আওয়ার ইসলাম: সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে বরাবরই অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি খারিজ করে একাধিক প্রমাণ দেখানোরও চেষ্টা করেছে পাক প্রশাসন। কিন্তু বর্তমানে স্বদেশেই চাপের মুখে পড়ে গেল ইসলামাবাদ। দেশের মধ্যে তৈরি হয়েছে সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কা। ভারতীয় সেনার কৃতিত্ব এবং তার পিছনে পাক গোয়েন্দা ব্যর্থতাই এর কারণ।
সম্প্রতি ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক ইনসাফ(পিটিআই)-এর ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মেহমুদ কুরেশির বক্তব্যের একটি ভিডিও ফাঁস হয়েছে। সেখানে তার মুখে দলীয় কর্মীদের ইসলামাবাদ অচল করে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা বলতে শোনা গেছে। আর এই নিয়েই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পাকিস্তানের রাজনীতি।
এর আগে ১৯৯৯ সালে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমেই দেশের ক্ষমতা দখল করেছিলেন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ। সেই সময়েও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নওয়াজ শরীফ। বর্তমানেও দেশে একই পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন শাহ মেহমুদ কুরেশি। আর সেই পথেই ইসলামাবাদ দখলের পরিকল্পনা করেছেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক।
তবে জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের মতো কোন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “সেনাবাহিনীর সঙ্গে সরকারের সুসম্পর্ক রয়েছে। সামরিক বাহিনী দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করেছে এবং আমি যতদূর জানি, দেশে সেনা অভ্যুত্থানের কোন আশঙ্কা নেই।”
সূত্র: কলকাতা২৪