আবিদ আনাম
কওমি মাদরাসা সনদের স্বীকৃতি নিয়ে চলমান সংকট কোনভাবেই সমাধান হচ্ছে না। আশা-নিরাশার দোলাচলে পুরো কওমি সম্প্রদায় ঘুরপাক খাচ্ছে। কখনও আশার আলো জ্বলে ওঠে আবারও নেমে আসে কালো মেঘ। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, আরজাবাদ থেকে কিশোরগঞ্জ, কাওরান বাজার থেকে ফরিদপুর কোথাও আশার বাতি নেই। জ্বলে জ্বলে নিভু নিভু অবস্থা।
সবশেষে গত বুধবার বেফাকের প্রতিনিধি টিম একই প্রতিষ্ঠানের সহসভাপতি আল্লামা আনোয়ার শাহর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে কিশোরগঞ্জ যান। সিদ্ধান্ত হয় ৩১ অক্টোবর সোমবার কওমি মাদরাসার সকল বোর্ডের সমন্বয়ে স্বীকৃতি বিষয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে হবে। বৈঠকের সমন্বয় করবেন বেফাকের সহসভাপতি আল্লামা আশরাফ আলী এবং চার বোর্ড সমন্বয় করবেন কওমি মাদরাসা শিক্ষা কমিশনের সদস্য সচিব মাওলানা রুহুল আমিন।
কিন্তু তিন দিন যেতে না যেতেই সেই বুধবারের কওমি মাদরাসার সকল বোর্ডের বৈঠকের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন চার বোর্ড সমন্বয়ক এবং কওমি মাদরাসা শিক্ষা কমিশনের সদস্য সচিব মাওলানা রুহুল আমিন। তিনি শুক্রবার বিকালে আওয়ার ইসলামকে টেলিফোনে জানান, আজকের একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমি পড়েছি। সেখানে বেফাকের স্বীকৃতি বিষয়ক কার্যক্রমকে রহস্যজনক আচরণ মনে করেছে কেউ কেউ। এবং বেফাকের নীতি নির্ধারণ মনে করছে আমাদের সঙ্গে বসাটা তাদের অফিসিয়াল অনুমতি নেই। তাই আমরা মনে করছি, বেফাক তাদের নিয়মমাফিক আমেলা বা শুরার রেজুলেশনের মাধ্যমে দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে বসলেই কেবল বৈঠক সার্থক হবে। না সময় ক্ষেপণ ছাড়া কিছুই নয়।
মাওলানা রুহুল আমিন আরও জানান, আল্লামা আহমদ শফীও দেশের বাইরে, তাই বেফাক কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না। সুতরাং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায় এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে আমরা বসতে চাই।
তাছাড়া এই বৈঠকটি শুধু স্বীকৃতি বিষয়ে ছিল না। সামগ্রিক আলেমদের ঐক্য-সম্প্রীতি ইত্যাদিও গুরুত্ব পাওয়ার কথা ছিল।
বৈঠকের সমন্বয়ক বেফাকের সহসভাপতি আল্লামা আশরাফ আলীও বৈঠক স্থগিতের খবর নিশ্চিত করেছেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সোমবারের বৈঠকটি বাতিল নয় স্থগিত করা হয়েছে। বেফাকের সভাপতি আল্লামা আহমদ শফী চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে আছেন। কাল শনিবার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। হজরতের সঙ্গে পরামর্শ করে বসতে চাই। তাছাড়া আমাদের আরও কিছু ঘরোয়া প্রস্তুতি আছে সেটা সেরেই আমরা বসছি।
এইচএ