ফারুক ফেরদৌস : কওমি মাদরাসার শিক্ষা ব্যবস্থার স্বীকৃতি বাস্তবায়নের লক্ষে ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে। ৯ সদস্যের এই কমিটির আহ্বায়ক জামিয়া ইকরার পরিচালক ও শাইখুল হাদিস মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ। কার্যত তিনিই কমিটির নেতৃত্বে আছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই কমিটি গঠন ও স্বীকৃতির পথে অগ্রগতি বিষয়ে জানতে আওয়ার ইসলামের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ বলেন, স্বীকৃতির বিষয়ে এতদিন শুধু মুখে মুখে আলোচনা চলছিলো। এই কমিটি গঠনের মাধ্যমে বলা যায় পুরো কার্যক্রমটি একটি ট্র্যাকে এসে চলতে শুরু করলো। তিনি বলেন, ‘এখন যেহেতু এই কার্যক্রমের সাথে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট হয়ে গেল, তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ই কার্যক্রমটাকে গতির মধ্যে রাখবে। এবং আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলে ইনশাল্লাহ রেলগাড়ি গন্তব্যে পৌঁছবে।’
কতদিনের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে সে ব্যাপারে এখনই বলা কঠিন উল্লেখ করে মাওলানা মাসউদ বলেন, আপাতত খসড়া আইনটির ব্যাপারে কারো কোনো অভিযোগ বা ভিন্নমত আছে কি না সেই ব্যাপারে একটি রিপোর্ট দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। এরপর খসড়া আইনটি মন্ত্রী পরিষদ হয়ে পার্লামেন্টে যাবে এবং পাস হয়ে আইন হওয়ার পথে এগোবে।
বেফাক এই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে যেতে পারে কি না এবং গেলে তাদের পদক্ষেপ কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেফাকের লোকও কমিটিতে আছে। মাওলানা আনওয়ার শাহ বেফাকের সহ সভাপতি। মাওলানা আবদুল কুদ্দুস বেফাকের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। নিজের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ বেফাক বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত একটি মাদরাসার প্রিন্সিপ্যাল।
বেফাকের উদ্দেশে তিনি বলেন, বেফাক কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাবো লক্ষ লক্ষ কওমি মাদরাসা ছাত্রের সুন্দর ভবিষ্যত, মাদরাসা ও দ্বীনকে টিকিয়ে রাখার কথা মাথায় রেখে বিষয়টাকে বাস্তবতার নিরিখে দেখবেন। এই বিষয়ে তাদের সুচিন্তিত অভিমত, পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি প্রয়োজনে এই প্রক্রিয়ার নেতৃত্বও তারা দেবেন।’
মাদরাসা শিক্ষার্থীদের কল্যাণকামিতাই বেফাকের উদ্দেশ্য মন্তব্য করে মাওলানা ফরিদ মাসউদ আশা প্রকাশ করেন, বেফাক এ ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্তই নেবে।
এফএফ