খালিদ হাসান : জঙ্গিবাদ দমন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার কথা ভেবে ঝিনাইদহ শহর সিসি ক্যামেরার আওতায় আসছে। এ নিয়ে প্রশাসন ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। শেষ পর্যন্ত জেলা শহরের ১৪০টি পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে বলে জানা গেছে।
সিসি ক্যমেরা বাবাদ সম্ভব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮/১৯ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে স্পট চিহ্নিত করে ঠিকাদারও নির্বাচন করা হয়েছে। জেলা পুলিশের বাস্তবায়নে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। ঝিনাইদহ চেম্বারের সভাপতি মীর নাসির উদ্দীন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা ও প্রতিষ্ঠানের কথাটি মাথায় রেখে আমরা গোটা শহর সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসছি। এতে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমনের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠানেরও নিরাপত্তা বিধান হবে।
বিষয়টি নিয়ে র্যাব, পুলিশ ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের দিক নির্দেশনায় শহর ব্যাপী সিসি ক্যামেরা বসানোর তৎপরতা চলছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে তার দপ্তরে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গেলে তিনি সিসি ক্যামেরা বসানোর প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তাতে সায় দেন ঝিনাইদহ শহরের ব্যবসায়ীরা। জানা গেছে ঝিনাইদহ শহরের ছোট বড় ব্যবসায়ীদের টাকায় সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। এ নিয়ে দোকান মালিক সমিতি ও চেম্বার নেতারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে কি পরিমাণ টাকা তোলা যায় তার নিয়ে ভাবছেন।
তবে ব্যবসায়ীদের একটি অংশ জানিয়েছেন, এখন ব্যবসা বানিজ্য ভাল না। অনেকে দোকান গুটিয়ে নিয়েছে। কেও পুঁজি ভেঙ্গে খাচ্ছেন। তাই বড় ব্যবসায়ীদের এ খাতে বেশি বিনিয়োগ তারা প্রত্যাশা করেন। তাছাড়া ভাল মানের সিসি ক্যামেরা যাতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বসায় সে বিষয়ে বিশেষ নজর দেবার দাবী জানানো হয়েছে।
এদিকে হরিণাকুণ্ডু শহরেও লাগানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা। ২/১ দিনের মধ্যে শহরের ৬টি পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা লাগানোর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
হরিণাকুণ্ডু দোকান মালিক সমিতির সভাপতি এম সাইফজ্জুামান তাজু জানান, ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই হরিণাকুণ্ডু শহরে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। এতে সাড়াও পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, সিসি ক্যামেরা লাগানো হলে ব্যবসায়ীরা এর সুফল পাবেন।
ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান সিসি ক্যামেরা লাগানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।