শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

অধ্যক্ষের এক নোটিশে সব প্রভাষক শোকজ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

samia-ashrafকিশোরগঞ্জ :: প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম-শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কিশোরগঞ্জের ছামিয়া আশরাফ মডেল কলেজের সব প্রভাষককে শোকজ করেছেন কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শেখ মনির হোসেন।

২ অক্টোবর প্রত্যেক প্রভাষকের নামে পৃথক পৃথক কারণ দর্শানোর নোটিশের [সূত্র নং ০৯৫] মাধ্যমে এ শোকজ করা হয়েছে এবং উপযুক্ত কারণ দর্শানোর জন্য সাতদিন সময় দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে কয়েকজন প্রভাষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিধি মোতাবেক ডিজির প্রতিনিধির মাধ্যমে পরীক্ষা ও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. আশরাফ উদ্দিন নিয়োগপত্র প্রদান করেন ওই বছরের আগস্ট মাসে যাতে তারিখ লেখা ছিল ০১/০৭/২০১৫ইং।

প্রভাষকদের অভিযোগ, তারা ২০১৫ সালের মার্চ থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কাজ করা সত্ত্বেও বেতন দেয়া হয় জুলাই ২০১৫ থেকে। তখন থেকেই নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুত তারিখে কোনো মাসেরই বেতন দেয়া হয়নি। বরং দুতিনমাসের বেতন-বোনাস বকেয়া থেকেছে। নানাবিধ আন্দোলন করে বকেয়া আদায় করতে হয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শেখ মনির হোসেনকে ফোন করে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা স্থগিত থাকার কারণ জানতে চেয়ে কথা হয় কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে। তারা বলে, 'এ বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জানি না। তবে শুনেছি কোনো কারণ ছাড়াই স্যারদের বেতন নাকি কমিয়ে ফেলা হয়েছে। আমাদের শিক্ষকরা যথেষ্ট আন্তরিক। কিন্তু কলেজের অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে তারা আমাদের ঠিকমত সেবা দিতে পারছেন না। আমাদের কলেজে কোনো কমনরুম, টয়লেট কিংবা নলকূপ নেই। আইসিটির ব্যবহারিকের জন্য কোনো প্রজেক্টর বা কম্পিউটার নেই। বিজ্ঞানাগার তো বটেই ব্যবহারিকের কোনো যন্ত্রই আমাদের নেই। বারবার দাবি জানিয়েও আমরা কর্তৃপক্ষের সাড়া পাই না।'

কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া অধিকাংশ প্রভাষক জানিয়েছেন, 'নোটিশের প্রায় অভিযোগই খোঁড়া এবং এসবের যথাযথ জবাব আমরা লিখিতভাবেই জানাবো।'

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ