আওয়ার ইসলাম: অলিম্পিকে এবার দেখা মিলল পুরো উল্টো চিত্র। এক পাশে পুরো শরীর ঢাকা নারী আরেক পাশে দু টুকরো তালি। লড়াইটা জমলো বেশ। ভলিবলে এর আগে এমনটা দেখা যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি আলোচনায় উঠে এসেছে।
মেয়েরা বিচ ভলিবল বিকিনি পরেই খেলে। যেখানে তাদের পুরো শরীরই দেখা যায়। আর অঘোষিত নিয়মও দাঁড়িয়ে গেছে- এই পোশাক ছাড়া ভলিবল অসম্ভব। কিন্তু এবার অলিম্পিকে সেই নিয়ম ভেঙে দিলেন যেন। হিজাবে আবৃত এলগোবাসি বুঝিয়ে দিলেন নগ্নতা ছাড়াও ভলিবল সম্ভব।
বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমা মিডিয়ায় রীতিমতো হৈ চৈ। দি সান শিরোনাম করে একে বলছে, ‘কালচারাল শক’
এর আগে আন্তর্জাতিক ভলিবল ফেডারেশন খেলার পোশাকের নির্দিষ্ট মানদন্ড ঠিক করে দিয়েছিল। কিন্তু ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে নির্দিষ্ট পোশাক পরার বাধ্যবাধকতা তুলে নেয়া হয়। ফলে মেয়েদের লম্বা পাজামা ও লেগিংস পরে খেলতে নামার ক্ষেত্রে কোনও বাধা ছিল না। নিয়ম শিথিল হওয়ার ফলে নিজস্ব সংস্কৃতি অনুসারে পোশাক পরতে পারছেন ভলিবল খেলোয়াড়েরা। এ কারণে অনেক মুসলিম দেশের মেয়েরা হিজাব ও ধর্মীয় পোশাক পরেই অলিম্পিকে অংশ নিতে পারছেন।
৪০ মিনিটের খেলায় জার্মানির কাছে হারলেও এলগোবাসি মিসরের হয়ে প্রথমবারের অলিম্পিক বিচ ভলিবলে অংশ নিতে বেশ আনন্দিত। খেলা শেষে বার্তা সংস্থা এপিকে তিনি বলেন, দশ বছর ধরে আমি হিজাব পরছি। হিজাব পরার কারণে আমি যা পছন্দ করি তা থেকে দূরে থাকতে হয়নি। এর মধ্যে রয়েছে বিচ ভলিবলও। মেয়াওয়াদ ও এলগোবাসি আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করেই অলিম্পিকে সুযোগ পেয়েছেন।
ভলিবল ফেডারেশনের মুখপাত্র রিচার্ড বেকার জানান, খেলোয়াড়দের সাংস্কৃতিভাবে উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্যই পোশাকের নীতিমালা শিথিল করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য যত বেশি সম্ভব মানুষকে ভলিবল খেলায় নিয়ে আসা।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেন্সার ইবতিহাজ মুহাম্মদ তার ক্যারিয়ারজুড়েই হিজাব পরেছেন। তিনিই প্রথম অ্যাথলেট যিনি চুল ঢেকে অলিম্পিকে খেলতে নামেন।
এআর