আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শুক্রবার বিমান হামলা ও গোলা বর্ষণে ৬০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চলমান অস্ত্রবিরতির সময় শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার আগে এই হামলা চালানো হয়।
একটি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এ কথা জানিয়েছে।
বুধবার অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করার পর থেকেই লড়াই অব্যাহত রয়েছে। বিশেষত সিরিয়ার দ্বিতীয় নগরী আলেপ্পোতে তুমুল লড়াই চলছে। সংঘর্ষে বিভক্ত নগরীটিতে উভয়পক্ষের লোকই হতাহত হচ্ছে।
ব্রিটেন ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে বিদ্রোহীদের গোলার আঘাতে চার শিশুসহ ৩৪ বেসামরিক লোক নিহত ও আরো দুই শ’ জন আহত হয়েছেন।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, এই হামলায় ২৩ জন নিহত ও ১৪০ জন আহত হয়েছেন। তারা অস্ত্রবিরতি লংঘনের জন্য বিদ্রোহীদের দায়ী করেছে।
২০১২ সালের মাঝামাঝি থেকে আলেপ্পোর পশ্চিমাংশ সরকারি বাহিনী ও পূর্বাংশ বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু আগে আলেপ্পো দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী ছিল।
নগরীর পূর্বাঞ্চল থেকে এএফপি’র এক প্রতিনিধি জানান, সরকারি বাহিনী শুক্রবার বিরোধীদের অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান ও রকেট হামলা চালিয়েছে।
কাস্টেলো যাওয়ার পথে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত একটি এলাকায় সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় তিন শিশুসহ ছয় বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন।
সেনাবাহিনী নগরীর বিদ্রোহীদের একমাত্র সরবরাহ রুটটিকে পুনরায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য অগ্রসর হচ্ছে।
অবজারভেটরি জানিয়েছে, তুরস্ক সীমান্তবর্তী আল-কায়েদা নিয়ন্ত্রিত শহর দারকুশে বিমান হামলায় অন্তত ২২ বেসামরিক লোক নিহত ও আরো কয়েকজন আহত হয়েছেন।
সিরিয়ান অবজারভেটরি অব হিউম্যান রাইটসের পরিচালক রামি আব্দেল রহমান বলেন, ‘এই হামলায় এক শিশু ও সাত নারীসহ ২২ জন নিহত হয়েছেন।’
এই হামলা সম্পর্কে অবজারভেটরি তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
তবে তারা জানিয়েছে, মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট নয়, বরং সিরীয় সরকার অথবা তার মিত্র রাশিয়া বিমান হামলাটি চালিয়েছে।
দারকুশ আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট আল-নুসরা ফ্রন্ট ও তাদের মিত্র বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইদলিবও এদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।