শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসবে, সতর্ক থাকতে হবে: গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা ‘কোনো রাজনৈতিক দলকে সরিয়ে দেয়ার ইচ্ছা জামায়াতের নেই’ শরীরে রক্ত বাড়াতে যেভাবে পালং শাক খাবেন

ধর্ষণ ও মিডিয়ার কান্না কান্না আবেগ ব্যবসা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

15-dayরেজাউল করিম রনি

একজন প্রেমিককে ধর্ষক বানানো হলো মিডিয়ার আবেগি ব্যবসার জন্য। কিছু কান্না ব্যবসায়ী ও সংখ্যা লঘু দরদী কলমবাজ বেশ লেখা-লেখিও করেছেন এটা নিয়ে। প্রথম আলোসহ সব মিডিয়া পারলে মুক্তিযুদ্ধের আবেগে প্রেমিক সোবহানকে জ্যান্ত খায়া ফেলে। ১৫ দিন ধরে আটকে রেখে হিন্দু নারীকে ধর্ষণের সে খবর মিডিয়াতে রসিয়ে রসিয়ে প্রচার করা হয়েছে তা ভুয়া। এটা প্রেম ছিল। যদিও পরকিয়া। তবে সোবহান মনে হয় এটা আপনক্রিয়া মনে করেই করছিলেন। ডয়েচে ভেলের রিপোর্টে মিডিয়ার কথিত ধষিত নারীর বক্তব্য পাওয়া গেছে।

‘‘ওই নারীও জানিয়েছেন, কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি৷ আমাদের পাশাপশি বসে গল্প করতে দেখেন আমার স্বামী৷ তারপর সে পালাতে গিয়ে আমার পায়ে ছুরিকাঘাত করে৷ গত ৬ মাস ধরে সোবহানের সঙ্গে আমার পরিচয়৷ সে আমাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতো৷''

তো ঐ দিন মশারির ভিতর বসে দ্বিতীয় তলায় ঐ নারী ও প্রেমিক সোবহান গল্প করছিল। নিচে স্বামী ঘুমাইতেছিল। খুচুর খুচুর গল্পের আওয়াজে ঘুমের ডিসটার্ব হওয়ায় ঘুম ভেঙে দেখেন প্রাণের স্ত্রী পাশে নাই। পরে দ্বিতীয় তলায় গিয়ে দেখেন স্ত্রী সোহবানের সাথে মধ্য রাতে রামায়নের গল্প জুড়ে দিছেন। মনে হয় রাতের নিরিবিলি পরিবেশে রামায়নের গল্প বলে মুসলামন সোবহানের মনে ভক্তি ভাব জাগ্রত করতে চেয়েছিলেন সনাতন ধর্মের ঐ নারী। কিন্তু স্বামী আসামীকে হাতে নাতে ধরতে গেলে সোবহান ছুরি চালান। আর এতে স্বামী সিনেমার স্টাইলে সরে গেলে কোপ লাগে প্রেমিকার পায়ে। এই হল আসল ঘটনা।

এই ঘটনাকে চেতনার ফিল্টারে অন্য রামায়নের গল্প বানিয়ে শাহবাগী ও বামপন্থিরা ব্যাপক আবেগ উতপাদন করেছেন। যেহেতু হিন্দু নারী তাই কোন কোন রিপোর্টে ধর্ষনের পরে পায়ে কোপানোর বিষয়টা অতি নিপুণভাবে, চরম নিষ্ঠুরতা আকারে দেখানো হয়েছে। উদ্দেশ্য ছিল, ভারত মাতার চেতনায় একটু তা দেওয়া। কিন্তু দুষ্টু ডয়েচে ভেলে আসল ঘটনা তদন্ত করে সঠিক রিপোর্ট পেশ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও চিরবন্ধু ভারতের সাথেই শুধু নয় মিডিয়ার পরিবেশিত রামায়নের গল্পের ১২টা বাজাই দিছে।

প্রিয় দেশবাসী। গপ্পের রামায়ন-মহাভারত ও এই টাইপের কিচ্ছার ডাউস ডাউস বই পড়ার দিন শেষ। ডিজিটাল পদ্ধতীতে বাংলাদেশের মিডিয়ার খবরে চোখ রাখলেই সব রুপ কথার গল্প সহজে আপনার জিবনে প্রবেশ করবে।

লেখকের ফেসবুক পেইজ থেকে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ