শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসবে, সতর্ক থাকতে হবে: গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা ‘কোনো রাজনৈতিক দলকে সরিয়ে দেয়ার ইচ্ছা জামায়াতের নেই’ শরীরে রক্ত বাড়াতে যেভাবে পালং শাক খাবেন

রামেকে নারী সহকর্মীদের গণযৌনহয়রানি!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ramekরাজশাহী: বখাটে বলতে তো বাপে তাড়ানো, মায়ে খেদানো ছেলেদেরই বোঝানো হয়। কিংবা উচ্ছন্নে যাওয়া ধনীর দুলালদের অনেকেই বড় মাপের বখাটে হয়ে ওঠে। কিন্তু তাই বলে একজন চিকিৎসক? ঘরে স্ত্রী রেখে, সরকারি দায়িত্ব পালনে হাসপাতালে গিয়েও হয়ে উঠতে পারেন বখাটে? তাও আবার ইন্টার্ন নারী চিকিৎসকদের প্রতি কুনজর? ভাবা যায় কি?

তবে অভাবনীয় এই কাজটিই করে যাচ্ছিলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের অনারারি মেডিকেল অফিসার (এইচএমও) মোজাম্মেল হক বাদল। কোনো নারী সহকর্মীই বাদ যাননি তার হয়রানি থেকে।

এইচএমও মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে নারী চিকিৎসকদের গণযৌনহয়রানির অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে এরই মধ্যে শাস্তিমূলক বদলিরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে রামেক কর্তৃপক্ষ। রামেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রামেকের একাধিক সূত্রমতে, মোজাম্মেল হক বাদল হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের এইচএমও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই বিভাগে কোনো নারী ইন্টার্ন চিকিৎসক দায়িত্ব পালনে গেলেই তাকে নানাভাবে যৌন হয়রানি করেন তিনি। বিভিন্ন ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করা নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকদেরও তিনি অশালীন কথা বলেন। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করতেন না।

তবে, বুধবার বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের আট নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্বে থাকা একজন নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে ডা. বাদল যৌন হয়রানি করলে তিনি ওয়ার্ড ইনচার্জের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। এরপর ওয়ার্ড ইনচার্জ বিষয়টি হাসপাতালের পরিচালককে জানান। বিষয়টি জানতে পেরে ডা. বাদল ওই নারী ইন্টার্নকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজও করেন।

এদিকে, এঘটনা হাসপাতালের অন্যান্য ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় হাসপাতালের পরিচালক অভিযোগকারী ওই নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে ডেকে পাঠান। একই সাথে তলব করা হয় ডা. মোজাম্মেল হক বাদলকেও। এ সময় আরও ১৩ জন ভুক্তভোগী নারী ইন্টার্ন চিকিৎসক হাসপাতাল পরিচালকের কাছে গিয়ে বাদলের বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। এরপরই হাসপাতালে জরুরি সভা ডাকা হয়। এ সভায় ডা. বাদলকে বদলীর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, ব্যবস্থাও নিয়েছি। হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদ, সব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও প্রফেসরদের নিয়ে সভা করে দুপুরেই তাকে বদলীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ ধরনের গুরুতর অভিযোগের সঙ্গে কোনো আপোষ নয়।

তবে এ বিষয়ে কথা বলতে ডা. মোজাম্মেল হক বাদলের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে সেটি বন্ধ থাকায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সূত্র: বাংলামেইল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ