নাফিস রায়হান রিদিত : আজকাল ছেলেমেয়েরা যখন প্রেম করে তখন আসলে কী হচ্ছে? ছেলেটা থাকছে তার বাসায়, মেয়েটা তার বাসায়। দু’জন টাকা খরচ করে ডেট করছে। রেস্টুরেন্টে খাচ্ছে। একে অন্যকে গিফট কিনে দিচ্ছে। ডেট করা শেষে দুজনে আবার নিজেদের বাসায় ফিরে যাচ্ছে। তারপর রাত জেগে ফোনে কথা বলছে। তো এই যে কাজগুলা তারা করছে, এই সেম কাজগুলাই কি বিয়ে করে করা যায় না?
আকদ হয়ে থাকবে, মেয়েটা থাকবে বাবার বাড়িতে। স্বামীর সঙ্গে ডেট করবে, স্বামী স্ত্রী রাত জেগে কথা বলবে। এরপর ছেলে যখন উপার্জন করা শুরু করবে, তখন মেয়েকে ঘরে তুলে নিবে। এমন হলে ফোনে কথা বলার মধ্যে কোনো লুকোচুরির দরকার হচ্ছে না। ডেটিংয়ে গিয়ে ধরা পড়ার ভয় থাকছে না। ছেলেটা চাইলে মেয়েটার বাসার ড্রয়িংরুমে বসে অপেক্ষা করতে পারে তাকে নিয়ে ঘুরতে যাবে বলে। মেয়েটা কোনো এক ছুটির দিনে সকালে ছেলের বাসায় হাজির হয়ে যেতে পারে তার শাশুড়ির সঙ্গে রান্না করবে বলে।
যদি উদ্দেশ্য শুধু সময় কাটানো না হয়ে একসঙ্গে বৃদ্ধ হওয়ার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে যার সঙ্গে প্রেম করছেন, তাকে বিয়ে করে ফেলেন না কেন? বাপ-মা যে ভয়ে বিয়ে দিতে চায় না সেটা হচ্ছে- বিয়ে করে বৌ কে খাওয়াবে কী? প্রেমিক কাপল যে টাকাটা ডেটের পিছে খরচ করছে, অনেক বিবাহিত দম্পতিও তাদের ঘুরাঘুরির পেছনে এর চেয়ে কম খরচ করে। তাই বাবা-মায়েরা যদি একবার সাহস করে স্রোতের বিপরীতে হেঁটে আর্লি ম্যারেজ দিয়ে দেন- তাহলে ছেলেমেয়গুলা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারবে, আপনাকেও তাদের গুনাহর ভাগীদার হতে হবে না।
এখন যে পর্ণোগ্রাফী মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে, ডাস্টবিনে পড়ে থাকে নবজাতকের লাশ- এসবের কারণ কী? একজন মানুষের জৈবিক চাহিদা থাকবেই। ব্যাপারটা স্রোতের মতো। যখনই আপনি এতে বাঁধ দেওয়ার চেষ্টা করবেন, তখনই সে তার বিকল্প রাস্তা তৈরি করে নেবে। হযরত আদম ( আঃ ) জান্নাতে থেকেও সুখ পান নি, একজন সঙ্গীর জন্যে মলিন মুখে ঘুরে বেড়াতেন। আর মানুষ তো থাকে ধুলি-ধূসরিত পৃথিবীতে। তার জীবনে অনেক বেশী হার্ডশিপ, অনেক বেশী স্ট্রাগল।
একটা বয়সের পরে প্রচণ্ড কাজের চাপের মধ্যে কারো ছোট্টো টেক্সটের দরকার হয়, দিন শেষে ভালোবাসার একটা স্পর্শ লাগে। এখন বাপ-মা বিয়ে দিচ্ছে ত্রিশের পর কিন্তু ছেলে ম্যাচিউরড হয়ে যাচ্ছে আঠারো-উনিশে। যেহেতু সে জানে যে ত্রিশের আগে বিয়ে হবে না, তাই সে শুরু করে প্রেম, প্রেমিকার সঙ্গে রাত জেগে কথা বলা, তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত যাপন। প্রেমিকার সঙ্গে সে তাই তাই করতে চায় যা সে বিয়ের পর স্ত্রীর সঙ্গে করতো। এবং করেও। শুধুমাত্র বিয়ে না করার কারণে মাঝখান থেকে বাড়ছে গুনাহ।
এখন যে পর্ণোগ্রাফী মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে, ডাস্টবিনে পড়ে থাকে নবজাতকের লাশ- এসবের কারণ কী? একজন মানুষের জৈবিক চাহিদা থাকবেই। ব্যাপারটা স্রোতের মতো। যখনই আপনি এতে বাঁধ দেওয়ার চেষ্টা করবেন, তখনই সে তার বিকল্প রাস্তা তৈরি করে নেবে। হযরত আদম ( আঃ ) জান্নাতে থেকেও সুখ পান নি, একজন সঙ্গীর জন্যে মলিন মুখে ঘুরে বেড়াতেন। আর মানুষ তো থাকে ধুলি-ধূসরিত পৃথিবীতে। তার জীবনে অনেক বেশী হার্ডশিপ, অনেক বেশী স্ট্রাগল।
প্রেমের যে সম্পর্ক ওই সম্পর্কের তো কোনো প্রাতিষ্ঠানিক অথবা সামাজিক স্বীকৃতি নেই। আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে, আল্লাহ্ না করুক, প্রেমের সম্পর্ক চলাকালীন ছেলেটা যদি মারা যায়, সেক্ষেত্রে মেয়েটার কি ইচ্ছা হয় না তার প্রেমিককে শেষবারের মতো দেখতে? ছেলেটার বাড়িতে গিয়ে সে নিজের কী পরিচয় দিবে? সে ছেলেটার কী হয়? আমাদের সমাজ প্রভা-রাজীবের ভিডিও দেখে তারপর তাদেরকেই গালি দেবে। গভীরভাবে ভেবে দেখুন- আঙ্গুলটা আগে তাদের বাবা-মায়েদের দিকে তোলা উচিত কিনা যারা এই নষ্ট সমাজের প্রচ্ছন্ন সমর্থক।
এফএফ