ডেস্ক রিপোর্ট: ফ্রান্সের নিস শহরে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের অনেকেই মুসলিম বলে জানা গেছে। এর মধ্যে আছেন বেশ কয়েকজন আরব বংশোদ্ভূত মুসলমানও। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ইরানের একজন সাংবাদিকের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে গার্ডিয়ান অনলাইন।
মরিয়ম ভাইওতি নামে ইরানের ওই নারী সাংবাদিক জানান, ট্রাক চাপা পড়া মৃতদেহগুলো তিনি দেখেছেন। মৃতদেহগুলোর মধ্যে কয়েকজন ছিলেন নারী। এবং এঁদের মধ্যে অন্তত দুজন হিজাব পরিহিত ছিলেন।
এই নারী সাংবাদিকের বক্তব্যের বরাত দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলা হচ্ছে, তিউনিশিয়ান বংশোদ্ভূত ফরাসি হত্যাকারী বাছবিচারহীনভাবে বাস্তিল দিবসে নিসে আতশবাজির উৎসব দেখতে জমায়েত জনতাকে পিষে খুন করেছে।
ইরানের ‘জানান’ টিভিতে কাজ করা ওই নারী সাংবাদিক জানান, ‘হত্যাকাণ্ডস্থলে অনেক মুসলিম ছিলেন। লাশগুলো যখন রাস্তায় পড়েছিল তখন আমি ওইখানে যাই।
সেখানে আমি অনেককেই আরবিতে আহাজারি করতে শুনেছি। এক আরব পরিবার ছিল ওখানে- তাঁদের মা হামলায় নিহত হয়েছিলেন। ওই পরিবারটি চিৎকার করে কাঁদছিল এবং তাদের মাকে শহীদ বলে বর্ণনা দিচ্ছিল।
মরিয়ম ভাইওতি আরো জানান, বাস্তিল দুর্গ পতন দিবস উপলক্ষে চারপাশে তখন ছিল উৎসবমুখর, আনন্দের হিল্লোল বইছিল। আতশবাজি পোড়ানোর সময়ও মানুষের উল্লাসধ্বনি শোনা যাচ্ছিল। এর কিছুক্ষণ পরেই ভয়াবহ এই হামলাটি হয়।
নিস শহরে ওই হামলায় আতশবাজি দর্শনরত জনতার ওপর দ্রুতগতির ট্রাক তুলে দিয়ে ৮৪ জনকে হত্যা করে ওই হামলাকারী। এ হামলায় আহত হয়েছেন বহু লোক। আহতদের মধ্যে ১৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নিসের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, সন্ত্রাস দমন শাখার তদন্তকারীরা হামলাকারী ট্রাকচালকের পরিচয় বের করার চেষ্টা করছেন। পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার আগে ওই হামলাকারী প্রকাশ্যে গুলি চালায়। হত্যায় ব্যবহার করা ২৫ টনের ট্রাকটির ভেতর থেকে অস্ত্র ও গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে।
গত বছরের ১৩ নভেম্বর ফ্রান্সের রাজধানী শহর প্যারিসে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বন্দুকধারী ও আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীদের হাতে ১৩০ জন নিহত হন। এর আট মাসের মধ্যে নিসে হামলার ঘটনা ঘটল।
আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম /আরআর