আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী বার্মার সংঘাত কবলিত রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্বিচারে গ্রেফতার এবং বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তদন্তের জন্য সে দেশের সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার বিশেষজ্ঞরা।
কয়েক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশের সীমান্তের কাছে বার্মার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কয়েকটি চৌকিতে হামলায় নয়জন পুলিশ নিহত হবার পর বার্মার নিরাপত্তা বাহিনী সে অঞ্চলে ত্রানকর্মী এবং সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। সে হামলার জন্য রোহিঙ্গা মুসলমানদের দায়ী করছে বার্মার নিরাপত্তা বাহিনী।
সে এলাকায় বার্মার নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর ব্যাপক দমন-পীড়ন চালাচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা বলছেন বার্মায় তাদের স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে জানা যাচ্ছে যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা রোহিঙ্গা মুসলমানদের বহু বাড়িতে আগুন দিয়েছে এবং অনেককে গুলি করে মেরেছে।
বার্মার রাখাইন রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বৌদ্ধ এবং সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের মধ্যে অস্থিরতা চলছে। বার্মার সরকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের সে দেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না।
সম্প্রতি রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে রোহিঙ্গা মুসলমানদের সংঘাত শুরুর পর থেকে স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে যাতায়াত সীমিত করে দিয়েছে বার্মার সেনাবাহিনী। কিন্তু রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর দমন পীড়নের বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিও নানাভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে। তবে সেসব ভিডিও কিংবা ছবি নিরপেক্ষ সূত্র থেকে যাচাই করা রীতিমতো অসম্ভব।
ছবি এবং ভিডিও বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় বার্মার নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর ব্যাপক নির্যাতন চালাচ্ছে।
গত দু'সপ্তাহের বেশি সময় চলমান সংঘাত নিয়ে তদন্তের জন্য এ প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জোরালো আহবান জানানো হয়েছে।
বহু কূটনীতিক এবং সাহায্য সংস্থাগুলো রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে এমন কিছু বরতে চায় না যেটি বার্মার সরকারকে বিব্রত বা রাগান্বিত করতে পারে।
সূত্র: বিবিসি
এফএফ