আওয়ার ইসলাম: কিছু মানুষকে দেখা যায়, ইমাম রুকুতে থাকা অবস্থায় তাকবীরে তাহরিমা বলে নামাযে শরীক হয়। সে রুকুতে যেতে যেতে বা যাওয়ার আগে যদি ইমাম রুকু থেকে উঠে যান তাহলে আবার নতুন করে তাকবীর বলে হাত বাঁধে। সে হয়ত মনে করে, রুকু যেহেতু পেলামই না নতুন করে আবার শুরু করা যাক। বা এ অবস্থায় কী করবে ভেবে পায় না, ফলে নতুন করে আবার তাকবীর বলে হাত বাঁধে। এটি একটি ভুল পদ্ধতি।
মুক্তাদী রুকুতে যাওয়ার আগেই যদি ইমাম রুকু থেকে উঠে যান তাহলে দাঁড়ানো অবস্থায়ই ইমামের সাথে শরীক হবে এবং ইমামের অনুসরণ করবে, নতুন করে তাকবীর বলে হাত বাঁধবে না।
আর যদি এমন হয় যে, ইমাম রুকু থেকে উঠে গিয়েছেন আর মুক্তাদী রুকু পাননি ঠিকই কিন্তু রুকুতে চলে গিয়েছেন; তাহলে তার করণীয় হল, রুকু থেকে উঠে যাওয়া এবং ইমামের অনুসরণ করা। (ইমাম যে অবস্থায় আছেন সে অবস্থায় ফিরে আসা।) আর যেহেতু সে ইমামকে রুকুতে পায়নি তাই সে রাকাতও পায়নি। কারণ, রাকাত পাওয়ার জন্য ইমামকে রুকুতে পাওয়া শর্ত।
এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয়ও লক্ষ্য করা যায়, রুকু না পেলে কিছু মানুষ জামাতে শরীক না হয়ে এমনিই দাঁড়িয়ে থাকে। ইমাম যখন চলমান রাকাত শেষ করে পরবর্তী রাকাতের জন্য দাঁড়ান তখন সে নামাযে শরীক হয়। এ পদ্ধতিটিও ঠিক নয়।
হাদীস শরীফে এসেছে, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
مَا أَدْرَكْتُمْ فَصَلُّوا، وَمَا فَاتَكُمْ فَاقْضُوا.
অর্থাৎ তোমরা ইমামকে যে অবস্থায় পাও নামাযে শরীক হয়ে যাও, আর যতটুকু ছুটে গেছে তা (জামাত শেষে) আদায় কর। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৩৬
সুতরাং ইমামকে যে অবস্থায়ই পাওয়া যাক নামাযে শরীক হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, ইমামকে রুকু অবস্থায় পাক বা রুকু থেকে দাঁড়ানো অবস্থায়- উভয় ক্ষেত্রে হাত বাঁধতে হবে না। বরং দু’হাত তুলে তাকবীরে তাহরিমা বলে হাত না বেঁধে রুকুর তাকবীর বলে রুকুতে যাবে বা ইমাম দাঁড়িয়ে গেলে হাত না বেঁধে ইমামের সাথে নামাযে শরীক হবে।
সূত্র: আল কাউসার
এফএফ