আওয়ার ইসলাম: প্রায় দুই মাস ধরে বাংলাদেশের কওমি অঙ্গনে প্রধান আলোচ্যবিষয় কওমি শিক্ষাসনদের স্বীকৃতি। গত এক দশক ধরে বিষয়টি আলোচনায় থাকলেও মাস দুয়েক আগে একটি অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কওমি সনদের স্বীকৃতির বিষয়টি নিয়ে কথা বললে এটি আলোচনার শীর্ষে উঠে আসে। এরপরের ঘটনাবহুল সময়ে অনেক সম্মেলন ও বৈঠক হয়ে গেলেও স্বীকৃতির বিষয়ে একটি ঐক্যমত্যে আসা সম্ভব হয়নি এখনো।
স্বীকৃতি নিয়ে দেশের পরিস্থিতি যখন এই, বিষয়টি নিয়ে আওয়ার ইসলাম কথা বলেছে উপমহাদেশে ইসলামি শিক্ষার সূতিকাগার ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের কয়েকজন প্রবীণ, অভিজ্ঞ, ওলামায়ে কেরামের অভিভাবকতুল্য শিক্ষকের সাথে। ধারবাহিকভাবে কয়েকটি পর্বে আমরা তাদের মতামত পাঠকের সামনে তুলে ধরবো। আওয়ার ইসলামের পক্ষ থেকে কথা বলেছেন, দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষার্থী হাওলাদার জহিরুল ইসলাম।
পরিকল্পনা ও সম্পাদনা, মাওলানা সাইফুল ইসলাম রিয়াদ
বাংলাদেশের কওমি সনদের স্বীকৃতি প্রসঙ্গে দারুল উলুম দেওবন্দের সহকারি মুফতি শায়খ আল্লামা ইউসুফ তাওলাভী আওয়ার ইসলাম প্রতিনিধিকে বলেন, আমরা কারো গোলামীর আশ্রয় নেইনি কখনো নেবো না, ইনশা-আল্লাহ! সরকারের কোনো ধরণের অনুদান দারুল উলুম গ্রহণ করে না৷ দারুল উলূমের লবণ থেকে শুরু করে এক কেজি আটা পর্যন্ত তাদের মদদে আসে না৷
সরকার দেওবন্দের সনদকে HSCর মান দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ! আমরা তাদের স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যান করার পরেও তারা আমাদের শর্ত মেনে আমাদের সনদকে ইন্টার (HSC) র মান দিয়েছে। ব্যাস, আমার মনি করি শুধু বাংলাদেশ কেনো সারাবিশ্বের কওমি মাদ্রাসার নীতি-আদর্শ দারুল উলূমের মতোই হওয়া উচিত৷’
এফএফ