সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

চিন্তা করলেই পরিবর্তন আনা যায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

masud2সালাহুদ্দীন মাসউদ

অামরা কয়েকজন আলেম একটি মাদরাসা করলাম। শুরু থেকেই আমাদের অঙ্গিকার ছিল, আমাদের মাদরাসার কোনো ছাত্রের হাতে ধান চাউলের বস্তা উঠবে না। শিক্ষকরাও কোনো প্রকারের কালেকশনে যাবে না। আমরা পড়াশোনাটা ঠিকমত করাবো। ছাত্ররা মন দিয়ে পড়বে। অভিভাবক তার খরচ বহন করবে। সেই খরচ থেকে প্রতিষ্ঠানের খরচ নির্বাহ হবে।

আলহাদুলিল্লাহ, একটি বছর শেষ হয়ে দ্বিতীয় বছর শুরু হয়েছে। অনাবাসিক ছাত্রদের মাসিক বেতন মাত্র আট শত টাকা। আবাসিকদের থাকা খাওয়া পড়া, সব মিলিয়ে মাত্র তিন হাজার টাকা। আমাদের মকতব বিভাগে তিনটি হালকার জন্য তিনজন শিক্ষক। হিফজতে একজন। এ ছাড়া পরিচালক, বাবুর্চী আছে। ছাত্র কালেকশন থেকে সবার বেতন হচ্ছে। স্বাভাবিক মাদরাসার তুলনায় আমাদের এখানে বেতন বেশি। ওস্তাদদের আদায় করার কোনো টেনশন নেই। শুধু ভালো করে পড়াও আর লেখাও। আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের ফারুকিয়া ইসলামিয়া মাদরাসা, কলোনী, বগুড়া লেখাপড়ায় ইতিমধ্যে বেশ সুনাম অর্জন করেছে। শিক্ষকদের যখন কালেকশন আর বেতনের টেনশন থাকবে না, তারা মন বসিয়ে পড়াতে পারবেন। কালেকশনের চিন্তা আর বেতন বাকির ধকলে অধিকাংশ কওমি মাদরাসার বিশেষ করে গ্রাম গঞ্জের মাদরাসাগুলোর লেখাপড়ার অবস্থা খুবই নাজুক।

দেখুন, ফারুকিয়া ইসলামিয়ার দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র কোরআন শরিফ পড়ছে এবং আরবী সূরা মুখস্ত লিখছে। তারা আরবীর সাথে সমান গুরুত্বের সহিত বাংলা ইংরেজি ও অংক শিখছে ও লিখছে।

শিক্ষকরা কালেকশনের চিন্তায় থাকলে লেখাপড়া এভাবে এগিয়ে যেতো না।

বড় বড় প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজন অনেক বেশি। কালেকশন করতেই হয়। ঠিক আছে করুন তবে রাস্তায় মাইক বাজিয়ে আর বাসে বাসে আদায়কারী দিয়ে নয়। পরিচালকগণ ধনাঢ্যদের কাছে গিয়ে বা দাওয়াত করে প্রতিষ্ঠানে নিয়ে এসে প্রতিষ্ঠানের হালত জানাবে। ছাত্র শিক্ষকদের মাঠে নামিয়ে দিয়ে নয়।

মাঠে নামিয়ে কালেকশন করতে গিয়ে ইলমে দীনকে ছোট করা হচ্ছে এবং ছাত্রদের জীবন ধ্বংস হচ্ছে। লেখাপড়া, মন মানসিকতা সব নষ্ট হচ্ছে। মাদরাসা শুরু করার পূর্বেই যদি রশিদ বই ছাপিয়ে কালেকশনের প্লান কষা হয় তবে সেখানে লেখাপড়ার উন্নতী আর কতোই হবে, বোঝা যাচ্ছে। তালেবুল ইলম এবং নবীন আলেমদের কাছে নিবেদন জানাবো, আগে যা হবার হয়েছে, এখন থেকে আমাদের শিক্ষা এবং প্রতিষ্ঠান নিয়ে সু চিন্তিত পদক্ষেপ নিতে হবে।

আরআর


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ