আওয়ার ইসলাম:দুই ধারায় ইসলাম প্রচার করা যায়- ‘লিখে’ ও ‘বলে’। লেখা থেকে সবাই ফায়দা অর্জন করতে না পারলেও বললে সবাই শুনতে পারে; উপকার পেতে পারে সহজে। সমাজে যারা বক্তৃতা, ওয়াজ-নসিহত ও দ্বীনি আলোচনার মাধ্যমে খেদমত আঞ্জাম দিচ্ছেন তাঁদের অবদান অনস্বীকার্য।
ওয়াজ-নসিহত শুনে বহু মানুষ ইসলামের সঠিক তালিম পাচ্ছে। অজস্র পথভোলা মানুষ পাচ্ছে সঠিক দিশা। ওয়ায়েজগণ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়েও দ্বীনের এই মহান-দায়িত্ব আঞ্জান দিচ্ছেন। কওমি মাদরাসা থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী আলেম-উলামারা এক্ষেত্রে সবচে’ জোরালো ও কার্যকরী ভূমিকা রেখে চলেছেন। প্রবীণ দেশবরেণ্য উলামা-মাশায়েখদের ধারা অনুসরণ করে কিছু তরুণ আলেমে দ্বীন ও সুমহান এই খেদমতের সাথে যুক্ত হয়েছেন, হচ্ছেন (আলহামদুলিল্লাহ)।
সময় এখন মিডিয়ার। কর্মব্যস্ত মানুষ ঘরে বসেই মিডিয়ার মাধ্যমে ধর্মীয় আলোচনা শুনতে পছন্দ করেন। সুতরাং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইউটিউবের মাধ্যমে সহিহ আকিদা ও মানসম্মত ওয়াজ নসিহতের ভিডিও, অডিও ও এ্যাপস প্রকাশিত হওয়া সময়ের দাবি। বিষয়টি বিবেচনা করেই গত ২৫ মে ২০১৬তারিখে, অর্ধশত আলেমের উপস্থিতিতে গড়ে তোলা হয় একটি মিডিয়া সেন্টার। নাম ‘আল-হাদী মিডিয়া সেন্টার’।
কাজের সুবিধার্থে প্রথম বৈঠকেই মুফতী রেজওয়ান রফিকীকে আহ্বায়ক ও মাওলানা সাঈদ কাদিরকে সদস্য সচীব করে একটি আহ্বায়ক কমিটিও গঠন কর হয়।অচিরেই শুরু হবে অনলাইনভিত্তিক এ মিডিয়ার কার্যক্রম।
আল হাদী মিডিয়া সেন্টার বিষয়ে মাওলানা সাঈদ কাদির বলেন, সমাজের মানুষকে উন্নত উপস্থাপনার মাধ্যমে ভিডিও, অডিও ও এ্যাপসের সাহায্যে সত্য, সুন্দর ও মানসম্মত পরিবেশনা উপহার দেওয়া আমাদের লক্ষ্য। ‘আল হাদী মিডিয়া সেন্টার’ বক্তাদের ভাষাগত দক্ষতা, বর্ণনাগত নির্ভুলতা, উপস্থাপনাগত সৌন্দর্য, কুরআন তিলাওয়াত বিশুদ্ধিকরন ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন হতে আপ্রাণ প্রয়াস চালিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই দেশের প্রায় সব জেলার উদীয়মান তরুণ বক্তা-ওয়ায়েজ আলহাদীর ডাকে সাড়া দিয়েছেন। এর সদস্য সংখ্যা প্রায় অর্ধশত।
আরআর