সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

আমরা মৌলিকত্ব প্রমাণে ব্যর্থ; আমাদের ফিকহ এখনো অনুবাদনির্ভর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

shah-najrul-islamদেশের বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন, ইসলামী চিন্তাবিদ, শিক্ষাবিদ, লেখক গবেষক মাওলানা শাহ নজরুল ইসলাম পবিত্রভূমি বৃহত্তর সিলেটের কৃতি সন্তান আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টি ফোরের পক্ষ থেকে তার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন অনুবাদক কলামিস্ট মাওলানা আবদুল আজীজ আল হেলাল সম্পাদনা : জাকির মাহদিন

 

আবদুল আজীজ আল হেলাল : আধুনিক প্রযুক্তি ও জ্ঞান-বিজ্ঞান এখন অনেকদূর এগিয়েছে। মুসলমানগণ এক্ষেত্রে যথেষ্ট পিছিয়ে। অথচ একসময় জ্ঞান-বিজ্ঞানে মুসলমানরাই পৃথিবীর শীর্ষে ছিল। সেই হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের উপায় কী?

শাহ নজরুল ইসলাম : উপায় হচ্ছে বিজ্ঞান চর্চায় মনোনিবেশ করা। উদ্ভাবন, গবেষণা, আবিষ্কারে আত্মনিয়োগ করা। তথ্য প্রযুক্তিতে সম্মানজনক অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করা। বিজ্ঞান চর্চার প্রতি আমাদের যে অনিহা অবহেলা তা থেকে বেরিয়ে আসা। বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গড়ে তোলা।

আবদুল আজীজ আল হেলাল : ইসলামী শরীয়াহর আলোকে স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল, ভিডিও রেকর্ডিং ও অন্যান্য প্রচার মাধ্যমে ইসলামী ব্যক্তিত্ব বিশেষত আলেমগণের অংশগ্রহণ আপনি কিভাবে দেখেন?

শাহ নজরুল ইসলাম : আমাদের উপমহাদেশে বিষয়টি নিয়ে একধরনের ধুম্রজাল ও অস্পষ্টতা ছিল যা পৃথিবীর অন্যান্য দেশে ছিল না। বর্তমানে বেতার ও টেলিভিশনে আলেমদের অংশগ্রহণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নানা বিষয়ে ইসলামের আলোকে তারা গণমাধ্যমে কথা বলছেন। এতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছে। টেলিভিশন পৃথিবীর শক্তিশালী গণমাধ্যম। এটি মানুষকে দারুণভাবে প্রভাবিক করে। গত ক’বছর আগে দারুল উলুম করাচী পাকিস্তান থেকে এ বিষয়ে একটি ফতোয়া জারি হয়েছে যাতে এর প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশিত। এটি উপমহাদেশের রক্ষণশীল আলেমদের দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি। আমি গণমাধ্যমে আলেমদের অংশগ্রহণকে স্বাগত জানাই।

বড় বড় মাদরাসাগুলোতে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিভাগ খোলা যেতে পারে। এক্ষেত্রে দারুর-রশিদ-মীরপুর পথিকৃতের ভূমিকা পালন করছে। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় কাজ করতে আগ্রহীদের দীর্ঘ ও স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণের আয়োজন করা যেতে পারে। এতে করে মাঠপর্যায়ে কাজ করার একদল সৎ ও দক্ষ মিডিয়াকর্মী গড়ে উঠবে যারা তাদের কার্যক্রমে ইসলাম ও ইসলামি আদর্শের প্রতিফলন ঘটাবে।

আবদুল আজীজ আল হেলাল : ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় আলেমগণের সম্পৃক্ততা কিভাবে আরও বেশি জোরদার করা যায়…

শাহ নজরুল ইসলাম : এজন্য তোলাবাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি প্রয়োজন। আমি মনে করি প্রথমেই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির কাঙিক্ষত পরিবর্তন আনতে হবে। এ প্রশ্নের উত্তর অংশগ্রহণকারীর কাছে স্পষ্ট হতে হবে যে আমি কেন এ জাতীয় প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করব? নিয়ত হওয়া উচিত মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। লক্ষ হবে দ্বীনের দাওয়াত। এক্ষেত্রে জ্ঞান, প্রজ্ঞা, দক্ষতা, উপস্থাপন কৌশল, প্রাঞ্জল ভাষা, মানানসই পরিচয়, পোষাক, মেজাজের ভারসাম্য, উদারতা জরুরি। এজন্য বড় বড় মাদরাসাগুলোতে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিভাগ খোলা যেতে পারে। এক্ষেত্রে দারুর-রশিদ-মীরপুর পথিকৃতের ভূমিকা পালন করছে। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় কাজ করতে আগ্রহীদের দীর্ঘ ও স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণের আয়োজন করা যেতে পারে। এতে করে মাঠপর্যায়ে কাজ করার একদল সৎ ও দক্ষ মিডিয়াকর্মী গড়ে উঠতে পারে যারা তাদের কার্যক্রমে ইসলাম ও ইসলামি আদর্শের প্রতিফলন ঘটাবে।

আবদুল আজীজ আল হেলাল : নিশ্চয় ইজতেহাদ বা গবেষণা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেকে বলেন ইজতেহাদের সুযোগ বর্তমানে আর ব্যাপকভাবে নেই। কারণ ইজতেহাদের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব পাওয়া এখন কঠিন।

শাহ নজরুল ইসলাম : ব্যাপকভাবে ইজতেজাদের সুযোগ নেই- এ কথার সঙ্গে আমি একমত। কারণ এখন ইজতেহাদ-ফিল-মাযহাবের প্রয়োজন নেই। কিন্তু তাই বলে কেউ যদি মনে করেন ইজতেহাদের দরজা একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে সেটার সঙ্গে আমি একমত নই। এটা মেনে নিলে ইসলামি শরীয়তকে প্রকারান্তরে বন্ধ্যা বলতে হবে। নিত্যনৈমিত্তিক সমস্যার সমাধান দিতে পারবে না। ইজতেহাদ উদ্ভাবন ও গবেষণার একটি চলমান প্রক্রিয়া, এটা অব্যাহত থাকতে হবে। ‘ইজতেহাদ ফিল মাসআলা’ চলবে এবং চালাতে হবে। এককভাবে যোগ্য লোক না পাওয়া গেলে সামষ্টিকভাবে করতে হবে এবং তা অসম্ভব কোনো ব্যাপার নয়। কোরআন হাদিসের ভাণ্ডার আমাদের হাতের নাগালে। বিশ্বব্যাপী ইসলাম বিশেষজ্ঞ এবং আলেমগণ তা করছেন।

আবদুল আজীজ আল হেলাল : আপনি দেশ-বিদেশের অনেক ইসলামিক স্কলারের সংস্পর্শ পেয়েছেন। ইজতেহাদ নিয়ে তাদের মূল্যায়ণ কী?

শাহ নজরুল ইসলাম : তারাও তাই মনে করেন যা আমি বললাম। ভারতের মুফতি খালেদ সাইফুল্লাহ রহমানী বাংলাদেশ সফরে এসে একপর্যায়ে সিলেটেও আসেন। আমরা একটি ফিকহ সম্মেলন করি। সেখানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেছিলেন, সমকালীন প্রশ্নের জবাব কোরআন সুন্নাহর আলোকে দিতে হবে এবং যোগ্য আলেমদের মাসআলা উদ্ভাবনে কাজ করতে হবে। যেমনটা আমরা ভারতে করে যাচ্ছি। একই কাজ পাকিস্তানে শায়খুল ইসলাম তকী উসমানী করছেন। বিশ্বে আলেম-উলামা সম্মিলিতভাবে ইজতেহাদ করছেন। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।

আবদুল আজীজ আল হেলাল : বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশে ইদানিং বড় বড় ইসলামি গবেষণাকেন্দ্র গড়ে উঠেছে। অথচ বাংলাদেশে ইসলামি অঙ্গনে এ ধরনের কাজ খুবই নগণ্য। এই ঘাটতি কিভাবে পূরণ করা যায়?

শাহ নজরুল ইসলাম : এটা আমাদের দুর্ভাগ্য। চিন্তা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে আমরা পিছিয়ে। আমরা আমাদের মৌলিকত্ব ও স্বকীয়তা প্রমাণে ব্যর্থ। আমাদের ফিকহ এখনো অনুবাদনির্ভর। মৌলিক কাজকর্ম করার জন্য যে দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণ প্রত্যাশিত বাংলাদেশে তা অনুপস্থিত। তাই অন্যান্য দেশের মত ফিকহী গবেষণামূলক কাজ হচ্ছে না। এ ঘাটতি পূরণে প্রথমেই দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও উদারতা প্রয়োজন। মতানৈক্য ও বিচ্ছিন্নতা দূর করে সমন্বিতভাবে সাম্প্রতিক বিষয়সমূহের ব্যাপারে গবেষণা করা একান্ত অপরিহার্য।

আবদুল আজীজ আল হেলাল : সিলেটের কথাই ধরুন। এখানকার আলেমগণ একসময় গোটা ভারতের রাজনীতি সংস্কৃতি ও সামাজিক অঙ্গনে সক্রিয় নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু এখন উল্লেখযোগ্য কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ে না। এর কি কারণ থাকতে পারে বলে আপনি মনে করেন?

শাহ নজরুল ইসলাম : শুধু সিলেটের কথা বলি কেন, সমগ্র বাংলাদেশেই এই বন্ধ্যাত্ব চলছে। আসলে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা উদার মানসিকতা ও নেতৃত্ব গুণসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব জন্ম দিতে ব্যর্থ হচ্ছে এ কথা স্বীকার না করে উপায় নেই। শিক্ষার্থীদের জাতিকে নেতৃত্বদানে উপযোগী শিক্ষা দেয়া হচ্ছে না। একপ্রকার পরগাছা মানসিকতা নিয়ে তারা বের হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের পর হীন্মন্যতা তাদের গ্রাস করছে প্রচণ্ডভাবে। মেরুদণ্ডহীন মানুষ সমাজের নেতৃত্ব দেবে কীভাবে। ভ্রাতৃত্ববোধ, সংহতি, সেবা উন্নয়নকর্মে সম্পৃক্ত হবার প্রেরণা যাদের কাছে নেই তারা কোনোদিনই সমাজে নেতৃত্বের আসন পেতে পারে না। এজন্য শিক্ষার মধ্যে ঐক্য, সংহতি নেতৃত্ব, সেবা ও উন্নয়নের রাজপথে চলার অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করতে হবে। সেরকম শিক্ষা দিতে হবে। বাস্তবতার উপলব্ধি, সমাজ ও দেশের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান থাকতে হবে। সমাজ ও দেশের কল্যাণে কাজ করার গুরুত্ব বুঝতে হবে।

শিক্ষাব্যবস্থা উদার মানসিকতা ও নেতৃত্ব গুণসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব জন্ম নিতে ব্যর্থ হচ্ছে এ কথা স্বীকার না করে উপায় নেই। শিক্ষার্থীদের জাতিকে নেতৃত্বদানে উপযোগী শিক্ষা দেয়া হচ্ছে না। একপ্রকার পরগাছা মানসিকতা নিয়ে তারা বের হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের পর হীন্মন্যতা তাদের গ্রাস করছে প্রচ-ভাবে।

আবদুল আজীজ আল হেলাল : পত্রিকার পাতা খুললেই দেখা যায় হত্যা, ধর্ষণ ও সামাজিক অবক্ষয়ের ভয়াল স্রোত সমাজে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। নৈতিক শিক্ষার অভাবে মানুষ আজ দিশেহারা। এ ব্যাপারে জাতীয় পর্যায়ে আমাদের করণীয় কী?

শাহ নজরুল ইসলাম : ইসলামি বিধি-বিধান অনুশীলন এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. এর জীবনাদর্শের অনুসরণের মাধ্যমে আমরা জাতীয় পর্যায়ে নৈতিক অধপতন ঠেকাতে পারি। নৈতিক পাঠ মানুষের জন্য খুবই জরুরি। এজন্য কুরআন সুন্নাহে উন্নত চরিত্র গঠনের যে শিক্ষা আছে তাই আমাদের রক্ষাকবচ। শিশুকিশোর ও যুবকদের অতিমাত্রায় নৈতিক পাঠ নিতে হবে। এ ব্যাপারে আলেমদের সক্রিয় ভূমিকা পালন সময়ের দাবি। শিক্ষাব্যবস্থা ও কারিকুলামে বিষয়টি আরও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে।

আবদুল আজীজ আল হেলাল : নেতিক উন্নয়নের জন্য অনেক মাহফিল, সেমিনার-সিম্পোজিয়াম, সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কেউ মিলাদুন্নবী, কেউবা সীরাত মাহফিলে রাসূলের আদর্শের কথা বলেছেন। অথচ প্রকৃত অনুসরণ অনুকরণের ক্ষেত্রে সকলেই পিছিয়ে।

শাহ নজরুল ইসলাম : মূল বিষয় হচ্ছে মহান আল্লাহর হুকুম পালন ও মহানবী (সা:) এর জীবনাদর্শের অনুশীলন। তা না করে বাগাড়ম্বর করলে উপকার পাওয়া যাবে না। তাই আনুগত্য ও অনুসরণ করতে হবে এবং গণমানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

আবদুল আজীজ আল হেলাল : আজকের বিশ্বে বিশেষত পাশ্চাত্যে ইমাম গাযালীর চিন্তা-দর্শন ও জীবন নিয়ে ব্যাপক চর্চা হচ্ছে। প্রাচ্যের অধিবাসী এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকার কারণ কী?

শাহ নজরুল ইসলাম : ইমাম গাযালী ইসলামের ইতিহাসে এক অবিস্বরণীয় নাম। তার চিন্তা-দর্শন সমকাল এবং পরবর্তীতেও মুসলমি উম্মাকে আন্দোলিত করেছে। একজন দার্শনিকের সব কথার সাথে একমত হওয়া জরুরি নয়। ইদানিং শুধু গাযালী নয় বরং মাওলানা রুমীকে নিয়েও মাতামাতি হচ্ছে ইউরোপে ব্যাপকভাবে। একমাত্র বাস্তবে তাদের অনূসৃত আদর্শের অনুসরন কতটা আছে সেটা দেখতে হবে। আমাদের দেশের কথা যদি বলেন তাহলে আমি বলব, আমাদের মেধা ও মননশীলতার ক্ষেত্রে যে বন্ধ্যাত্ব চলছে সেটাই আমাদেরকে জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে আড়ষ্ট করে রেখেছে। এ জন্য গবেষণা, মৌলিক রচনা, বিশ্লেষণ, আবিষ্কার-উদ্ভাবন এবং সমকালকে ধারণে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি। ইমাম গাযালীকে ধারণ করার মতো আমাদের মননশীলতা কোথায়!

দ্বিতীয় পর্বে সমাপ্ত…

এফএফ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ