শালীনতা রক্ষার প্রতি বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষন করবেন ৷ সীমালঙ্ঘন থেকে বিরত থাকার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানাবেন ৷
তিন, যে সকল ব্যক্তি ফেইসবুক কিংবা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশালীন, আপত্তকর বা ব্যক্তিআক্রমনাত্মক পোস্ট, কমেন্ট ইত্যাদি করবে, তাদেরকে সংশোধনের ও এ থেকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করা হবে ৷ এক্ষেত্রে যার সাথে যার যোগাযোগ বা সুসম্পর্ক রয়েছে তিনি বিশেষ ভূমিকা রাখবেন ৷ অন্যরাও প্রয়োজনে তার দৃষ্টিআকর্ষন করবে ৷
চার, ফেইক বা ছদ্ম পরিচয়ের আইডি থেকে কারো বক্তব্যে আপত্তিকর কমেন্ট ইত্যাদি করলে তা তিনি ডিলিট করবেন এবং প্রয়োজনে ছদ্ম পরিচয়ধারীকে ব্লক করে এহেন কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবেন ৷
পাঁচ, কওমী মাদরাসা ও বোর্ডসমূহের মুরব্বিয়ানে কেরামের সাথে যোগাযোগ করে তাদের সামনে নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ তুলে ধরা হবে- ক) ওলামায়ে কেরাম যেন যে কোনো সিদ্ধান্ত ঐক্যবদ্ধভাবে গ্রহন করেন ৷ স্বীকৃতি নিলেও যেন ঐক্যবদ্ধভাবে নেন, না নিলেও যেন ঐক্যবদ্ধভাবে প্রত্যাখ্যান করেন ৷ খ) বেফাকুল মাদারিসের সাথে অপরাপর চার বোর্ডের প্রস্তাবিত বৈঠকটি যেন যে কোনো মূল্যে বাস্তবায়ন করা হয় ৷ গ) কওমী কর্তৃপক্ষ আইনের খসড়ায় সরকারের হাতে কর্তৃপক্ষ গঠনের ক্ষমতা ন্যস্ত থাকা ও পরবর্তিতে কওমী বিশ্ববিদ্যালয় গঠন ও তাতে ভিসি নিয়োগসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরকারী হস্তক্ষেপের সুযোগ সৃষ্টির আশংকার কথা জানানো ৷
এসকল লক্ষ্য বাস্তবায়নে ছয় সদস্যের নিম্নোক্ত প্রততিনিধিদল সাব্যস্থ হয়েছে ৷ মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক, মাওলানা হাসান জামিল, মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন, মুফতী এনায়েতুল্লাহ, মাওলানা এহতেশাম কাসমী ও মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ আরমান।
এইচএ