সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

আই লাভ কুরআনুল কারিম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

yasin঳ মুফতি মনোয়ার হোসাইন

পেশায় ড্রাইভার। বসের ছেলের গাড়ি চালাতে হয়। শরীয়তপুর বাড়ি। মসজিদের বারান্দায় প্রায়ই দেখি। হেলে দুলে কুরআন পড়ে। তিলাওয়াত কাছে থেকে শুনে বুঝলাম হাফেয। গায়ে শার্ট, জিন্সের প্যান্ট, খোচা দাড়ি। বেশ ক’দিন দেখার পড়ে আজ কাছে ডাকলাম।

-তুমি তো হাফেয, কিন্তু ড্রেসে এমন অবস্থা যে। যাক তবুও ধন্যবাদ যে তুমি কুরাআন চর্চা করে ইয়াদ ধরে রেখেছো। ( হাফেয সাহেবদের এমন ড্রেসে দেখলে আমাদের অঙ্গন ওকে নষ্ট ভাবববার কথা আমি অব্শ্য নষ্ট ভাবি নি, একটু উদারতো! ড্রেসে ওতটা ইসলাম খুজি না থাকলে ভালো।)
= জি না হুজুর, আমি হাফেয না। কিন্তু মুখস্ত করার ট্রাই করছি।
-আচ্ছা! কেমনে কিভাবে করলা একটু বলো দেখি।

আমার দাদা একজন হাফেয ছিলো। আদর করতো খুউব। কাছে কাছ রেখে কুরআন শেখাতো। দাদা নেই। স্কুলে পড়েছি। সংসারের প্রয়োজনে অল্প বয়সেই উপার্জনে নামতে হয়েছে। বেশি পড়াশুনা করতে পারি নি। একজনের প্রাইভেট গাড়ি চালাই। দাদার কথা খুউব মনে পড়ে। গেল রমযানে কুরআন পড়তে শুরু করলাম। ভালো নযরানা পড়তে পারি। একদিন মনে হলো শুধু নযরানা পড়ে কী লাভ- মুখস্ত শুরু করলাম। দেখলাম প্রতিদিন পাঁচ পৃষ্ঠা করে মুখস্ত করতে পারি। আর ব্ন্ধ করি নি। ডিউটির ফাকে ফাকে কুরআন মুখস্ত করি। বসকে কাজে দিয়ে আমি আশে পাশে মসজিদ খুজি,সেখানে বসে কুরআন পড়ি। রমযানে শুরু করেছি, আজকে আমার ১৭ পাড়া তিন পৃষ্টা মুখস্ত হয়েছে!

- বল কি!
=জি হুজুর!! আশ্চর্য হয়ে গেলাম। বিস্মিত হয়ে তাকিয়ে রইলাম। সমস্ত ভালোবাসা যেন ওর জন্য নিবেদিত হতে লাগলো। মনে চাইলো ওকে বুকে জড়িয়ে ধরি। পাশে একজন শিল্পপতি ছিল তাকে বললাম- উৎসাহ দিলাম ড্রাইভার পারলে আপনি কেন নয়? উনি আমাকে অফার করলেন- একে মাদরাসায় দেন। ও যা বেতন পায় আমি প্রতি মাসে সে পরিমাণ টাকা ওকে দেব। আমি খুশি হলাম। ইন্সপায়ার্ড আমি। আজ কুরআন পড়া হয়নি। রুমে এসে উজ্জিবিত হয়ে বেশ খানিক কুরআন পড়লাম।

হে ডাক্তার, হে ইঞ্জিনিয়ার, হে পি এই ডি, মাস্টার্স হোল্ডারসহ উচ্চ শিক্ষিত ভাই-বোনে রা, হে আমার মেধাবি ভাইয়েরা, হে আমার শিল্পপতি ভাইয়েরা, কুরআন আল্লাহর বাণী, আল্লাহ থেকে এসেছে। আপনি এত কিছু অর্জন করেছেন আপনি কুরআনও অর্জন করতে পারবেন। সম্পদ সার্টিফিকেট সব নস্ট হবে কিন্তু কুরআন এমন সম্পদ যা আপনাকে দুনিয়া ও আখেরাতে সাকসেস এনে দেবে। আপনি কুরআন ভালোবেসে জীবনে তা অর্জন করে মানব জীবনটা ধন্য করুন। হ্যা পারবেন কিন্তু আপনি। ঐ ড্রাইভার পেরেছে আপনি অবশ্যই পারবেন। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেছেন- আমি করআনকে সহজ করেছি........আপনার জন্যই। আসুন না। জীবনটা ধন্য করি!!

আরআর


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ