মিনহাজ উদ্দীন, শেরপুর থেকে : উপবৃত্তির তদবিরে কাজ না হওয়ায় শেরপুর সরকারি কলেজে তালা দিয়েছে ছাত্রলীগের একাংশ। ১ অক্টোবর শনিবার বেলা ১১টার দিকে ওই ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয়সহ অধিকাংশ শ্রেণিকক্ষে ওই তালা ঝুলিয়ে দেয়। ওইসময় তারা দাবি মোতাবেক উপবৃত্তি দেওয়া না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ খুলতে দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দেয়। তবে খবর পেয়ে থানা পুলিশ কলেজে পৌঁছলে তারা ক্যাম্পাস ত্যাগ করে। পরে পুলিশের সহায়তায় কলেজ কর্তৃপক্ষ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই তালাগুলো খুলে দেয়।
জানা যায়, শেরপুর সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণির ১৫৫০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থীই উপবৃত্তির আবেদন করে। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে ৪০ ভাগ ছাত্রী ও ১০ভাগ ছাত্র হারে ২৫০ জন বার্ষিক ২৫০০ থেকে ২৭০০ টাকা পর্যন্ত উপবৃত্তি পাওয়ার কথা। এর মধ্যে কলেজ কর্তৃপক্ষ মেধা ও দরিদ্র বিবেচনায় বাছাই প্রক্রিয়া চালালেও আবেদনকারীদের পক্ষে দায়িত্বশীল বিভিন্ন মহলসহ ছাত্রলীগের তরফ থেকে তদবিরের একাধিক তালিকা জমা পড়ে। বৃহস্পতিবার কর্তৃপক্ষ বাছাই তালিকা প্রকাশ করলে মিশুক ও সবুজ সমর্থিত কলেজ ছাত্রলীগের একাংশ বিক্ষুব্ধ হয়। এরই অংশ হিসেবে শনিবার কলেজে তালা ঝুলানোর ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুনায়েদ নুরানী মনি বলেন, শেরপুর সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের কোন কমিটি নেই। তবে মিশুক, সবুজরা ছাত্রলীগেরই কর্মী। উপবৃত্তির তদবিরে কাজ না হওয়ায় তালা ঝুলানোর ঘটনা দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ওই বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে কিছু অবহিত করেননি বা তার সহায়তাও চাননি।
এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. একেএম রিয়াজুল হাসান বলেন, মিশুক-সবুজ সমর্থিত একদল নেতা-কর্মী নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে উপবৃত্তির জন্য ৬০ জনের একটি তালিকা দিয়েছিল। কিন্তু আশানুরূপ কাজ না হওয়ার কারণে তারা শেরপুর সরকারি কলেজের মতো একটি সুন্দর পরিবেশের প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলানোর মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু কোন অনিয়মের সাথেই কলেজ কর্তৃপক্ষ আপোস করবে না। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কলেজ বন্ধ ঘোষণার প্রশ্নই আসে না।
এ্ফএফ