আওয়ার ইসলাম: আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চৌধুরীপাড়ায় বৃষ্টি মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল শেখ জনূরুদ্দীন রহ. দারুল কুরআন মাদরাসার উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মিলন মেলা-ফুজালা তুলাবা সম্মেলন। মাওলানা মুসলিম উদ্দিনের পরিচালনায় সম্মেলনে সভাপতি ছিলেন মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা হাবিবুল্লাহ।
আগামী ডিসেম্বরের ২১ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী ফেরাকে বাতেলার প্রশিক্ষণ কর্মশালার প্রস্তুতিমূলক এই সম্মেলন এক উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন মাদরাসার পুরাতন ছাত্ররা।
সম্মেলনে হাদিসের শায়েখ মুফতি মুতিউর রাহমান শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, শেখ জনূরুদ্দীন রহ. দারুল কুরআন মাদরাসা একটি বট বৃক্ষের নাম। শাইখুল হাদিস আল্লামা ইসহাক ফরীদি রহ-এর ইখলাসের ফসল। মাদরাসার প্রথম মুতাওয়াল্লি শেখ জনূরুদ্দীন রহ. দেওয়া জমিতে ভিত্তি প্রস্তর করেছিলেন হজরত মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জি হুজুর রহ.। সবার হৃদয়ভরা ইখলাস ও চোখের পানির ফসল আজকের এই বট বৃক্ষ। এই ইলমে নববির ফুলে ফলে ভরা বাগান। আমাদের সন্তানেরা বাংলার নানা প্রান্তে দেশ দশ ও মানুষের জন্য ইসলামের পতাকা নিয়ে ছুটছেন।
সভায় আগত শিক্ষার্থীদের অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ মতামত পেশ করেন। সবার চোখে মুখেই ছিল আনন্দের ঝিলিক। আপন নীড়ে ফিরে আসার আনন্দ। তবে যখনই শিক্ষার্থীরা আল্লামা ইসহাক ফরীদির স্মৃতিকথা স্মরণ করেন তখনই বেদনায় বারবার চোখ ভিজিয়ে দেয়। চাপা কান্নায় নীরব হয়ে উঠে সম্মেলন কক্ষ।
মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মুহাম্মদ আবূ মূসা প্রধান অতিথির ভাষণের শুরুতেই মাদরাসার স্বপ্নদ্রষ্টা শাইখুল হাদিস আল্লামা ইসহাক ফরীদি রহ., মাদরাসার সাবেক উস্তাদ মাওলানা আশরাফ আলী, মাওলানা জাফর আহমদ আশরাফী রহ. এর কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তিনি বলেন, শাইখুল হাদিস আল্লামা ইসহাক ফরীদি রহ. একটি বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বপ্ন দেখতেন। ইলমে নবীর প্রতিটি শাখায় পড়ার ব্যবস্থা থাকবে যে প্রতিষ্ঠানে। হজরত ইসহাক ফরীদি খুব দ্রুত সময়ে দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম হজরতের রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজের সফল করার চেষ্টা করবো। আজও সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি।
মাওলানা মুহাম্মদ আবূ মূসা সম্মেলনে উপস্থিত মাদরাসার মুতাওয়াল্লি আলহাজ্ব ইমাদুদ্দীন নোমানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আজকে ঢাকার বুকে সগৌরবে শেখ জনূরুদ্দীন রহ. দারুল কুরআন মাদরাসা সফলভাবে অগ্রসর হওয়ার পেছনে সব চেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছেন আমাদের মুতাওয়াল্লি সাহেব। মাদরাসার মুতাওয়ল্লি আলহাজ্ব ইমাদুদ্দীন নোমান সাহেব দিনের প্রতিটি মুহূর্তই মাদরাসার জন্য ব্যয় করেন। মুতাওয়াল্লি সাহেবর চিন্তা-চেতনা ও ধ্যান জ্ঞান এই প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে। তিনিও স্বপ্ন দেখেন এই মাদরাসা একদিন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
উপস্থিত সকলেই আগামী ডিসেম্বরের যুগোপযোগী ফেরাকে বাতেলার প্রশিক্ষণ কর্মশালা বাস্তবায়নে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এছাড়াও সম্মেলনে বক্তৃতা করেন মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন রাশেদ, মাওলানা আবদুর রহমান কাসেমী প্রমুখ।
এইচএ