শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসবে, সতর্ক থাকতে হবে: গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা ‘কোনো রাজনৈতিক দলকে সরিয়ে দেয়ার ইচ্ছা জামায়াতের নেই’ শরীরে রক্ত বাড়াতে যেভাবে পালং শাক খাবেন ‘প্রকৃতপক্ষে ভুল হলে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ’

কোথায় যাচ্ছে দেশ?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

selimসেলিম অর্ণব, অনলাইন এক্টিভিস্ট

[Bangladesh under the paedophile’s gaze] শিরোনামে নন্দিত কলামিস্ট Towheed Feroze আজ থেকে বছর দুয়েক আগে ইংরেজি ট্যাবলয়েড Dhaka Tribune একটা নিবন্ধ লিখেছিলেন। শিরোনামটা অদ্ভুত, অন্যদিকে আঁৎকে উঠেছিলাম কন্টেন্ট আর এনালিসিস দেখে। অবাক হয়েছিলাম লেখক হিসেবে তাঁর ভয়ানক দুরদৃষ্টি দেখে। অনেকে এটাকে বাড়াবাড়ি বলবেন। কেউ কেউ বলবেন বাংলাদেশে এমন বিপত্তিকর ঘটনা ঘটে না। এগুলো নিয়ে আলতু-ফালতু কথা লিখে লেখক জাতে ওঠার চেষ্টা করছেন। কিন্তু খেয়াল করলে দেখা যায় আমাদের পরিবার কিংবা আশেপাশের পরিচিত অনেকেই এ ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনার স্বাক্ষী।

এ প্লাসলোভী মায়েদের নম্বর লালসার বলি হতে হয় অনেক বাচ্চাকে। কেউ কেউ প্রাইমারির গণ্ডি পেরুনোর আগেই জঘন্য নিপীড়নের শিকার হয়। তাদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কিংবা অন্যকোনো উপায়ে পশুবৃত্তিতে কাজে লাগায় অনেক গৃহশিক্ষক। পাশাপাশি আত্মীয় স্বজনের কাছেও নিরাপদ নয় বাচ্চারা। এক্ষেত্রে কেউ কেউ শুনতে বা বুঝতে চায় না। অনেক মা নামের মাদার গাছ মনে করে বাচ্চা হয়ত পড়া ফাঁকি দেয়ার জন্য উদ্দিষ্ট শিক্ষকের কাছে পড়তে চাইছে না। কিংবা আত্মীয়দের মধ্যে বিশেষ কোনো ব্যক্তিকে দেখলে শিশু ভয় পাচ্ছে। এটা নিয়ে কেউই ক্রিমিনাল মাইন্ডে চিন্তা করতে চায় না। সবাই ভাবে স্বাভাবিক। কিন্তু সর্বনাশটা এভাবেই হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে।

ফিরোজী উপসংহার টানতে গিয়ে লেখাটাতে বলেছিলেন... That act may seem too extreme at the moment, though in an age of globalisation, buttressed by the frenzied use of the web, no act is too impossible to be replicated. And, for good reasons, developing nations are the prime targets. At least in most red light zones, there is a boundary which no sex worker is forced to cross.

Surely, it takes some time to digest the fact that child porn was being made in Bangladesh, however, in a country where hypocrisy always creates a nebulous layer over sexual credo, it’s always difficult to get the true picture.On one side, the so-called conservative champions storm brothels to kick out sex workers; on the other, local films blithely follow the “expose to the limit” in item numbers popularised by Indian movies. Similarly, red light districts for the common person are raided, while top class escorts run raging business through online sites.

ফেইসবুকে এক বন্ধু জনৈক কথিত নারী মডেলের কয়েকটা ছবি দিলেন। এক্ষেত্রে ছবিগুলোর একটা চোখে পড়ে বিরক্ত হয়েছিলাম। দেখা হয়নি সবগুলো। পরে আবার নক দিয়ে ঐ বন্ধু বললেন ভাই এগুলো নিছক ফাইজলামি করার জন্য না। আমি আপনাকে দেখতে বলেছি এগুলো নিয়ে চিন্তার খোরাক আছে। কোথায় যাচ্ছে দেশ। সবথেকে বড় কথা ঐ নারী মডেল ছবিগুলো সরাসরি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড দিয়েছেন। এবং সবগুলো ছবি পাবলিক করা। অর্থাৎ ছবিগুলো শেয়ার দিলে কোনও ধরণের প্রাইভেসি লঙ্ঘন কিংবা কপিরাইটের সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা নেই।

Rifat Hasan Rathi আজ হঠাৎ একটা ফেইসবুক গ্রুপ থেকে একটা ছবি ইনবক্সে দিলেন। একটা টোকাই প্রকৃতির দিগম্বর বাচ্চার বিশেষ অঙ্গ ধরে দাঁত কেলানো সেলফি দিয়েছে জনৈক মেয়ে। এটাতে তারা কয়েকজন আছে। একজন ছবি তুলছে অন্যজন বিশেষ স্থানে হাত দিয়ে রেখেছে। পুরো মেজাজ খারাপ হওয়া অবস্থা। দুয়ে দুয়ে চার মেলানো উচিত না। তবুও চিন্তা হলো এই ধরণের পশুবৃত্তির বিরুদ্ধে দুই এক কলম হলেও লেখা দরকার। অন্তত মানুষ এগুলোর বিরুদ্ধে একটু সতর্ক হোক।

হ্যাঁ ! ধরে নেয়া যেতে ঐ মডেল মহিলার বাচ্চাটিকে নিয়ে কোনো যৌন আকর্ষণ নাও থাকতে পারে। কিন্তু এই ছবিটা হয়ে গেছে প্রতীকী। ফলে এর থেকে ভালো কোনো চিন্তা না করাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে বাচ্চারা কিছু না বুঝে এ ধরণের কাজে সাড়া দেয়। যা অনেক পশুর জন্য লালসা চরিতার্থ করার সুযোগ করে দিতে পারে। এগুলো নিয়ে প্রত্যেক মা-বাবা এবং পরিবার পরিজনকে সতর্ক হতে হবে এখনই। অন্তত মেয়ে শিশুদের আচরণ পর্যবেক্ষণ করা এবং তাদের সুখ-দুঃখ হাসি কান্নার প্রতিটি অংশ পর্যবেক্ষণ করা প্রতিটা মায়ের নৈতিক দায়িত্ব। আর লেখাপড়া করানোর নামে বাচ্চাদের উপর কোনো জানোয়ার তার হিংস্র থাবা বসালে তার দায়ভার ঐ পশুর চেয়ে তার মা-বাবার বেশি। অন্তত সতর্কতার দায়টা এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই যে কোনো মা-বাবার পক্ষেই, সেটা যে অবস্থায়ই হোক। এর পাশাপাশি সমাজবিজ্ঞানী এবং মনোবিজ্ঞানীরা এটাকে কিভাবে দেখছেন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।

ফেসবুক পাতা থেকে নেয়া

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ