ফারুক ফেরদৌস
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে প্রায় একশ দিন ধরে চলমান ভারত বিরোধী আন্দোলনের কারণে ঐতিহাসিক জামে মসজিদে জুমার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে সরকার। অন্য খানকা ও দরগাগুলোতেও বেশির ভাগ সময় তালা ঝুলে থাকে। চৌদ্দ শতকে সুলতান সিকান্দাদের নির্মিত জামে মসজিদ লাগাতার বন্ধ হয়ে আছে।
মধ্য এশীয় স্থাপত্যকৌশলে নির্মিত মসজিদটি শ্রীনগরের নাওহাটা এলাকায় অবস্থিত। শত বছর ধরে জুলুম নিপীড়নের বিরুদ্ধে কাশ্মীরের প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে এই মসজিদ পুরো জম্মু কাশ্মীরে প্রসিদ্ধ। স্বাধীনতাকামী নেতা ও হুররিয়ত কনফারেন্সের প্রধান মীর ওয়ায়েজ ওমর ফারুক এই মসজিদে প্রত্যেক জুমায় বড় জমায়েতে বক্তৃতা করতেন। তিনি এখন ভারতীয় জেলে বন্দি। ইয়াসিন মুলক আসিয়া আন্দ্রাবি সহ অন্য নেতারাও বিভিন্ন জেলে বন্দি। সাইয়েদ আলী শাহ গিলানী দীর্ঘ দিন ধরে গৃহবন্দি।
ঈদের দিনও শুধু জামে মসজিদগুলোই নয়, হযরত বল এলাকায় হিন্দু মুসলিম সর্বস্তরের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য দরগাও তালাবন্ধ ছিলো। গত ১২ অক্টোবর আশুরার দিনও সরকার শিয়া অধ্যুষিত এলাকার প্রচলিত জলসাগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছিলো।
শ্রীনগরের হাসনাবাদ এলাকার বাসিন্দা আব্বাস বলেন, এটা তো ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ। এটা তো ভারতের আইনের বিরোধী। কিন্তু এখানে না ভারতের আইন চলে না মানবাধিকারের সর্বজন গ্রহণযোগ্য কানুন। এটা জঙ্গল রাজ।
শিক্ষার্থী আসগর হোসাইন বলেন প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ হিন্দু পুণ্যার্থী এখানে অমরনাথে আসেন। তখন পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু এখানকার বাসিন্দাদের ধর্মীয় অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হয়।
কাশ্মীরের আলেম বশিরুদ্দীন বলেন, সরকার ধর্মীয় ব্যাপারে অন্যায় হস্তক্ষেপ করছে।
কাশ্মীরে একশ’ দিন ধরে চলমান আন্দোলনের কারণে শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে এ পর্যন্ত নব্বই জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি উর্দু
এফএফ