নীল সবুজের পাল
জালাল খান ইউসুফী
শিউলী মালা খোঁপায় পরে
গ্রামের মেয়ে হাঁটে
কলসী ভরে জল তুলে নেয়
সুরমা নদীর ঘাটে।
ঘাসের ডগায় শিশির সকাল বেলা
সুর্যরাজের আলোক তাতে
আলতা রাঙা পায়ের সাথে
মুক্ত করে খেলা।
চলছে ছুটে দূর আকাশে মেঘ
সওদাগরের হাঁটার মতো চলার গতিবেগ।
ঐআকাশে লক্ষ ঘুড়ি
শরৎ রানি মেঘের বুড়ি
নদীর পাড়ে কাশ
কাশবাগানের একটু দূরে
বাগান ভরা বাঁশ।
শিউলী ফুলের সুবাস পেয়ে
উদাস এ মন উঠল গেয়ে
পল্লীগীতি গান
শরৎ রূপে মুগ্ধ কবি
উদাস কবির প্রাণ।
কাল জননীর ছয়টি মেয়ে
একটি শরৎ কাল
এই মেয়েটি দেয় উড়িয়ে
নীল সবুজের পাল
ফুলকচুরি ফুলের কথা
মালেক মাহমুদ
কচুরিপানার জীবন যখন
নদীর মাঝে ঢেউ খেলে
ঢেউয়ের সাথে অছড়ে পড়ে
জীবন তখন নড়বড়ে
কোথায় নেবে ঠাঁই
ফুলকচুরি ভাই
ঠাঁই যদি পায় ঝিলের জলে
ফুল ফুটে সে গল্প বলে
ফুলকচুরি ফুল
আনন্দ বুলবুল ।
কচুরিপানা ফুলকচুরি
ফুলকচুরি ফুল রাশে
ডোবার জলে ফুল হাসে
দেখতে লাগে ভালো
শরৎ সকাল আলো,
গাঁয়ের খোকা দেখে খুশি
আরো খুশি মৌটুসি
ফুলকচুরি রাঙিয়ে
ফুলের তোড়া বানিয়ে
আনন্দ পায় খুব
ওরা ফুলকচুরির রূপ।
রূপের রাণী
আমিনুল ইসলাম হুসাইনী
এই সকালে রোদের ঝিলিক
শিশির ভেজা ঘাসে
মৃদু হাওয়া ঢেও তুলে ওই
নদীর তীরে কাশে।
রোদ্র-হাওয়া বেশ মেতেছে
লুকোচুরি খেলায়
ঋতুর রাণী শরৎ এলো
সাদা মেঘের ভেলায়।
এই দুপুরে জল নুপুরে
নাচ উঠেছে ধানক্ষেতে
ঘাসফড়িঙও তাল মিলালো
শালুকপাতার পান পেতে।
নীল শাড়িতে আসমানীও
খুব সেজেছে খুব
সন্ধাকাশে রক্তিমাভায়
সূর্যটা দেয় ডুব।
শিশির ভেজা শিউলি ডগায়
ফুল ফুটেছে ফুল
শরৎ মানেই রূপের রাণী
একটুও নয় ভুল।
কবির প্রাণ
মির্জা মুহাম্মদ নূরুন্নবী নূর
সাদামেঘের ভেলায় চড়ে
মনটা যে চায় ঘুরতে
কাশফুলের সাথী সেজে
মনটা যে চায় উড়তে।
ডানা মেলে বকের সাথে
ঘুরতে ইচ্ছে গগনে
ইচ্ছে করে উড়তে কবির
ভেজা তুলোর লগনে।
উদাস নীলের উদাসী মন
আলতো ছোঁয়া গান
শরৎকালের এমন আভায়
জুড়ায় কবির প্রাণ।
মেঘের সাথে কথামালা
সুখী আরিফুন নেছা
রাশভারী মেঘ
থমথমে মুখ
চেয়ে আছে ওই
সে আমার সুখ।
মেঘখানা উড়ে যায়
চাঁদ হাসে ওই
তবু আমি অপলক
চেয়ে থাকি সই।
সই বলে হেসে হেসে
চলো সই ঘরে যায়
আমি বলি ওরে মেঘ
ফিরে আয় ফিরে আয়
এফএফ