আওয়ার ইসলাম: কওমী মাদরাসার শিক্ষা ব্যবস্থার স্বীকৃতি বাস্তবায়নের লক্ষে ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার কমিটির একটি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদরাসা অনুবিভাগ এ কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে বলে উল্লেখ করা হয় প্রজ্ঞাপনে।
সদ্য ঘোষিত এ কমিটি’র সদস্যরা ‘বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৩’ যাচাই বাছাই ও সময়োপযোগী করে মন্ত্রণালয়ে পেশ করবে। আইনটি পরীক্ষা নিরিক্ষা ও সংযোজন বিয়োজনও করতে পারবে কমিটি। ২০১২ সালে কওমি মাদরাসা শিক্ষা সনদের সরকারি স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে গঠিত ১৭ সদস্যের কমিটি উক্ত আইনটি প্রণয়ন করেছিল।
আওয়ার ইসলামের সব খবর তাৎক্ষনিক পেতে এখানে ক্লিক করুন
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (মাদরাসা ২) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আইনটির আলোকে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন বা সুপারিশমালা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে ঘোষিত কমিটি।
৯ সদস্যের এ কমিটির আহবায়ক ইকরা বাংলাদেশ এর পরিচালক মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ।
সদস্যগণ হলেন যথাক্রমে-
২. মাওলানা সুলতান যওক নদভী, পরিকালক দারুল মাআরিফ, চট্টগ্রাম।
৩. মাওলানা আবদুল হালিম বোখারী, মুহতামিম পটিয়া মাদরাসা, চট্টগ্রাম।
৪. মাওলনা আনোয়ার শাহ, মুহতামিম জামিয়া ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জ।
৫. মাওলানা আবদুল বাসেত বরকতপুরী, সিলেট
৬. মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, মুহতামিম ফরিদাবাদ মাদরাসা।
৭. মুফতি এনামুল হক, সিনিয়র মুহাদ্দিস, বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
৮. মাওলানা ইমদাদুল্লাহ কাসেমী, মুহতামিম জামিয়া মাদানিয়া খুলনা।
এছাড়া সদস্য সচিব করা হয়েছে, গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মহা পরিচালক মুফতি রুহুল আমিনকে।
উল্লেখ্য, কওমি মাদরাসার সনদের স্বীকৃতি দীর্ঘ দিন ধরেই মাদরাসার ছাত্র উস্তাদদের প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। বিগত বিএনপি জোট সরকারের আমলে এ ব্যাপারে সর্ব প্রথম সরব আলোচনা ও আন্দোলন শুরু হয়েছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই কওমি মাদরাসা শিক্ষার স্বীকৃতি দেয়ার ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়। তবে স্বীকৃতি কে নেবে কার মাধ্যমে নেয়া হবে এসব নিয়ে নানারকম বিরোধ লক্ষ করা গেছে শুরু থেকেই। বর্তমানে এই পরিস্থিতি অনেকটাই কমে এসেছে। সম্প্রতি রাজধানীতে মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ সংগৃহিত লক্ষ আলেমের ফতোয়া প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেয়ার অনুষ্ঠানে কওমি সনদের স্বীকৃতি দেয়ার কথা বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই স্বীকৃতির প্রক্রিয়া আবারো সচল হতে থাকে।
পুরো প্রজ্ঞাপনটি দেখতে ক্লিক করুন
আরআর