আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর দেশে প্রায় এক কোটি পাঁচ লাখ পশু কুরবানি হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে ৯ লাখ বেশি। গত বছর দেশে কুরবানি হয়েছিল ৯৬ লাখ পশু। পশুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কুরবানি হয়েছে ছাগল ও ভেড়া। দেশে গরু কুরবানি হয়েছে ৩৩ লাখ।
এ বিষয়ে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম জানিয়েছেন, এবার ভারতীয় গরুসহ এক কোটি ২০ লাখ পশু কুরবানির হাটে বিক্রির জন্য আনা হয়েছিল। শেষ সময়ে গরুর সরবরাহ বেশি হয়ে যাওয়ায় অনেক গরুই বিক্রি হয়নি।
দেশের সর্ববৃহৎ গরুর হাট গাবতলী হাটের সাধারণ সম্পাদক জানান, গাবতলী থেকে শেষ দিন প্রায় ৩ হাজার ট্রাক গরু নিয়ে ফিরে গেছে।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের জিও টিভি তাদের ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ঈদে পাকিস্তানে কুরবানি হয়েছে প্রায় ১ কোটি পশু। এরমধ্যে ছাগল কুরবানি হয়েছে ৪০ লাখ, গরু ২৭ লাখ, ভেড়া ৮ লাখ এবং উট ৩০ হাজার।
এ হিসাবে বাংলাদেশ কুরবানির দিক থেকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেল। বিশ্বে মুসলিম জনগোষ্ঠীর দিক থেকে পাকিস্তান দ্বিতীয় দেশ। বাংলাদেশ তৃতীয়।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিম জনগোষ্ঠী বাস করে ইন্দোনেশিয়ায়। তাদের ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, ইন্দোনেশিয়ায় পশু কুরবানি হয়েছে ৫৫ লাখ।
সৌদি আরবের জেদ্দা চেম্বার অব কমার্সের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৫ লাখ, যা গত বছরের চেয়ে ৫ লাখ কম। হাজীদের জন্য পশু কুরবানি একটি আবশ্যিক অনুষঙ্গ। তথ্য অনুযায়ী, হাজীদের দেওয়া কুরবানিসহ সৌদি আরবে এ বছর পশু কুরবানি হয়েছে ২৫ লাখ। তুরস্কে পশু কুরবানি হয়েছে ১ লাখ।
আরআর