আওয়ার ইসলাম: জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ পুলিশের সফলতা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।
আজ শুক্রবার বিকেল ৫টায় ঝালকাঠি পুলিশ লাইনসে জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ও জঙ্গি-সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে পুলিশপ্রধান এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, জঙ্গিরা বেছে বেছে নিরীহ মানুষকে হত্য করে। মানবতা ও ধর্মের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদের অবস্থান। এদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাংলাদেশ পুলিশ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে, এটা একটি গোষ্ঠীর পছন্দ হচ্ছে না। তারা জঙ্গিবাদকে দমনে সহযোগিতা না করে উল্টো মদদ দিচ্ছে, উসকে দিচ্ছে। এই উসকানিদাতাদের প্রতিহত করতে হবে।
জঙ্গিদের গ্রেপ্তার না করে কেন হত্যা করা হয়, এমন বক্তব্যের জবাবে আইজিপি বলেন, পুলিশ জঙ্গিদের প্রথমে গুলি করে না, তাদের ঘিরে রাখে। এর পরেও যখন তারা আত্মসমর্পণ করে না, উল্টো পুলিশের ওপর হামলা চালায় তখন জঙ্গিদের গুলি করা হয়। তিনি জঙ্গি নির্মূলে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্য এবং স্থানীয় জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান রসুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, একটি দেশকে ধ্বংস করতে হলে যুদ্ধ লাগে না, মাদক দিয়েই ধ্বংস করা সম্ভব। কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা জোরদার করা হলে দেশ থেকে সব ধরনের অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বের মধ্যে উন্নত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তিত হবে।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা, ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনির, ঝালকাঠি সদর উপজেলার চেয়ারম্যান সুলতান হোসেন খান, পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. মানিকহার রহমান, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ইসরাত জাহান সোনালী ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন খান সুরুজ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এস এম রুহুল আমিন।
কমিউনিটি পুলিশিয়ের এ সমাবেশ উপলক্ষে দুপুর থেকেই জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কয়েক হাজার মানুষ সমাবেশে উপস্থিত হন।
সূত্র: এনটিভি
এফএফ