আওয়ার ইসলাম ডেস্ক : জঙ্গিরা দেশ ও মুসলমানদের বিপদে ফেলছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, জঙ্গি বিরোধী যুদ্ধের পক্ষ নিতে হবে, মাঝামাঝি থাকার কোনো সুযোগ নেই।
শুক্রবার দুপুরে খুলনার একটি হোটেলে জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ বেতার আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ইনু বলেন, মুসলমানদের বিপদে ফেলছে এই সন্ত্রাসীরা, বিপদে ফেলছে দেশকে। জঙ্গিরা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের মতো স্বঘোষিত খুনি। দেশের বিরুদ্ধে একটি অন্যায় কর্মকাণ্ড শুরু করেছে এই সন্ত্রাসীরা।
তিনি বলেন, আগুন যুদ্ধে পরাজিতরাই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। ১৯৭১ সালে যেমন পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম, এখনও ঐক্যভাবে সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা করতে হবে। সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধের পক্ষ নিতে হবে, মাঝামাঝি থাকার কোনো সুযোগ নেই।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিদের আক্রমণ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটা পরিকল্পিত। সন্ত্রাসীরা কোনো ধর্ম, সংবিধান, দেশ, সংস্কৃতি এবং আইন-কানুন মানে না। তারা বাংলার কৃষ্টি-কালচার, সংস্কৃতি, মানবতাবোধ, সম্প্রীতি ও বন্ধন ধবংস করতে চায়।
ইনু বলেন, জঙ্গিদের সঙ্গে একাত্তর ও পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ড, ২১ আগস্ট, আগুন সন্ত্রাসীদের মিল রয়েছে। ৭৫-এর খুনিরা বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল, জঙ্গিরাও এদেশের স্বাধীনতা ও সংবিধান মানে না।
সরকার কোনো রাজনৈতিক দলকে দমন করছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সন্ত্রাসী ঘটনায় যারা নিহত হয়েছে তারা বিএনপি বা এর অঙ্গসংগঠনের কোনো লোক নয়। জঙ্গি ছাড়া কোনো নিরাপরাধ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে না।
খালেদা জিয়ার জাতীয় ঐক্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জঙ্গি ও তাদের দোসরদের বাদ দিয়ে ইতোমধ্যে সরকার, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, ছাত্র-শিক্ষক, সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। দেশে যে আইন আছে তাই যথেষ্ট। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী চমৎকার কাজ করছেন। জঙ্গিদের রুখতে জনগণকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।
বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক এ কে এম নেছার উদ্দিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, মহানগর পুলিশের কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি এস এম মনির-উজ-জামান, জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান, পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্যা, জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ হোসেন এবং টাউন জামে মসজিদের খতিব ও জেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ সালেহ প্রমুখ।