আওয়ার ইসলাম: পাকিস্তানে ভারতের হামলার আশঙ্কা রয়েছে এমন আভাস পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে পাকিস্তান। শুরু করেছে যুদ্ধের প্রস্তুতি। রাজধানী ইসলামাবাদের আকাশে শুক্রবার সকাল থেকে উড়তে শুরু করেছে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। পাকিস্তানের মিডিয়াগুলো এমনটাই দাবি করেছে।
মিডিয়ার দাবি, সীমান্তে ভারতীয় বাহিনীর বিপুল অস্ত্রশস্ত্র মোতায়েনের খবর প্রকাশ্যে আসে বৃহস্পতিবার। সেই খবরের পরই হামলার আশঙ্কায় রাতে ইসলামাবাদের আকাশে এফ-১৬ উড়তে শুরু করে।
এর আগে পাকিস্তানের বিশিষ্ট সাংবাদিক হামিদ মির বিষয়টি নিয়ে একটি টুইট করেছেন। সেখানে তিনি পাকিস্তানের আকাশে এফ-১৬ উড়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে হামিদ মিরের টুইটের পরপরই বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। হামিদ টুইট বার্তায় লিখেছেন, রাত ১০টা ২০ মিনিট থেকে ইসলামাবাদের আকাশে এফ-১৬ উড়তে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে যুদ্ধের আতঙ্কে ইসলামাবাদের কোনও কোনও এলাকায় সাধারণ মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে।
কাশ্মীরের উরিতে ১৮ সেনা নিহতের ঘটনায় প্রতিশোধ নিতে ভারত আক্রমণ চালাতে পারে বলে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে।
এরমধ্যেই শুক্রবার এক প্রতিবেদনে ভারতে হামলার লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণের খবর দিয়েছে পাকিস্তানি দৈনিক দ্য ইন্টারন্যাশনাল নিউজ।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সূত্রের বরাতে দৈনিকটি জানায়, পাকিস্তানে সার্জিক্যাল আক্রমণ করলে তাৎক্ষণিকভাবে ভারতের কোথায় হামলা করা হবে, তার একটি অপরাশেনাল পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।
ভারত-পাকিস্তানের টানটান উত্তেজনার মাঝে রাতে পাকিস্তানের রাজধানীর আকাশে যুদ্ধবিমান উড়তে শুরু করলে তা যে অশনি সঙ্কেতই বয়ে আনছে সে বিষয়ে কোনো সংশয় নেই। রাত ১২টা নাগাদ আরো একটি টুইট বার্তায় হামিদ মির জানান, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। দেশকে রক্ষা করতে পাক বাহিনী সব সময়ই প্রস্তুত।
নিয়ন্ত্রণ রেখায় বিপুল আর্টিলারি সরঞ্জাম মোতায়েন করেছে ভারত। এ নিয়েই পাকিস্তানে ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়েছে। শুধু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নয়, ব্রিটিশ এবং পাক সংবাদমাধ্যমেও ভারতের এই সামরিক তৎপরতার খবর প্রকাশ করা হয়েছে। ৭৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বিভিন্ন অগ্রবর্তী চৌকিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ভারী গোলাবর্ষণের সরঞ্জাম।
নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে জ্বালানি তেলের বিপুল ভাণ্ডার। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একের পর এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন। তার মধ্যে একাধিক বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল উপস্থিত ছিলেন। সেনাবাহিনী অভিযানের প্রস্তুতি সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি প্রেজেন্টেশন প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেছে বলেও জানা গেছে।
আরআর