আওয়ার ইসলাম: ইসরায়েলের পারমাণবিক অস্ত্র থাকার বিষয়টি জানিয়ে জেফারি লিডসকে ইমেল পাঠিয়েছিলেন কলিন পাওয়েল। জেফারি একই সঙ্গে পাওয়েলের ব্যবসার সহযোগী এবং ডেমোক্রেটিক দলের তহবিলের অন্যতম জোগানদার।
২০১৫ সালের ৩ মার্চ লেখা কলিন পাওয়েলের ইমেইলে বলা হয়েছে, ‘যা হোক, ইরানিরা একটি (পারমাণবিক বোমা) তৈরি করলেও ব্যবহার করতে পারবে না। তেহরান জানে ইসলায়েলের কাছে ২০০টি পারমাণবিক বোমা আছে, যেগুলো তেহরানের দিকেই তাক করা এবং আমাদের আছে কয়েক হাজার। ইরানের প্রেসিডেন্ট (মাহমুদ আহমাদিনেজাদ) যেমন বলেছেন, একটি দিয়ে কী করব, ঘষামাজা করব।’
কলিন পাওয়েলের ইমেইল পাঠানোর কয়েকদিন আগেই ওয়াশিংটন সফর করেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ওই সময় তিনি প্রস্তাবিত যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পারমাণবিক চুক্তির ঘোর বিরোধিতা করে বক্তব্য দেন। ২০১৫ সালের মার্চ মাসেই ওই চুক্তি চূড়ান্ত হয়।
‘নিউক্লিয়ার অ্যাম্বিগুইটি’ নামক নীতির কারণে অন্যতম মিত্র ইসরায়েলের পারমাণবিক অস্ত্র থাকার বিষয়টি নিশ্চিত না করা অথবা অস্বীকার করার বিষয়টি সাবধানের চালিয়ে যাচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ইমেইলে বিষয়টি নিয়ে আর কোনো লুকোছাপা থাকল না। তবে কলিন পাওয়েলের ইমেইল এবং ইসরায়েলের পারমাণবিক অস্ত্র বিষয়ে এখনো নিশ্চুপ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
কলিন পাওয়েলের ইমেইল বিষয়ে সংবাদমাধ্যম আরটির করা প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জন কারবি। পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে পরীক্ষার জন্য ইরান ও উত্তর কোরিয়াকে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হয়েছে। একই ভাগ্য ইসরাইলকে বরণ করতে হবে কি না, এমন প্রশ্নেরও উত্তর দেননি জন কারবি।
এর আগে ২০১৪ সালে ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরায়েলের কাছে ৮০ থেকে ৪০০টি পারমাণবিক অস্ত্র আছে।
কলিন পাওয়েলের কথা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধে চিফ অব স্টাফ ছিলেন তিনি। পরে ২০০৩ সালে বুশ প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ইরাকের ওপর মার্কিন অভিযানেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়। মার্কিন বাহিনীর অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ বিষয়ে আগামী ১০ বছরের জন্য করা সমঝোতায় তিন হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ হবে, যার প্রায় পুরোটাই যাবে ইসরায়েলের হাতে।
আরআর