সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

উসূলে হাশতেগানা মানলে সরকারি সনদের প্রশ্ন আসে কেন? -দেওবন্দের মুফতিয়ে আজম হাবিবুর রহমান খায়রাবাদি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

mufti-khairabadiআওয়ার ইসলাম: মুফতিয়ে আজম হাবিবুর রহমান খায়রাবাদি দারুল উলুম দেওবন্দের প্রধান মুফতি৷ হযরত প্রায় ৩০ বছর ধরে বারবার বাংলাদেশ সফর করেছেন৷ বাংলাদেশের সরকার, শিক্ষাব্যবস্থা, কওমি মাদরাসা, উলামায়ে কেরাম সব বিষয়েই হযরতের যথেষ্ট ধারণা্ রয়েছে৷ তার সাথে আওয়ার ইসলামের পক্ষ থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বাংলাদেশে কওমি সনদের স্বীকৃতির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়৷ স্বীকৃতি প্রশ্নে আমাদের শ্রদ্ধাভাজন উলামাদের মধ্যকার এখতেলাফের বিষয়টিও উঠে আসে৷

লিখেছেন ভারতের দেওবন্দ থেকে হাওলাদার জহিরুল ইসলাম। পরিকল্পনা ও সম্পাদনা, সাইফুল ইসলাম রিয়াদ

হযরত বলেন, তোমাদের দেশের উলামাদের মাঝে তুলনামূলক এখতেলাফ বেশি৷ দ্বীনি এখতেলাফের চেয়ে রাজনৈতিক এখতেলাফ বেশি৷ যা আমাদের হিন্দুস্তানে নেই৷ আমাদের এখানে শিয়া-সুন্নি, মাযহাবি-লা মাযহাবি, দেওবন্দী-বেরেলভী-মওদূদিয়াত এদের মাঝে স্পষ্ট এখতেলাফ রয়েছে এবং এটা দ্বীনি এখতেলাফ৷ কিন্তু ইসলাম ও মুসলমানের যে কোনো বিপদে সবাই এক কাতারে দাঁড়াতে পারে৷’

হজরত উদাহরণ হিসেবে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে চলামান 'তিন তালাক বাতিল' সংক্রান্ত মামলাটির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এ মামলাটির রায় যাতে মুসলমানদের পক্ষে হয় সে জন্য এ দেশের সব দলের মুসলিম নেতারা আজ ঐক্যবদ্ধ৷ তোমাদের দেশের অবস্থা কিছুটা ভিন্ন৷’

হাবিবুর রহমান খায়রাবাদি বলেন, বাংলাদেশের কওমি উলামা ও মাদারেসের প্রতি খুব একটা আন্তরিক বলে মনে হয় না ৷ তবে সরকারের মনোভাব যদি পরিবর্তন হয়ে থাকে তাহলে ভিন্ন কথা৷ সবচে' বড় কথা হলো তোমাদের আম-খাস সবার মাঝেই দারুল উলুম ও উলামায়ে দেওবন্দকে অনুসরণ করার জজবা আছে৷ তাই দারুল উলুম যে নীতি ও আদর্শের ওপর চলছে বাংলাদেশের কওমি মাদরাসাগুলোকেও সে নীতি আদর্শ মেনে চলা উচিত৷ 'উসূলে হাশতেগানা' মানলে তো সরকারি সনদের প্রশ্নই আসে না৷ উলামাদের উচিত উসূলে হাশতেগানা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করা৷

তিনি বলেন, সরকার যদি স্বীকৃতি দিতে চায় আর কওমি আলেমগণ তা গ্রহণ করতে চান তাহলে সর্বপ্রথম উলামাদের মাঝে এত্তেহাদ(ঐক্য) হওয়া জরুরী৷ এর পর সনদের বিষয়ে উলামাদের মাঝে বিস্তারিত আলোচনা-পর্যালোচনা, গবেষণা হওয়াটাও জরুরী৷ এ ব্যাপারে দারুল উলুমের সাথে যোগাযোগ রাখা উচিত বলে মনে করি৷

দারুল উলুমের মুফতিয়ে আজম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার কী আইন চালু করবে আর সেখানকার আলেমগণ কীভাবে চলবেন তা সম্পূর্ণ তাদের ব্যাপার৷ তবে আমরা সর্বদা দ্বীনি মাদারেস, আলেম-উলামার কল্যাণ কামনা করি৷ আমরা উম্মতে মুসলিমার মধ্যে এখতেলাফ নয় এত্তেহাদ দেখতে চাই৷ আল্লাহ পাক উলামাদের পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা-ভক্তি ও মুহাব্বত বাড়িয়ে দিন, সবাইকে কল্যাণকর ফায়সায় উপনিত হওয়ার তাওফিক দিন৷’

এফএফ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ