আওয়ার ইসলাম: প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৭০তম জন্মদিন আজ বুধবার। ১৯৪৭ সালের আজকের দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান শেষে এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বাসায় অবস্থান করায় সেখানে তাদের সঙ্গেই জন্মদিন পালন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তার অনুপস্থিতিতে দল ও অন্য সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দলীয় সভাপতির জন্মদিন উদযাপন করবে।
শেখ হাসিনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রথম সন্তান। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে আবির্ভূত করেছেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে ব্যক্তিজীবনে প্রয়াত পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন। তাদের দুই সন্তান- তথ্যপ্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয় এবং আন্তর্জাতিক অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হাসিনা ওয়াজেদ ছাত্রজীবন থেকে প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে গ্রাজুয়েট ডিগ্রি লাভকারী শেখ হাসিনা তৎকালীন ছাত্রলীগের অন্যতম নেত্রী ছিলেন। ১৯৭৫ সালের পটপরিবর্তনের পর ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে দলীয় প্রধানের দায়িত্ব নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এরপর থেকে বিগত ৩৪ বছর ধরে নিজ রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও আপসহীন নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশের অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক রাজনীতির মূল স্রোতধারার প্রধান নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এবং অন্য রাজনৈতিক জোট ও দলগুলো ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে বিজয়ী হয়। ১৯৯৬ সালে তার নেতৃত্বেই তৎকালীন বিএনপি সরকারের পতন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিজয় অর্জন করে আওয়ামী লীগ। গত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় প্রধান বিরোধী দলের নেতা হিসেবে তার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে প্রথমে ১৪ দলীয় জোট এবং পরে মহাজোট গড়ে ওঠে।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা জারি করে ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এলে ওই বছরের ১৬ জুলাই চাঁদাবাজিসহ দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হন শেখ হাসিনা। ওই সময় সংসদ ভবন চত্বরের বিশেষ কারাগারে দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস বন্দি ছিলেন। গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে গিয়ে এর আগেও কয়েক দফা গৃহবন্দি হন তিনি।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এ পর্যন্ত তিন মেয়াদে ক্ষমতাসীন হয়েছে। ১৯৯৬ সালে তার নেতৃত্বে দীর্ঘ ২১ বছর পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটি। ওই বছরের ১২ জুনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২৩ জুন সরকার গঠন করে দলটি। এরপর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের ঐতিহাসিক নির্বাচনে চার-তৃতীয়াংশ আসনে বিশাল বিজয় অর্জনের মাধ্যমে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠিত হয়। দেশের ইতিহাসে টানা দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। গত বছরের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিজয়ের পর ১২ জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরপর দ্বিতীয় মেয়াদের মহাজোট সরকার গঠিত হয়েছে। এছাড়া ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৯১ সালের পঞ্চম এবং ২০০১ সালের অষ্টম সংসদে অর্থাৎ মোট তিন দফা বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে।
গণতন্ত্র এবং দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামে অসামান্য অবদান রাখার পাশাপাশি রাষ্ট্র পরিচালনায়ও ব্যাপক সাফল্যের পরিচয় দিতে সক্ষম হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৯৬-০১ সালে তার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি ও গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি তার সরকারের অন্যতম সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। বর্তমানে তার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত ও মধ্যম আয়ের আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য পূরণে নিয়োজিত আছে। এ সময়ে অর্জিত সমুদ্র বিজয় এবং ৪১ বছর পর ছিটমহল সমস্যার সমাধান ঐতিহাসিক সফলতা হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে। তাছাড়া এমডিজি ও এসডিজি অর্জনে আন্তর্জাতিক সফলতা, নারী ও শিশু স্বাস্থ্যসহ স্বাস্থ্যসেবা, দারিদ্র্য নিরসন, শিক্ষা বিস্তার ও সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে আখ্যায়িত।
এই অঞ্চলে গণতন্ত্র, শান্তি ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নারী শিক্ষার বিস্তার, শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস ও দারিদ্র্য বিমোচনের সংগ্রামে অসামান্য ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে দেশী-বিদেশী বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হয়েছেন শেখ হাসিনা। এর মধ্যে সাউথ-সাউথ ভিশনারি পুরস্কার-২০১৪, শান্তি বৃক্ষ-২০১৪, জাতিসংঘ পুরস্কার-২০১৩ ও ২০১০, রোটারি শান্তি পুরস্কার-২০১৩, গোভি পুরস্কার-২০১২, সাউথ-সাউথ পুরস্কার-২০১১, ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার-২০১০, পার্ল এস. বার্ক পুরস্কার-২০০০, সিইআরইএস মেডাল-১৯৯৯, এমকে গান্ধী পুরস্কার-১৯৯৮, মাদার তেরেসা শান্তি পুরস্কার-১৯৯৮, ইউনেস্কোর ফেলিক্স হোফুয়েট-বোয়েগনি শান্তি পুরস্কার-১৯৯৮ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। এছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণে অসামান্য অবদানের জন্য জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’ পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের শুভেচ্ছা : বাসস জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠ কন্যা হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেছেন, তিনি যত না প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, তার চেয়েও বেশি জাতির কাছে একজন মা হিসেবে নিজেকে অধিষ্ঠিত করেছেন। নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন একজন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবেও।
জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ, লেখক, চিকিৎসক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিশিষ্ট নাগরিকরা শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তারা বাসসকে বলেন, শেখ হাসিনা দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি সম্প্রতি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বসভায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে দৃঢ় অবস্থান এবং ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের কলংক থেকে জাতিকে মুক্ত করতে হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনায় তার প্রতি তারা কৃতজ্ঞতা জানান।
তারা শেখ হাসিনাকে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার হিসেবে আখ্যা দিয়ে এবং নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রতিকূলতা মোকাবেলায় গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। তারা প্রধানমন্ত্রীর সাহিত্য, ক্রীড়া এবং সঙ্গীতানুরাগেরও প্রশংসা করেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাবেক একান্ত সচিব, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে তার দীর্ঘায়ু কামনা করে তাকে জনবন্ধু আখ্যা দেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার যোগ্য ও দৃঢ় নেতৃত্বে দেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। সামাজিক রূপান্তর ঘটেছে এবং দারিদ্র্য নির্মূল হচ্ছে। এজন্য সারা পৃথিবী তাকে ধন্য ধন্য বলছে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা বিশিষ্ট প্রকৌশলী অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর সাহসী ও উন্নয়নমুখী নেতৃত্বের প্রশংসা করে তার শুভ জন্মদিন কামনা করেন। তিনি বলেন, একজন প্রকৌশলী হিসেবে আমি মনে করি, যোগাযোগ খাতে অনেক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। পদ্মা সেতু এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলেছে, যা দেশের বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আআমস আরেফিন সিদ্দিক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাও সেই অঙ্গীকার ও দৃঢ়তা নিয়েই দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি একে আজাদ চৌধুরী বলেন, উন্নয়নের বিভিন্ন শাখায় অসাধারণ অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন, যা বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, শেখ হাসিনা এখন আর শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, তিনি এখন বিশ্ব নেতা। উন্নয়নের রোল মডেল। জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংকসহ পৃথিবীর বিখ্যাত সব প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দারিদ্র্য বিমোচন ও উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে উল্লেখ করেন।
বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন, শেখ হাসিনা এ দেশের মানুষের একমাত্র আশ্রয় এবং উন্নয়নের প্রধান চালিকা শক্তি। তিনি বলেন, তার দৃঢ় অঙ্গীকার না থাকলে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কোনোদিনই সম্ভব হতো না।
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন দেশের বিপুল কর্মযজ্ঞে প্রধানমন্ত্রীর নিষ্ঠা ও শ্রমের জন্য জন্মদিনে তাকে অভিনন্দন, শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনন্য সাধারণ ব্যক্তিত্ব ও মানবাধিকারের প্রতি নিষ্ঠা বিশেষ করে শিশু অধিকার সুরক্ষায় তার দৃঢ় অবস্থানের কারণে বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জন অনেক। কিন্তু একজন চিকিৎসক হিসেবে আমার মনে যেটি বেশি দাগ কেটেছে সেটি হল, কমিউনিটি ক্লিনিক। তিনি অটিস্টিক শিশুদের পুনর্বাসন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতাসহ সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন।
কর্মসূচি : আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ শেখ হাসিনার ৭০তম জন্মবার্ষিকী পালন করবে। কর্মসূচিতে থাকছে, কেক কাটা, বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, প্রার্থনা সভা প্রভৃতি। আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের পক্ষ থেকে ওয়াশিংটনে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে আজ জন্মদিনের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হবে। ঢাকা থেকেও টেলিফোনে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাবেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। দিনটি উপলক্ষে বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ বিকেল ৪টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিলাদ, দোয়া মাহফিল, বস্ত্র বিতরণ ও আলোচনা সভা করবে। দুপুর ১২টায় ঢাকেশ্বরী মন্দির এবং প্যাগোডা, গির্জাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আওয়ামী লীগের পক্ষে বিভিন্ন এতিমখানাসহ দুঃস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭০তম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আর্টক্যাম্প, শিশু-কিশোর ও যুবদের আনন্দ উৎসব এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ মিষ্টিমুখের আয়োজন করেছে।
বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার ও সংস্কৃতিবান্ধব এ প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনকে ঘিরে একাডেমি জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় সকাল ১০টায় বরেণ্য শিল্পীদের আর্টক্যাম্পের আয়োজন করেছে। এতে ছবি আঁকবেন শিল্পী আবদুল মান্নান, অলকেশ ঘোষ, রণজিৎ দাস, জামাল আহমেদ, নাসিম আহমেদ নাদভী, নাঈমা হক, ড. ফরিদা জামান, কনকচাঁপা চাকমা, শাহজাহান আহমেদ বিকাশ, আনিসুজ্জামান, মোহাম্মদ আলপ্তগীন তুষার, দুলাল চন্দ্র গাইন, আবদুস সাত্তার তৌফিক, নাজির খান খোকন, শহীদ কাজী ও কামাল উদ্দীন।
বিকাল ৪টায় শিশুদের চিত্রাংকন, শিশু-কিশোর ও যুবদের আনন্দ উৎসব এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ মিষ্টিমুখেরও আয়োজন রেখেছে একাডেমি। শিশু একাডেমির শেখ রাসেল মুক্তমঞ্চে আনন্দ উৎসব পালন করবে।
সূত্র: যুগান্তর