সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

হিংসা নেকিসমূহকে খেয়ে ফেলে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

hingshaআহমাদ আবসার হুসাইন মাদানী

হিংসা একটি ধ্বংসাত্মক মানসিক রোগ। যার মধ্যে এই রোগ মাথাচারা দিয়ে ওঠে, দিন দিন তার ইহকাল ও পরকাল ধ্বংস হতে থাকে। হিংসুকের অন্তর সব সময় হিংসার আগুনে জ্বলতে থাকে। অথচ যাকে হিংসা করা হয় তার কোনোই ক্ষতি হয় না। হিংসা হলো কারো সুখ-শান্তি-সফলতা-উন্নতি দেখে অন্তরে তার প্রতি কষ্ট ও জ্বালা-পোড়া অনুভব করা, তার প্রাপ্ত নেয়ামতগুলোর ধ্বংস কামনা করা এবং তার সম্পদ বিলুপ্ত হলে অন্তরে পুলক অনুভব করা। তবে কেউ যদি কামনা করে, আল্লাহ তায়ালা আমাকেও এমন নেয়ামত দান করুন, তাহলে এতে কোনো ক্ষতি নেই। একে গিবতাহ বা ঈর্ষা বলে। হিংসা করা হারাম।

রাসুলে কারিম সা. বলেন, হিংসা নেকিসমূহকে এমনভাবে খেয়ে ফেলে, যেমনভাবে আগুন খড়কুটাকে জ্বালিয়ে শেষ করে দেয়। অবশ্য এমন ব্যক্তির ওপর হিংসা করা জায়েজ, যে আল্লাহর দেয়া নেয়ামতগুলো ইসলামবিরোধী কাজে ব্যয় করে। তার সম্পদ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কামনা করা পাপ নয়। কারণ এক্ষেত্রে প্রকৃতপক্ষে তার পাপের পথ রুদ্ধ হওয়ার কামনাই করা হয়।

এক ব্যক্তি পত্রের মাধ্যমে হাকিমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহ. এর কাছে হিংসা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় জানতে চাইলে তিনি লিখলেন, তিন সপ্তাহ নিম্নোক্ত আমলগুলো করার পর পুনরায় নিজের অবস্থা জানাও।

১. যার বিরুদ্ধে হিংসা জাগে তার জন্য প্রতিদিন দোয়া করবে।

২. স্বীয় মজলিসসমূহে তার প্রশংসা করবে।

৩. মাঝে মাঝে তাকে হাদিয়া-উপহার দেবে।

৪. কখনো কখনো আপ্যায়ন করাবে।

৫. সফরে যাওয়ার সময় তার সঙ্গে দেখা করে যাবে এবং ফিরে আসার সময় তার জন্য উপহার নিয়ে আসবে।

তিন সপ্তাহ পর লোকটি লিখে জানাল হযরত, আমার হিংসার ব্যাধি অনেকটা কমে গেছে। হজরত থানভী রহ. উত্তরে লিখলেন, আরো তিন সপ্তাহ এর ওপর আমল কর। তিন সপ্তাহ পর লোকটি জানাল হজরত, এখন ঘৃণা ও মনোকষ্টের বদলে তার প্রতি আন্তরিকতা ও ভালোবাসা অনুভব হচ্ছে। যদি এতটুকু কষ্ট স্বীকার না করা হতো তবে সারাটা জীবন হিংসার আগুনে জ্বলে পুড়ে ধ্বংস হতো, মনের শান্তি ও প্রফুল্লতা হাতছাড়া হয়ে যেত এবং আখেরাতও ধ্বংস হয়ে যেত। আল্লাহ তায়ালা আমাদের এ ধ্বংসাত্মক ব্যাধি থেকে রক্ষা করুন।

লেখক: আলেম,মুফতী, গবেষক
খলিফা : আল্লামা আহমাদ শফী


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ