নোমান
কি লিখবো ভাষাই তো খুঁজে পাচ্ছি না !
হাজার দর্শক যেখানে কোপানো দেখছিল, ভিডিও করছিল আর চিৎকার দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল মানবতা তখন গাছের মগ ডালে উঠে বাতাস খাচ্ছিল ! কেউ এগিয়ে আসেন নি বললে ভুল হবে এসেছেন খাদিজার জন্য একজন ভাই তাকে কি বিশেষণ দিবো খুঁজে পাচ্ছি না। আর যারা দাঁড়িয়ে তামাশা দেখলেন আর খাদিজাকে কুপিয়ে যখন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল তখন কিছু উৎসুক মানুষ তাকে কিছু উত্তম মধ্যম দিয়েছেন কিন্তু সেটা অনেক কম! খাদিজার জন্য কেউ এগিয়ে যাননি কিন্তু মাঝখানে কিছু গণধোলাইয়ে শরীক হয়ে নিজেকে অনেক বড় মানবতাবাদী হিসাবে আবির্ভূত করলেন।
দুঃখজনক হলেও সত্য এই যে বাংলাদেশে যদি একটা আইন করা হতো কোন অপরাধ সংঘটিত হলে যারা তামাশা দেখবে তাদের ফাঁসিতে ঝুলানো হবে হয়তো তখন গাছের মগডাল থেকে মানবতা কিছুটা হলেও মানুষের মনে আতংক হয়েও কাজ আসতো!
মানবতার কল্যাণে মানুষকে নিয়োজিত রাখার একমাত্র উপায় হচ্ছে এই আইন করা! মানবতার্ দায় শুধু ইমরান কবিরের নয় আমাদের সবার, খাদিজাকে আহত করার অপরাধ শুধু বদরুলের নয় আমাদেরও! কারণ আমরা এই খাদিজাকে এই নরপশুর হাত রক্ষা করতে পারিনি!
মানবতার এক অনন্য উদাহরণ তৈরি করলেন ভাই ইমরান কবির, কোলে করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন, খাদিজার রক্তে নিজের শরীর লাল হয়েগেছে তার পরেও খাদিজার জন্য দৌড়াদৌড়ি করলেন কখনো ইমারজেন্সিতে, কখনো ফার্মেসীতে, কখনো ব্লাড কালেকশন ইউনিটে... নিজেই দিলেন প্রথম ব্যাগ রক্ত রক্তের জন্য ছুটাছুটি করলেন এদিক ওদিক একেই তো বলে মানবতা। যাকে একদিন দেখেই নি, রক্তের কোন সম্পর্ক নেই তার জন্য যা করলো ইমরান সেটাই সবার ধারা সম্ভব হয় না।
আল্লাহ ভাই ইমরান কে হায়াত দান করুন, তার প্রচেষ্টাকে কবুল করে আহত বোনকে সুস্থ করে ফিরিয়ে দিন তার পরিবারের কাছে। বোনটি এখনো লাইফ সাপোর্টে আছে অনেক রক্তের প্রয়োজন সবাইকে এগিয়ে আসার অনুরোধ। আল্লাহ্ সকলের প্রচেষ্টাকে কবুল করুন।
আরআর