ঢাকা: তুরস্কের সেনাদের একটি অংশ দেশটিতে অভ্যুত্থানের চেষ্টা চালিয়েছিল। তবে সরকার দাবি করেছে তাদের এই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে সরকার বাহিনী। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে দেশটিতে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তুরস্কের বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এরদোগানের ডাকে সাড়া দিয়ে জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছে। তারা সেনাদের অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে মিছিল করছে।
তুরস্কে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই রাজধানী ইস্তাম্বুল ছুটে আসেন দেশটির প্রেসিডেন্ট এরদোগান। এ সময় তিনি সামরিক অভ্যুত্থানের খবর নাকচ করে দিয়ে ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট দলের (একেপি) সমর্থকদের বাইরে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান। তার এই আহ্বানে সাড়া দিতে শুরু করেছে তুর্কি জনগণ। স্থানীয় টিভি ফুটেজে দেখা গেছে, শনিবার সকালে বিমানবন্দরের বাইরে জড়ো হয়ে মিছিল করছে প্রেসিডেন্টের সমর্থকরা।
রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার সকালে তারা ইস্তাম্বুলের তাকসিম স্কয়ারে বিদ্রোহী ৩০ সেনাকে অস্ত্র জমা দিতে দেখেছেন। বিদ্রোহী সেনাদলটিকে ঘিরে রেখেছিল সশস্ত্র পুলিশ। পরে তাদের পুলিশ ভ্যানে করে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়।
তুরস্কে শুক্রবার রাত থেকে অভ্যুত্থানের চেষ্টা শুরু হয়। আঙ্কারার বাইরে পুলিশের বিশেষ বাহিনীর সদর দপ্তরে হেলিকপ্টার হামলা চালায় সেনারা। এতে কমপক্ষে ১৭ তুর্কি সেনা নিহত হয়। তবে সামরিক সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৪২ জন নিহত হওয়ার খবর মিলেছে। এদের বেশিরভাগই সাধারণ মানুষ।
তুরস্কের বসফরাস নদীর দুইপাশেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে এবং ইস্তানবুলের ফেইথ সুলতান মেহমেত ব্রিজটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এর আগে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার শুরুতে শুক্রবার (১৫ জুলাই) রাতে ওই ব্রিজটি দখল করেছিলো তারা।
প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ডাকে রাস্তায় হাজারো মানুষ
[caption id="attachment_5953" align="alignnone" width="960"] অভ্যুত্থানকারীদের ট্যাংকের সামনে শুয়ে পড়লেন এবং সরকার সমর্থক[/caption]
আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম /আরআর