শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২০ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
৫ বছর আগের এই দিনে কী হয়েছিল মাওলানা আনসারীর জানাজায়? হজযাত্রীর জন্য চালু হচ্ছে হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার, থাকবে অ্যাপ কুয়েট শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিন- ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ  আইন করে ভারতে মুসলিমদের অধিকার হরণ করা যাবে না: জমিয়ত করাচি-চট্টগ্রাম রুটে নৌযান চলাচলকে স্বাগত জানিয়েছে দুই পক্ষ: পাকিস্তান ২৬ এপ্রিল জমিয়তের কাউন্সিল, প্রাধান্য পেতে পারে তরুণ নেতৃত্ব কওমি সনদ বাস্তবায়ন  করা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব: ধর্ম উপদেষ্টা কোরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতেই কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব: জামায়াত সেক্রেটারি গাজায় গণহত্যা ও ভারতে ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে জমিয়তের বিক্ষোভ ইয়েমেনে মার্কিন হামলায় নিহত অন্তত ৩৮

হাজিদের সেবায় সৌদি শিশুদের অনন্য দৃষ্টান্ত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

saudi_children_hajjআওয়ার ইসলাম: সেবা ইসলামের অন্যতম গুণাবলির একটি। জনসেবার মধ্যে লুকিয়ে আছে মানুষের মুক্তি। হজ মৌসুমে সৌদি আরবের হাজারও কোম্পানি এবং ব্যক্তি উদ্যোগে হাজিদের সেবা দেয়া হয়। তবে এ কাজে পিছিয়ে নেই সৌদি শিশুরাও। সম্প্রতি এক রিপোর্টে জানা গেছে চমকপ্রদ গল্প।

সওয়াবের আশায় কেবল বয়স্করাই সেবামূলক কর্মকাণ্ড করবেন এমনটাই সবাই মনে করেন। তবে এমন ধারণা পাল্টে দিচ্ছে সৌদি আরবের শিশুরা। তারাও এগিয়ে আসছে জনসেবায়। হাজিদের কষ্ট লাঘবে কাজ করছে প্রাণপণ।

এমনই দুই শিশুকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সৌদি গেজেট। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে তারা মক্কায় আগত হাজীদের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রেখেছিল এবারের হজে। নিজের কষ্টের কথা ভুলে হাজিদের কষ্ট দূর করতে কাজ করেছে।

প্রতিবেদনে প্রকাশিত দুই ভাইয়ের নাম মাজেন আল-জাহরানি ও বাসিম আল-জাহরানি। বয়স ১০ বছরের কাছাকাছি। দক্ষিণের আল-বাহা এলাকা থেকে দুজনেই মা-বাবার সঙ্গে হজ করতে আসে।

হজে এসে দুই ভাই মক্কার আজিজিয়া জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বেছে নেয়। মিনার কাছে হওয়ায় এখানে হাজীদের বড় একটি সংখ্যা অবস্থান করে থাকেন। আর অবসর সময়ে তাদের মাঝে খাবার, পানি ও চা বিতরণ করেন দুই ভাই।

তাদের বক্তব্য, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ এবং সওয়াবের আশায় তারা এ কাজ করেছেন। আল্লাহর এ অনুগ্রহপূর্ণ দিনগুলোতে এ কাজ করতে উৎসাহিত করেন তাদের মা-বাবা। ছোট থেকেই তারা এ কাজের তালিম পান ঘর থেকে।

মাজেন ও বাসিম জানান, হাজিদের সেবার জন্য তারা অল্প অল্প করে টাকা সঞ্চয় করেন সারা বছর। আর সেই টাকা দিয়ে কেনা খাবার, পানি ও চা হজের সময় আগত আল্লাহর মেহমানদের মাঝে বিতরণ করেন।

কেবল তারা দুজনই নয়, আরও অনেক সৌদি শিশু রীতিমতো প্রতিযোগিতা করে হজের সময় এ সেবামূলক কাজ করে থাকে। তারা হাজীদের মাঝে খাবার, ফল, পানি ও কোমল পানীয় বিতরণ করে থাকে।

সেবামূলক কাজে শিশুদের উৎসাহিত করতে অনেক মা-বাবা তাদের শিশুদের এসব কিছু সরবরাহ করেন অথবা টাকা দিয়ে থাকেন। এছাড়া সেবামূলক কাজে শিশুদের আগ্রহ বাড়াতে অনেক সংস্থাও এ কাজে এগিয়ে আসে।

হজ করতে আসা জর্ডানের আবু গাইদা বলেন, 'অনেক শিশুকে মিনায় হাজীদের খাবার এবং জুস দিতে দেখে আমি অত্যন্ত খুশি। এই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাদের পূর্ব পুরুষদের ভালো কাজগুলো অব্যাহত রাখবে।'

হজ করতে আসা ফিলিস্তিনের ইব্রাহিম বলেন, 'সৌদি আরবের শিশুদের এ সেবামূলক কর্মকাণ্ডে বিস্ময়ের কিছু নেই। তারা সব সময় আল্লাহর মেহমানদের সম্মান দিয়ে থাকে।'

আরআর


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ