আওয়ার ইসলাম: ছাত্রলীগ নেতার হাতে গুরুতর আহত সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিসের বাবা দেশে আসছেন। মেয়ের উপর নৃশংস হামলার খবর শুনে পাগলপ্রায় পিতা মাসুক মিয়া সৌদি আরব থেকে রওয়ানা দিয়েছেন। একই দিন দেশে আসছেন খাদিজার বড় ভাই চীনে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অধ্যয়নরত শাহীন আহমদ।
খাদিজার দু:সময়ে পাশে থাকতে দেশে ছুটে আসছেন তারা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি বিমানে মাসুক মিয়া সৌদি থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক শাহজালাল বিমাবনবন্দরে এসে পৌঁছবেন বলে জানান খাদিজার চাচা আব্দুল কুদ্দুস।
তিনি বলেন, খাদিজার বাবা টেলিফোনে জানিয়েছেন, তার পরিবার নিরাপদে নেই। তাই তিনি তিনি দেশে ফিরছেন। হামলাকারী বদরুলের কঠিন শাস্তির দাবিও করেছেন খাদিজার বাবা।
খাদিজার বাবা সৌদি আরব জেদ্দা প্রবাসী মাসুক মিয়া বলেছেন, এমনভাবে নরপশু বদরুলকে শাস্তি দেয়া হোক, যেন আর কেউ কখনো এমন জঘণ্য কাজ করার দুঃসাহস করতে না পারে। এসময় তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বলে জানান খাদিজার চাচা।
এদিকে, সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে বদরুল জনসম্মুখে ধারালো চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সৌদি আরব প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
উল্লেখ্য, সোমবার বিকালে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে সরকারি মহিলা কলেজের ডিগ্রী ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিস (২৩) উপর হামলা চালায় শাহাজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক বদরুল আলম। এসময় সে চাপাতি দিয়ে খাদিজার শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপুরি কোপাতে থাকে। এতে খাদিজার মাথা ও পায়ে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়।
অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার ভোরে তাকে নেয়া হয় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে। সেখানে আরেক দফা মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। বর্তমানে সে হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে। তার অবস্থা এখনো আশংকাজনক।
এদিকে ঘটনার সময় হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা বদরুলকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা।
বদরুল ছাতক উপজেলার মুনিরজ্ঞাতি গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে এবং খাদিজা সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ আউশা গ্রামের মাসুক মিয়ার মেয়ে।
আরআর