এম ওমর ফারুক আজাদ
ফটিকছড়িতে নিজ উপজেলা আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে অতিথি দুরে থাক; দাওয়াতই পেলেন না নৌকা প্রতীকের সাংসদ ও তরিকত ফেডারেশন চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। স্থানীয় আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতারা একাট্টা হয়ে এমপি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর বিরুদ্ধে এ অবস্থান নেন।
গত ০১অক্টোবর শনিবার উপজেলার ফটিকছড়ি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এ সম্মেলন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশরারফ হোসেন এমপি।
চৌদ্দ দলের শরীক দল বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। তিনি গত নির্বাচনে ফটিকছড়ি থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য হয়েছেন। স্থানীয় আ‘লীগ নেতাদের কোন্দলের জের ধরে শরীক দল থেকে তাকে নৌকা প্রতীক দিয়ে নির্বাচন করালেও এখন দলর অধিকাংশ নেতা তাঁর প্রকাশ্যে বিরোধীতা করে আসছেন। এবারের ফটিকছড়ি উপজেলা আ’লীগের সম্মেলন ‘রাজসিক’ সম্মেলন হিসেবে আখ্যা পেয়েছে। তবে এ রাজসিক সম্মেলনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত ফটিকছড়ি সাংসদকে ‘অতিথি’র তালিকায় রাখা দুরে থাক; দাওয়াতই না দেওয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, মনোনয়ন বঞ্চিত সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ও মনোনয়ন পেয়ে হারানো সাবেক এমপি কন্যা খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এবং আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ শাহজাহান একাট্টা হয়ে এমপিকে দাওয়াত না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
জানতে চাইলে এ ব্যাপারে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক এটিএম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘ওনি প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইছেন। এ জন্যই পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ ভাইয়ের নির্দেশে এমপিকে দাওয়াত দেয়া হয়নি।’ উপজেলা আ’লীগের বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান এসএম সোলায়মান বলেন, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিতে এমপি সাহেবের নাম বিশেষ অতিথি হিসেবে রাখা হয় এবং তাঁকে দাওয়াত দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। যেহেতু আমি সভাপতি পদপ্রার্থী; সেহেতু প্রস্তুতি কমিটির আহবায়কসহ অন্যান্য সদস্যগণ এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর করার কথা ছিল। কিন্তু পরে দেখলাম পোষ্টারে এমপি মহোদয়ের নাম নেই। সর্বশেষ দেখলাম তাঁকে যথাযথ ভাবে দাওয়াতও দেয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, ‘আমি ফটিকছড়ির অভিভাবক, আমাকে দাওয়াত না দিয়ে ফটিকছড়িবাসীকে অপমান করেছে আওয়ামী লীগ । একটি ঐতিহ্যবাহী দলের এমন কর্মকান্ডে ফটিকছড়িবাসী ক্ষুব্ধ।’ এ খবর ফটিকছড়ির স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যম ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হলে কমেন্টে ভান্ডারীকে নিয়ে শুরু হয় নানা রকম সমালোচনা ও ব্যাঙ্গাত্বক মতামত। এদিকে ভান্ডারীকে বয়কট করায় ফটিকছড়ির বিভিন্ন নেতাকর্মী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উর্ধতন দায়িত্বশীলদের ধন্যবাদ দিতেও দেখা গেছে।
এফএফ