হরিয়ানার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। মেওয়াটে দুই বোনের গণধর্ষণ এবং বিরিয়ানিতে গোমাংস খুঁজতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এমন মন্তব্য করে বসেন তিনি। খাট্টার বলেন, এগুলো তেমন গুরুত্বপূর্ণ সমস্য নয়। দেশের যে কোনো প্রান্তেই এমন ঘটনা ঘটতে পারে। এসব ছোটখাটো ব্যাপারে মাথা ঘামানো ছাড়াও ঢের কাজ রয়েছে তাঁর। সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে এসেছেন। আজে বাজে কথা কানে তুলতে চান না।
গত মাসে হরিয়ানার মেওয়াটে দুই বোনকে গণধর্ষণ করে কিছু দুষ্কৃতী। ঈদের দিন ওই মেওয়াটেই টহলদারি চালায় পুলিশ। নিরাপত্তার জন্য নয়, বিরিয়ানিতে গোমাংস আছে কী না তা খতিয়ে দেখতে। বিভিন্ন দোকান ঘুরে বিরিয়ানি পরীক্ষা করা হয়। মাংস মুরগির না গরুর তা দেখতে বিশেষ ‘গো রক্ষক টাস্ক ফোর্স’ এর দলও হাজির ছিল।
গো সেবা আয়োগ সংগঠনের চেয়ারম্যান ভানি রাম মঙ্গলা জানান, নিয়মের তোয়াক্কা না করেই নাকি ফিরোজপুর ঝিরকা, নাগিনা, শাহ চোখা প্রভৃতি অঞ্চলে দেদার গোমাংসের বিরিয়ানি বিকিয়েছে। এই ধরনের সাতটি নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী অনিল ভিজ।
গত বছর সরকার বদলের পরই গোমাংস নিয়ে কড়া নিয়ম চালু করছে মনোহর লালের সরকার। আনা হয়েছে হরিয়ানা গো সংরক্ষণ ও গো সম্বর্ধনা আইন। গোমাংস বিক্রি, খাওয়া, গরু পাচার একেবারেই নিষিদ্ধ হয়েছে। ধরা পড়লে ১০ বছর পর্যন্ত জেল এবং ১ লক্ষ টাকা জরিমানা হতে পারে।
সূত্র: আজকাল