রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


আ’লীগের নেতৃত্বে আসছেন যারা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

20_alig10আওয়ার ইসলাম: আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের মধ্যদিয়ে নেতৃত্বে পরিবর্তন আসছে কেন্দ্রীয় কমিটিতে। এবারের সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটিতে তরুণদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। কমিটিতে নারী নেতৃত্বের সংখ্যাও বাড়বে। দলে নিয়ে আসা হচ্ছে অংশগ্রহণমূলক রাজনীতি।

দলের নিষ্ক্রিয় ও বিতর্কিত নেতাদের বিষয়ে আসছে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এদের মধ্যে অনেকেরই কপাল পুড়বে।

দলের প্রেসিডিয়াম, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিকসহ বিভিন্ন পদে পরিবর্তন নিয়ে দলের মধ্যে জোরালো গুঞ্জন রয়েছে।

এবারের সম্মেলনের আগমুহূর্তে বর্তমান কমিটির মুলতবি বৈঠকের পর সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে শুরু হয় গুঞ্জন। কে আসছেন এ পদে তা নিয়ে চলছে জল্পনা। সৈয়দ আশরাফ আবার থাকছেন নাকি সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের আসবেন?

এছাড়াও পদোন্নতি হয়ে নতুন কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে আসছেন অনেক ত্যাগী নেতা। তাদের মধ্যে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হবার কথা শোনা যাচ্ছে বরিশালের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম, তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ, মির্জা আজমের।

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের বেশ ক’জন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হতে পারেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিপু মনি, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়।

এছাড়াও সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সভাপতিমণ্ডলীতে ফিরতে পারেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত। আনুষ্ঠানিকভাবে দপ্তরের দায়িত্ব দেয়া হতে পারে আবদুস সোবহান গোলাপকে।

নিস্ক্রিয়তার কারণে পদ হারাতে পারেন ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নারী নেতৃত্ব সংখ্যা বাড়িয়ে চমক দেবেন দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। কমিটিতে প্রথম দিকে স্থান পেতে পারেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকী, হুইপ মাহবুব আরা গিনি।

যেসব নেত্রী অতীতে আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে ছিলেন, দলের জন্য নানা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আনা হবে।

সহযোগী সংগঠন থেকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাচ্ছেন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুন নেসা মোশাররফ, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার, সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পি, নুরুজাহান বেগম মুক্তা, সানজিদা খানম, মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রওশন জাহান সাথী, খুজিস্তা নূর ই নাহারীন মুন্নী, ওয়াসিকা আয়শা খান, উমা চৌধুরী, আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, কোহেলি কুদ্দুস মুক্তি, মারুফা আক্তার পপি, সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা, ডা. নুজহাত চৌধুরী, শমী কায়সার।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম আরটিভি অনলাইনকে বলেন, কাউন্সিল যেহেতু হচ্ছে দলে তো পরিবর্তন আসবেই। গঠনতন্ত্রেও কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। পরিবর্তন এসেছে ঘোষণাপত্রে। বাড়ছে কিছু পদের সংখ্যা। কার্যকরি কমিটির সদস্য ৭৫ থেকে বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৮১। সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ বাড়ছে ৭টি। বাড়ছে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সংখ্যাও।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্বে পরিবর্তন, নতুনত্ব আনা ও সংগঠনকে গতিশীল করা প্রতিটি রাজনৈতিক দলের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। গেলো কাউন্সিলে কিছু পদে পরিবর্তন করার প্রয়োজন থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা করা হয়নি। এবার কিছু পদে পরিবর্তন আনবেন সভানেত্রী।

তিনি বলেন, দলের নিষ্ক্রিয়, অসুস্থ ও বিতর্কিত নেতাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন নেত্রী। এছাড়া প্রত্যেকের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সামাজিক ও ব্যবসায়িক তথ্য সংগ্রহ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কারা পদ-পদবির অপব্যবহার করেছেন, নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করেছেন এসব বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছেন।

বিভাগ বাড়ানোর কারণে সাংগঠনিক সম্পাদকদের পদ বাড়ানোর পাশাপাশি এ পদে পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা খুবই বেশি। টানা দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনকারী সংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে কমপক্ষে চারজনের পরিবর্তন হবে। তবে এ পদ থেকে দুই-একজনের পদোন্নতি হবে।

তরুণদের মধ্যে নতুন কমিটিতে আসতে পারেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ও ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক শাকিল, সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার, প্রধানমন্ত্রীর সহকারি একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শিখর।

 

সূত্র: আরটিভি


সম্পর্কিত খবর