আওয়ার ইসলাম : ইসলামী চিন্তাবিদ, শিক্ষাবিদ, লেখক ও গবেষক মাওলানা শাহ নজরুল ইসলাম। পূণ্যভূমি বৃহত্তর সিলেটের কৃতি সন্তান। দীর্ঘদিন ধরে‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’ এর গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত। আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টি ফোরের পক্ষ থেকে তার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন অনুবাদক ও কলামিস্ট মাওলানা আবদুল আজীজ আল হেলাল। সম্পাদনা : জাকির মাহদিন
আজ পড়ুন শেষ পর্ব
আব্দুল আজীজ আল হেলাল : পূর্ববর্তী সলফে সালেহীনদের অনুসরণের কথা বলে বলে মুসলিমগণ বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ফেরকা ও মাসলাকে বিভক্ত। অথচ পূর্ববর্তীদের কেউই নিজেদেরকে অন্যের তুলনায় শ্রেষ্ঠ মনে করেননি। সলফে সালেহীনদের অনুসরণের ক্ষেত্রে আমাদের এসব ভুল বোঝাবুঝির কারণ কি?
শাহ নজরুল ইসলাম : সকলেই সালাফের অনুসরণের কথা বলেন। তারপরও আমরা শতধা বিভক্ত। আমার মতে এর মূল কারণ মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. বলে গেছেন, সেটা কুরআন সুন্নাহ থেকে বিচ্যুতি। এজন্য ফিরকা-মাসলাক-মাশরাবের বেড়াজাল থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। এর উপায় মহানবী সা. বলেছেন কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ। প্রকৃত অর্থে তা না করাই এসব ভুল বোঝাবুঝির কারণ।
আব্দুল আজীজ আল হেলাল : বর্তমান বিশ্বে আলেমগণের মতবিরোধের কারণ কি? আমরা কি একই প্লাটফরমে আসতে পারি? বাংলাদেশে দীর্ঘকাল ধরে ইসলামি সরকার গঠনের চেষ্টা চলছে। অথচ কাঙ্ক্ষিত ফলাফল নেই।
শাহ নজরুল ইসলাম : মূল কারণ হচ্ছে কুরআন সুন্নাহর উপর নিজস্ব মতামত অথবা নিজ নিজ ফিরকার দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রাধান্য দান। আমাদের মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা যে পর্যায়ে আছে তাতে একই প্লাটফরমে আসার বিষয়টি কল্পনাবিলাসই মনে হয়। এটাকে সম্ভব করতে হলে আগে মনোজগতে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনতে হবে। সকলকে ইসলাম, মুসলমান ও মানবতার স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। আলেমদের ক্ষমতা ও নেতৃত্বের খাহেশ থেকে বের হয়ে আনুগত্যের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। অপরকে মূল্যায়ন করতে হবে এবং মর্যাদা দিতে হবে। একই সাথে ‘ইত্তেফাক মাআল ইখতেলাফ’ এর স্লোগানের সাথে একমত হয়ে কাজ করে যেতে হবে ইমাম মাহদির আগমনের পূর্ব পর্যন্ত। তিনি এলে তার নেতৃত্বে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হবো ইনশাআল্লাহ।
আব্দুল আজীজ আল হেলাল : অনেক ইসলামী চিন্তাবিদের মতে, তাযকিয়ায়ে নফস তথা আত্মশুদ্ধির অভাব সকলের মধ্যেই বিদ্যমান। আত্মশুদ্ধির সঠিক ইসলামি পদ্ধতি কী?
শাহ নজরুল ইসলাম : আত্মশুদ্ধির প্রকৃত পথ হচ্ছে কুরআন সুন্নাহর অনুসরণ। এ ক্ষেত্রে একজন দক্ষ গাইডের প্রয়োজন হয়। যার তত্ত্বাবধানে আমাকে আমি কুরআন সুন্নাহর আদর্শে সাজাব।
আব্দুল আজীজ আল হেলাল : ইমাম গাযালী, আশরাফ আলী থানবী, কারামত আলী জৈনপুরী রহ.- তাদের চিন্তা ও দর্শন এক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা করবে কি না?
শাহ নজরুল ইসলাম : তারা তাদের সমকালে এক্ষেত্রে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে গেছেন। তাদের পরবর্তীগণও ভূমিকা রেখেছেন। সুতরাং সহযোগিতা তো করবেই।
আমাদের মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা যে পর্যায়ে আছে তাতে একই প্লাটফরমে আসার বিষয়টি কল্পনাবিলাসই মনে হয়। এটাকে সম্ভব করতে হলে আগে মনোজগতে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনতে হবে। সকলকে ইসলাম, মুসলমান ও মানবতার স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। আলেমদের ক্ষমতা ও নেতৃত্বের খাহেশ থেকে বের হয়ে আনুগত্যের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। অপরকে মূল্যায়ন করতে হবে এবং মর্যাদা দিতে হবে।
আব্দুল আজীজ আল হেলাল : অনেক পীর মাশায়েখ ও আলেম বলে থাকেন সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা একটি অপ্রয়োজনীয় কাজ এবং এটা দ্বীনি মারাকাত অর্জনের পথে বড় বাঁধা। এ ব্যাপারে আপনার মতামত জানতে চাই।
শাহ নজরুল ইসলাম : এটা যারা বলেন তাদেরও সীমাবদ্ধতা আছে। সেই সীমাবদ্ধতা থেকেই হয়তো তারা বলে থাকেন। প্রকৃতপক্ষে সুস্থ সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা মহানবী সা. এর সময় থেকেই প্রশসনীয় ও পুরস্কৃত হয়ে আসছে। জাতীয় মানস ও মনন গঠনে এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। জীবনে পরিশুদ্ধি অর্জনে তা কখনোই বাধা নয় বরং সহায়ক।
আব্দুল আজীজ আল হেলাল : মাল্টিমিডিয়ায় রেকর্ডকৃত তিলাওয়াত, বয়ান ও ইসলামি সংগীত শুনলে সওয়াব হবে কিনা? এ ব্যাপারে শরীয়ার আলোকে কিছু বললে ভালো হয়।
শাহ নজরুল ইসলাম : এ বিষয়ে মুফতি সাহেবান ভালো বলতে পারবেন। তবে আমার ধারণা সওয়াব হবে। কারণ এরও প্রভাব আছে মানব জীবনে। মানুষকে তা আন্দোলিত করে দারুণভাবে।
আব্দুল আজীজ আল হেলাল : বিশ্বব্যাপী ইসলামি স্কলারদের মধ্যে একটি বিষয়ে তুমুল বিতর্ক চলেছে, তা হল মাতৃ ভাষায় খুতবা প্রদান করা যাবে কি না? মাতৃভাষায় খুতবা প্রসঙ্গে শরীয়ার হুকুম কী?
শাহ নজরুল ইসলাম : আরবিতে খুৎবা প্রদানের হুকুম সুন্নত। তাই মাতৃভাষায় খুৎবা দিলে আদায় হয়ে যাবে। মাতৃভাষায় খুৎবা দিলেও হামদ, শুকর, তাওহীদের স্বাক্ষ্য, রিসালাতের স্বাক্ষ্য এবং কুরআনের আয়াত ও হাদীস আরবিতেই বলা হয়। আর দ্বিতীয় খুৎবা আরবিই থাকছে। কেবল সাধারণ মানুষের মুখে ওয়াজ ও নসীহতের মূল কথাটা মাতৃভাষায় বলে দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে এটাকে যারা একেবারে নাজায়েজ বলেছেন তাদের কাছে অন্যদের প্রশ্ন যে, আরবি খুৎবার পূর্বে যে মাতৃভাষায় ওয়াজ করেন তা পেলেন কোথায়? এর নজির তো নবী সা. এর যুগে বা সাহাবা-তাবেঈন যুগে নেই। যা হোক, বিষয়টি নিয়ে আমাদের আলেমদের আরো ভাবা উচিৎ। চিন্তা- ফিকির ও গবেষণা করে বাস্তবসম্মত কথা বলা উচিত বলে মনে করি।
খুৎবায় আমি বিষয়ভিত্তিক কথা বললাম। কুরআন ও হাদিসের রেফারেন্স টানলাম। কিন্তু যাদের উদ্দেশ্যে এই বয়ান তারা এর কিছুই বোঝলো না এমনটা কেন হবে? এমন খুৎবা থেকে জনগণ কী নসীহত নেবে, কী হেদায়েত পাবে এসব প্রশ্ন এসেই যায়। তাই পৃথিবীর বহু দেশে যার যার মাতৃভাষায় খুৎবা হচ্ছে। তবে রাসূল সা. এর যুগে, খোলাফায়ে রাশেদার যুগে এবং তৎপরবর্তী কালে আরবি ভাষার চর্চা পৃথিবীতে ব্যাপক ছিল। জনগণ মোটা মনে খুৎবার ভাষা ধরতে পারতো। এখন আরবি ভাষার চর্চা সে পর্যায় নেই। সুতরাং জনগণের বোঝার সুবিধার্থে এক্ষেত্রে আমরাদের চিন্তা করার দাবী রাখে।
আব্দুল আজীজ আল হেলাল : আমাদের দেশের উলামায়েকেরাম এনজিও কার্যক্রম ও নারীর ক্ষমতায়ণের বিপক্ষে অবস্থান করেন। অথচ নারীদের জন্য বিশেষ কোনো কর্মসূচি তাদের পক্ষ থেকে দেখা যায় না। রাসূল সা. এর যুগে নারীদের পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় সকল কাজে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সক্রিয় সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতার মাধ্যমে অংশগ্রহণ নিশ্চিত ছিল। তো নারীদের সামগ্রিক বিষয়টি এবং ‘নারী উন্নয়ন নীতিমালা’ আপনি কিভাবে দেখছেন?
শাহ নজরুল ইসলাম : এখানে দুটি বিষয়। প্রথমটি হচ্ছে এনজিও কার্যক্রম, বেসরকারি সংস্থা হলেই এর বিরোধিতা আলেমরা করেন বিষয়টি এমন নয়। কারণ আমাদের দেশের কওমি মাদরাসাগুলোও বেসরকারি সংস্থা। তবে দেশের কৃষ্টি-কালচার ও ধর্মকে অবজ্ঞা করে বিদেশি মদদপুষ্ট কিছু এনজিও কাজ করে যাচ্ছে। যাদের কার্যক্রমের ফলাফল আামাদের জন্য হিতে বিপরীত। দেশপ্রেমিক ধর্মপ্রাণ নাগরিক হিসাবে কেউ এর বিরোধিতা করতেই পারেন। দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে নারীর ক্ষমতায়ন বা নারী অধিকার। দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা নারী। তাদেরকে পেছনে রেখে বা তাদের অশিক্ষিত বঞ্চিত রেখে একটি দেশ উন্নতি করতে পারে না। বাংলাদেশে নারী নির্যাতন, নারী পাচার, নারী অধিকার বঞ্চনা, নারীদের বিড়ম্বনার বিষয়ে অনেকেই পূর্ণ অবগত নন। তাই নারী অধিকার নিয়ে তারা সোচ্চার হতে পারেন না। আমরা বলি ইসলাম, কুরআন ও হাদিস নারীকে সবচেয়ে বেশি অধিকার ও মর্যাদা দিয়েছে। কথাটা সঠিক। কিন্তু এর বাস্তবায়ন কোথায়? কুরআনে বর্ণিত মর্যাদা ও অধিকার কুরআনেই আছে। শতকরা কয়জন স্বামী তার স্ত্রীর মহরানা নগদ আদায় করেন? জরিপ নিয়ে দেখুন মহর বাকি থাকলে, আদায় না করলে, স্ত্রী তার জীবদ্দশায় এটা ব্যবহার করতে না পারলে এমন মহরানা দিয়ে তার লাভটা কী? কুরআনে মীরাসের কথা স্পষ্ট করে বলা আছে। কিন্তু বলুন কয়জন মহিলা তার পিতা-মাতা-স্বামীর ইন্তেকালের পর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিতে তার নির্ধারিত অধিকার বোঝে পেয়েছেন? এমনিভাবেই ইসলাম নারীদের যথেষ্ট অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। সুষম বন্টণ দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে আমরা আদায় করছি না। এর জন্য ইসলাম দায়ী নয়। আমরা নিজেরা দায়ী। নারী অধিকার আদায়ের জন্য যে প্রচারণা, সচেতনতা এবং জাগরণ দরকার তা কোথায়? সেদিকে নজর দেয়া দরকার। কেবল নেতিবাচক কথা বলে চলমান বাস্তবতার মোকাবেলা করা যাবে না। নারীর অধিকার ও মর্যাদার ক্ষেত্রে আমাদের বিদ্যমান দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন প্রয়োজন।
আব্দুল আজীজ আল হেলাল : নারীর উন্নয়নের জন্য সরকাররি বেসরকারিভাবে কি কি কর্মসূচী গ্রহণ করা যেতে পারে?
শাহ নজরুল ইসলাম : ১. কুরআন-হাদিস বর্ণিত নারী অধিকার ও মর্যাদা হুবহু বাস্তবায়ন। ২. নারীদের জন্য পৃথক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ৩. নারীবন্ধব কর্মসংস্থানের প্রতি গুরুত্বারোপ। ৪. অবহেলিত, আশ্রয়হীন, নিপীড়িত নারীদের পুনর্বাসন। ৫. নারী নির্যাতনরোধে সামাজিক আন্দোলন। ৬. মা-মেয়ে-স্ত্রী-বোন হিসেবে নিজ নিজ ঘরে মর্যাদা প্রতিষ্ঠা। ৭. তাদের সম্পদের মালিকার অধিকারের পুর্ণ বাস্তবায়ন। ৮. ইজ্জত- আবরুর হেফাজত ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা নারী। তাদেরকে পেছনে রেখে বা তাদের অশিক্ষিত বঞ্চিত রেখে একটি দেশ উন্নতি করতে পারে না। বাংলাদেশে নারী নির্যাতন, নারী পাচার, নারী অধিকার বঞ্চনা, নারীদের বিড়ম্বনার বিষয়ে অনেকেই পূর্ণ অবগত নন। তাই নারী অধিকার নিয়ে তারা সোচ্চার হতে পারেন না।
আব্দুল আজীজ আল হেলাল : রাসুল সা. নারী শিক্ষায় বিশেষ গুরুাত্বারোপ করেছেন অথচ আমাদের দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ শতকরা ৮০ শতাংশের বেশি নারীই ইসলামি শিক্ষা-বঞ্চিত। এর দায়ভার কার, আলেমগণ তো নবীগণের উত্তরাধিকারী?
শাহ নজরুল ইসলাম : আমি আগেই বলেছি এ ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণ বদলাতে হবে। আমাদের এ দেশে পুরুষের ইসলামি শিক্ষার জন্য যত সুযোগ অবারিত নারীর জন্য এর দশভাগের একভাগও নেই। সুতরাং দায় কাদের উপর বর্তাবে তা সহজেই অনুমেয়। নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও ফতোয়া দিয়ে বাস্তবতা মোকাবেল করা যাবে না। এজন্য বাস্তবসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি দরকার। দরকার বাস্তবসম্মত আচরণ। নবী করিম সা. ও সাহাবায়ে কেরাম নারীদের প্রতি যতটা উদার, সহনশীল এবং শ্রদ্ধাশীল ছিলেন তেমন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নারী শিক্ষার দ্বার উন্মোচন করাই সময়ের দাবি।
আব্দুল আজীজ আল হেলাল : নারীশিক্ষা ও অধিকারের ব্যাপারে দেশের ইমাম ও আলেমগণের প্রতিনিধি হিসাবে আপনাদের কর্মসূচি কি? নারী উন্নয়নে আলেমগণের আরো বেশি সম্পৃক্ততার জন্য কি করা যেতে পারে?
শাহ নজরুল ইসলাম : আমরা পুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনে কাজ করছি। নারীমহলেও সাধ্যানুযায়ী কাজ করছি এবং নিজ নিজ ঘরে তা বাস্তবায়ন করছি।
আব্দুল আজীজ আল হেলাল : আপনার লেখালেখি, গবেষণা ও উপসস্থাপনার কাজ এখন কেমন চলছে?
শাহ নজরুল ইসলাম : মানব জীবনে ফুরসত খুব কম। লেখালেখির জন্য নির্ঝঞ্চাট অবসর পাওয়া মুশকিল। মহান আল্লাহর শোকর আদায়ের পর তার দেয়া তাওফিক অনুযায়ী লিখে যাচ্ছি।
আব্দুল আজীজ আল হেলাল : পাঠকদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন।
শাহ নজরুল ইসলাম : মহান স্রষ্টার বন্দেগীর সাথে জিন্দেগী যাপন। নাকি নগদ যা পাও হাত পেতে নাও বাকির খাতায় শূন্য থাক? নিজেকে প্রশ্ন করুন জীবনে কোন বিষয়টি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। স্রষ্টার প্রতি আনুগত্যের বাইরের জীবন প্রকৃত অর্থে মানুষের জীবন নয়। তাই মালিক, মুনিব ও স্রষ্টার প্রতি সদা অনুগত থাকুন। মানবতার কল্যাণে কাজ করুন।
এফএফ