আওয়ার ইসলাম: ক্যলাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে নিহত ৯ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, রবিন, সাব্বির, তাপস, অভি, আতিক, সোহান, ইমরান, ইকবাল ও হাসান।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জঙ্গি মো. হাসান তাদের পরিচয় জানিয়েছে।
হাসানের (২৫) বাড়ি বগুড়ার জীবন নগরে এলাকায়। তার বাবার নাম রেজাউল। বগুড়ার শাহ সুলতানপুর কলেজের ছাত্র ছিল সে। তার মাথায় ও পায়ে আঘাত রয়েছে।
সে জানায়, এক মাস আগে তাকে কল্যাণপুরের ওই বাসায় নিয়ে আসে রবিন। তাদেরকে ট্রেনিং দেওয়া হয়। এই এক মাসের মধ্যে তাকে ভবন থেকে নিচে নামতে দেওয়া হয়নি। তার দায়িত্ব ছিল সবাইকে রান্না করে খাওয়ানো। রাতে পুলিশের অভিযান টের পাওয়ার পর সে ওপর লাফ দেয়। রাত পোনে ২টার দিকে পুলিশি প্রহরায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ক্যাজুয়ালিটি বিভাগের ১ নম্বর ব্লকে চিকিৎসাধীন আছে সে।
বাড়ির ভেতরে ২০-২৫ জন আটকে আছেন
এদিকে বিল্ডিংটিতে এখনো ২০-২৫ জন আটকে আছেন বলে জানিয়েছেন ওই বাড়ির দুই ভাড়াটিয়া ইকবাল ও আশিক। আশিক জানান, তিনি শ্যামলী আইডিয়াল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সেকেন্ড সেমিস্টারের শেষ বর্ষের ছাত্র। তিনি জানান, পরপর তিনটি গুলির শব্দের পর তার ঘুম ভাঙ্গে। ভয়ে তখন থরথরে কাঁপছিলাম।
তিনি আরো জানান, জাহাজ বাড়িটি ৬ তলা। প্রতি তলায় ৪টি করে ইউনিট। আমরা থাকি ৪ তলায়। আমাদের রুমে থাকে ৯ জন। রাতে আমাদের রুমে ছিল ৭ জন। রাতে বাইরে ছিল ২ জন। ঘটনার সময় মনে হচ্ছিল আমাদের পাশের রুমে গোলাগুলি হচ্ছে। ভয়ে আমি এক বড় ভাইয়ের রুমে চলে যাই।
মূলত জাহাজ বাড়ির নাম তাজ মঞ্জিল। সবাই জাহাজ বিল্ডিং বলে ডাকে। ওই বাড়ির মালিকের নাম আতাহার উদ্দিন আহমেদ। বাসার নম্বর ৫৩/৫।
রাজধানীর কল্যাণপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গোলাগুলিতে সন্দেহভাজন নয় জঙ্গি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোরে কল্যাণপুরের পাঁচ নম্বর রোডের ‘জাহাজ বিল্ডিং’ নামক একটি বাড়িতে ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযান চলে। অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে ‘অপারেশন স্ট্রম ২৬’।
আরআর