আওয়ার ইসলাম: চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন। শুক্রবার বেলা পৌনে বারটার দিকে তিনি ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছুলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ তাঁকে স্বাগত জানান।
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিবেচনায় চীনের প্রেসিডেন্টের এ সফরকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।
প্রায় তিন দশক পর চীনের কোন প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফর করছেন। তবে, শি জিনপিং এর বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফর। এর আগে ২০১০ সালে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাংলাদেশে এসেছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় জানিয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্টের এই সফরের সময় ২৫টির বেশি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবার কথা রয়েছে।
চীনের প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা ছাড়াও কয়েকজন মন্ত্রী রয়েছেন।
শি জিনপিং কে বহনকারী বিমানটি বাংলাদেশের আকাশসীমার মধ্যে প্রবেশ করলে বাংলাদেশের বিমান বাহিনীর তিনটি বিমান তাকে পাহারা দিয়ে নিয়ে আসে।
বিমানবন্দরে তাঁকে সামরিক বাহিনীর একটি সুজ্জিত একটি দল গার্ড অব অনার দেয়। সেখানে তাঁকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।
তিনি বিমানবন্দরের কাছেই একটি হোটেলে থাকছেন। সেখান থেকে বিকেল তিনটায় চীনের প্রেসিডেন্ট যাবেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। সেখানে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে আলোচনার পর দ্বিপক্ষীয় চুক্তিগুলো সই হবে।
এরপর তিনি হোটেলে ফিরলে সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া।
সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান আব্দুল হামিদ এবং শি জিনপিং বৈঠক করবেন।
এরপর বঙ্গভবনেই চীনের প্রেসিডেন্টের সন্মানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নৈশভোজ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট শনিবার সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।তার পরই তাঁর ঢাকা ছেড়ে ভারতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়ার কথা রয়েছে।
সূত্র: বিবিসি