শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসবে, সতর্ক থাকতে হবে: গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা

শাবানা এখন ইসলামের পূর্ণাঙ্গ অনুসারী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

shabanaআওয়ার ইসলাম: ১৯৬১ সাল। ছোট্ট মেয়ে রত্না অভিনয় করলেন ‘নতুন সুর’ ছবিতে। চঞ্চল এক শিশু শিল্পী। বুদ্ধিদীপ্ত ও বাঙালিয়ানা মাখা সুশ্রী চেহারা দিয়ে ওইটুকু বয়সেই নজর কাড়লেন দর্শক-নির্মাতার। আরও কয়েকটি ছবিতে শিশুশিল্পী। ১৯৬৭ সাল। শিল্পী গড়ার কারিগর এহতেশাম নির্মাণ করলেন ‘চকোরী’। নায়ক নাদিমের বিপরীতে নায়িকা হিসেবে রত্নাকেই মনে ধরলো তার। ওই ছবিতে নাম পাল্টে দিলেন তার এহতেশাম। রত্না থেকে ফিল্মি নাম দাঁড়ালো শাবানা। শহর থেকে গাঁ গেরামের সব দর্শক মাতালেন শাবানা।

চারদশক ধরে আকাশ সমান জনপ্রিয়তায় তির তির করে এগিয়ে গেলেন তিনি। মধুমিলন বা অবুঝ মনের প্রেমিকা শাবানা আবার  দস্যুরাণীতে এসে রুদ্রমূর্তি ধারণ করলেন। এখানেও সার্থক তিনি। নায়িকা হিসেবে দর্শকের মনের গভীরে তার অবস্থান। ১৯৯৬ সাল। শাবানা প্রথমবার অভিনয় করলেন মায়ের চরিত্রে। সালমান শাহ’র মা হয়ে এলেন ছটকু আহমেদ পরিচালিত ‘সত্যের মৃত্যু নেই ছবিতে। এই চরিত্রেও সফল তিনি। প্রেমিকার মতো মা, ভাবী হিসেবেও দর্শক তাকে সাদরে গ্রহণ করল। ঢাকাই ছবির সেই চিরন্তন বাঙালি বধূ, প্রেমিকা, কখনো ভাবী আবার কখনো মমতাময়ী মা বললেই যে মুখটি মনের পর্দায় ভেসে ওঠে তিনি শাবানা ছাড়া আর কেউ নন। কিন্তু হঠাৎ বদলে গেলেন তিনি। ১৯৯৭ সালে শাবানা দীর্ঘ ৩৪ বছরের কর্মজীবন শেষে হঠাৎ চলচ্চিত্রাঙ্গন থেকে বিদায় নেওয়ার ঘোষণা দেন। এরপর তিনি আর নতুন কোনো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেননি।

ফুলহাতা কামিজ আর হিজাব সম্পূর্ণ পাল্টে দিয়েছে চিরচেনা অভিনেত্রী শাবানাকে। চলচ্চিত্র ছেড়ে দেওয়ার পর ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসারী হয়ে উঠেছেন চিত্রনায়িকা শাবানা। স্বামী ওয়াহিদ সাদিক, দুই মেয়ে সুমী ও উর্মি এবং একমাত্র পুত্র নাহিনকে নিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন

১৯৯৭ সালে ‘মেয়েরাও মানুষ’ মুক্তির পর থেকেই লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান কিংবদন্তি এই অভিনেত্রী। নিউ জার্সিতে বসবাস শুরু করেন। মাঝে-মধ্যে দেশে আসেন কিন্তু মিডিয়াকে একেবারেই এড়িয়ে চলেন হিজাব পরিহিতা শাবানা। ২০০০ সালে তিনি সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। বড় পর্দার সেই শাবানার সঙ্গে এখন বাস্তবের শাবানার কোনোই মিল নেই। ফুলহাতা কামিজ আর হিজাব সম্পূর্ণ পাল্টে দিয়েছে চিরচেনা অভিনেত্রী শাবানাকে। চলচ্চিত্র ছেড়ে দেওয়ার পর ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসারী হয়ে উঠেছেন চিত্রনায়িকা শাবানা।

স্বামী ওয়াহিদ সাদিক, দুই মেয়ে সুমী ও উর্মি এবং একমাত্র পুত্র নাহিনকে নিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। গুণী এই অভিনেত্রী এখন অনেকটাই লোকচক্ষুর আড়ালে। মাঝে মাঝে স্বদেশের টানে ফেরেন আবার চলেও যান। দেশে ফিরে আত্মীয়স্বজন ছাড়া কারও সঙ্গে দেখা দেন না। লাখো দর্শকের স্বপ্নের নায়িকা হিজাব পরা শাবানাকে এখন দেখলেই পরিচিতজনরা বিস্মিত হন। একজন শীর্ষস্থানীয় নায়িকা থেকে হঠাৎ পর্দার অন্তরালে নিজেকে এভাবে লুকিয়ে রাখবেন—এটা কেউই ভাবতে পারেন না।

হজ করার পর তিনি আর ছবি না করে পর্দাশীল হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তা ছাড়া এখন পরিবার-পরিজন নিয়ে সাধারণ জীবনযাপন তার খুব ভালো লাগছে। দূর প্রবাসে সংসার, সন্তান, নাতি-নাতনি নিয়েই একান্ত সময় কেটে যায় শাবানার। নামাজ-রোজা করেন নিয়মিত।

ভক্তদের স্বপ্নের মধ্যে রেখেই রুপালি পর্দা ছেড়ে চলে যাওয়ার কারণ সবাইকে এখনো ভাবিয়ে তুলে। তবে শাবানা তার ঘনিষ্ঠদের জানিয়েছেন, হজ করার পর তিনি আর ছবি না করে পর্দাশীল হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তা ছাড়া এখন পরিবার-পরিজন নিয়ে সাধারণ জীবনযাপন তার খুব ভালো লাগছে। দূর প্রবাসে সংসার, সন্তান, নাতি-নাতনি নিয়েই একান্ত সময় কেটে যায় শাবানার। নামাজ-রোজা করেন নিয়মিত। শাবানা ১৯৭৩ সালে ওয়াহিদ সাদিককে বিয়ে করেন। তখন সাদিক ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা।

শাবানার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এস এস প্রোডাকশনের দেখাশোনাও তার স্বামীর ওপর পড়ে। তার পৈতৃক বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ডাবুয়া গ্রামে। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর শেষবারের মতো দেখা মিলেছিল তার।  ভাগ্নের বিয়েতে উপস্থিত হয়েছিলেন স্বামী ওয়াহিদ সাদিকের সঙ্গে।

বারিধারা কনভেনশন সেন্টারে আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের মুহূর্তে ফটোগ্রাফারদের  ক্যামেরায় ধরা পড়েন ৬৩ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী। যদিও ক্যামেরা দেখতেই নিজেকে আড়াল করছিলেন এই নায়িকা। বেশ কসরত করেই হিজাব পরিহিত শাবানার ছবি তুলতে হয়েছিল ফটোগ্রাফারদের।

প্রতিবেদনটি দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন থেকে নেয়া


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ