আওয়ার ইসলাম: ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলের রুয়েন শহরের কাছে অবস্থিত একটি চার্চে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এতে একজন পাদ্রী নিহত হয় বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে ২ হামলাকারী।
পুলিশ বলেছে, চার্চে জিম্মিদের মধ্যে নিহত পাদ্রীকে গলাকেটে হত্যা করে অস্ত্রধারী হামলাকারীরা।
স্পেশালিস্ট এলিট পুলিশ ইউনিট চার্চের চারদিকে নিরাপত্তা বেস্টুনি গড়ে তোলার পর অভিযান শুরু হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বার্নার্ড কেজিনিউভ ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে তারা নানা ধরনের গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে চার্চে হামলাকারীদের কোনো পরিচয় জানানো হয়নি। কেন চার্চে হামলা করা হয়েছে সেই বিষয়ে জানা যায়নি।
এর আগে কয়েকজন ব্যক্তিকে জিম্মি করে রাখার খবর দেয় ফরাসি ও আন্তর্জাতিক কয়েকটি গণমাধ্যম।
পুলিশের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, চার থেকে ছয় জন মানুষকে সেইন্ট-এতিয়েন-দ্যু-রুভরে চার্চের ভেতর আটকে রাখা হয়েছে।
সংস্থাটি জানায় জিম্মিকারীরা ছুরি দেখিয়ে ভেতরের লোকদের জিম্মি করে রাখে। এরপর তারা একজন পাদ্রীকে গলা কেটে হত্যা করে। পুলিশের অভিযানের সময় গুলিতে দুই হামলাকারী নিহত হয়েছে বলে জানায় আল জাজিরা। জিম্মিদের মধ্যে এক পাদ্রী, দুই নান এবং কয়েকজন সাধারণ মানুষ আছে বলে জানায় ফ্রান্সের দ্য লি ফিগারো।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়া ওঁলাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। ফ্রান্সের সিনেটের বিদেশ বিষয়ক কমিটির প্রধান জেন পিরি রাফায়াল বলেন, এ ঘটনা অত্যন্ত ভয়াবহ। ধর্মযুদ্ধ শুরু হয়েছে।
এঘটনার পর বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে হামলাকারীদের পরিচয় বা উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
আরআর