আওয়ার ইসলাম: রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসের শারীরিক অবস্থার ক্রমেই উন্নতি হচ্ছে। ভর্তির পর থেকে একটানা ভেন্টিলেটর মেশিনের সহায়তায় কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করলেও মঙ্গলবার থেকে মাঝে মাঝে সাময়িকভাবে মেশিন খুলে ফেলছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালের মেডিসিন অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের অধ্যাপক ডা. মির্জা নাজিমউদ্দিন বলেন, ‘খাদিজার শারীরিক অবস্থার ক্রমেই উন্নতি হচ্ছে। মাঝে মাঝে ভেন্টিলেটর মেশিনের সাপোর্ট ছাড়াই সে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করছে।’
তিনি জানান, ‘স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণের জন্য সোমবার শ্বাসনালীতে ছোট্ট একটি অস্ত্রোপচার হয়। শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য আগে মুখে টিউব ছিল, সেটি সরিয়ে গলার সামনের অংশে দেয়া হয়েছে। অবস্থা পুরোপুরি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত এভাবে রাখতে হবে।’
এগুলো স্বাভাবিক চিকিৎসা প্রক্রিয়া উল্লেখ করে মীর্জা নাজিমউদ্দিন বলেন, ‘দোয়া করেন, মেয়েটি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠে।’
এর আগে গত শনিবার স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা খাদিজা আক্তার প্রথম চোখ খুলেন। সেদিন তিনি ডান হাত ও ডান পা নাড়িয়েছেন।
প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ৩ অক্টোবর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলম সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে।
গুরুতর আহত খাদিজাকে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরদিন ভোরে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ওইদিন দুপুরে স্কয়ার হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা তাকে ৯৬ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখেন।
আরআর